সোনা ঝরা রোদে, একটা বিকাল মহাকাল থেকে খসে পড়ে।
একটা বিকাল… মায়াময়, প্রেমময়, নূরময়
প্রভাতের মতো হামাগুড়ি দেয়া প্রহর নয়
শরতের দুপুরের মতো নির্জন, দীর্ঘ ও উষ্ণ নয়
জোছনার অভাবে আঁধারে বিলীন হওয়া নিশি নয়
একটা বিকাল… প্রেমময় বিকাল, মহাকাল থেকে খসে পড়ে
সময়ের প্রলেপ জড়িয়ে ধাবমান জীবনের আড়ালে লুকিয়ে পড়ে।
একটা বিকাল নাহার বাহার আর নূর-উন-নাহার-এর সন্ধি গড়ে
সোনা ঝরা রোদে, চোখের পলকে মহাকাল থেকে খসে পড়ে।
একটানে বৃত্ত এঁকেই দেখো—
সেটাকে জীবন বলা যায় কী না!
বৃত্তটা পরিপূর্ণভাবে আঁকতেই হবে
মন দিয়ে দেখতে না পারলে সেটাকে শূন্য ভাবতে পারো।
একটানে বৃত্ত এঁকেই দেখো
সেটাকে জীবন বলতেই হবে। সেটাকে জীবন বলো।
বৃত্তের ব্যাস, জ্যা সম্পূর্ণ না হলেও হবে
কেন্দ্র দৃশ্যমান না হলেও সমস্যা নাই;
বৃত্তের যেখানে মায়া-প্রেম খুঁজে পাবে
সেটাকেই বৃত্তের কেন্দ্র ভাবো।
মায়া হলো নূর, নাহার বাহার, নিশাকর; জীবনের পূর্ণতা।
ভালোবাসা হারানো ছাড়া প্রতিটি হারানোতেই
একটি হলেও আনন্দ মিশে থাকে।
হারানোর কিছু নেই… ভালোবাসা পেয়ে গেলে।
যদি কেউ তবুও পুষে মনের ভিতরে পাওয়া-আশা
সযতনে ভালোবেসে লালন-পালন করছে প্রেমহীন লালসা।
প্রেম শুভ পরিণতি পেলে…
জুলকারনাইনের রাজ্য হয় প্রেমিকের হৃদয়
হেরে গেলেও প্রেমিকের থাকে না হারানোর ভয়।
প্রভাতের মতোই শুভক্ষণ হয়ে যায় নূর-উন-নাহার
নিশি কালো নয়, ঝলমলে বর্ণালি তা… সোমের বাহার।
প্রেম মায়া ও জীবনে জড়ালে…
সুখ আসে, সুখী হতে হয়। অংকে কাঁচা হতে হয়।
এক আর এক-এর যোগফল এক থেকে তিন হয়।
কখনো এক আর এক-এর যোগফল যদি দুই-এ মিশে
জানবে… নুন আর চিনির বয়াম পাশাপাশি রাখা আছে।
এক-ই প্রেম দু’হৃদয়ে মিশে গেলে…
সংসার জুড়ে বয় সুবহে সাদিকের পরের বাতাস
মায়া মিশে রয়, প্রেম প্রাণ পায়…প্রেমিকের প্রতি শ্বাস।
ভালোবাসার ঘর ক্ষণিকের তরে নূরহীন হয়ে পড়লে
নিশ্চিত থেকো… জানালা দক্ষিণমুখী নয়, উত্তরমুখী হয়েছে।