তোমরা তো বেশ চাকুম চুকুম করে ক্ষমতার পিঠা বাটোয়ারায় অনন্ত মশগুল দেখছি
উর্দির উষ্ণতায় বেশ স্যালস্যালানো খোশবন্ত
তোমাদের আত্মিক পির বুঝি ফুঁ-টি দিয়েই দিয়েছেন!
নইলে তোমরা আবার রক্তের খেলায় মত্ত হলে কী করে!
শক্তির জলকামানও দাগিয়ে ফেলেছো
সাবাস বন্ধু! সাবাস! তোমাদের হিম্মত দেখে খানিকটা ভিমরি খেলেও নড়েচড়ে বুঝলাম
তোমরা আজও মানুষ হতে শেখোনি!
এদেশের রাজনৈতিক নেতৃত্বের রক্তের লবণ বোধহয় খানিকটা কম,
নইলে যখন তখন রক্ত ঝরানোর খেলা এতটা রমরমা কেনো!
গলগল ঝরে, ঝরলেই গোগ্রাসে গিলে মাটি হাওয়া এবং সময়!
তোমরা কি পাঠ করো না কালো হাতের মর্মার্থ
বোঝো না বিষদৃশ্য ষড়যন্ত্রের নিগূঢ় থাবা
দেখো না কীভাবে জলপাই রঙও বদলে যায় অকস্মাৎ!
আমাদের শৃঙ্খল পোশাকগুলো কখনও কি রাষ্ট্রের হয়ে উঠবে না!
কখনো কি দাঁড়াবে না জনতার কাতারে!
কখনো কি বলবে না আমরা কেবলই ন্যায়ের পক্ষে!
একচক্ষু হরিণের মতো আর কত পক্ষদুষ্ট হবে
অথচ তোমাদের নিরপেক্ষতার সৌরভ চায় সকলেই,
চায় তোমাদের বক্ষে ফুটবে নৈতিকতার ফুলবাহার
এদেশের শাসকের কলম কখনও লেখেনি নাগরিক স্বার্থের গল্প! ভেবেছিলাম অন্তত এবার
ছত্রিশ জুলাইয়ের আঁচে বুঝি প্রস্তুত হবে কোনো এক প্রশান্তির পাণ্ডুলিপি!
কিন্তু না, সময় আমাদের দিচ্ছে আরেকটি
আসন্ন বিপ্লবের ইঙ্গিত!