পূর্ণিমা চাঁদ কভু মেঘে ঢাকা যায়!
রক্তস্রোতেও ভাসে শুভ্র কুসুম,
ভয়াবহ চব্বিশে’র ওই জুলাই-য়ে,
কতো মেধাবীর হয়ে গেলো চিরঘুম!
যখন আতঙ্কে উবে গেছে সকলের নিদ,
বুক পেতে উঠে আসে আবু সাঈদ!
অমানুষ পুলিশ ওর গুলি করে বুকে,
খুন হলো ছাত্র সে জনসম্মুখে!
নিষ্ঠুর পুলিশ ওর গুলি করে বুকে,
সাঈদ বিদায় নেয় ভরা হাসিমুখে।
সেদিনই ঝরলো আরো এক তাজা প্রাণ,
ওয়াসিম এর স্মৃতি রবে চির অম্লান।
কক্সবাজার-েএর ছেলে তরতাজা প্রাণ,
দেশের জন্য হয়েছিলো কোরবান।
নিহত সে হয় সেই মুরাদপুরে,
বেজেছে মরণ-বীণ কি করুণ সুরে!
যে ছাত্র তানভীন অতিশয় জ্ঞানী,
হতে পারতো সে কোনো বড় বিজ্ঞানী।
নিজ হাতে বানাতো সে উন্নত ড্রোন,
ঘাতকের হাতে সেই ছেলে হয় খুন!
টঙ্গীতে ঝরলো এক উজ্জ্বল তারা,
এতোটা প্রাণের দায় বলো নেবে কারা!
সাহসী ও বীর ছিলো ছাত্র ইয়ামিন
তাকেও মারতে হয়নি যে দয়া ক্ষীণ।
সাভারে পুলিশ জলকামান উড়িয়ে,
ইয়ামিনকে মেরে লাশ দেয় পুড়িয়ে!
যেখানে সে লাশখানি পুড়ে হলো দগ্ধ,
যেখানে জল হাতে ছুটে গিয়েছিলো মুগ্ধ!
একুশের গল্পের তপু যেন সে,
পিছনে থেকেই গুলি করেছিলো কে!
জহির রায়হানের তপু যেন সে
কপালের মাঝে গুলি করেছিলো কে!
আজও দখিনা হাওয়ায় সেই কণ্ঠ শুনি
এই! পানি লাগবে কারো, পানি?
এই! পানি লাগবে কারো, পানি?
কে পাড়িয়ে দিলো সুখপাখিদের ঘুম,
রক্তে ভাসলো যেখানে শুভ্র কুসুম!
কে পাড়ালো হাজারো মেধার চিরঘুম?
শোণিতে ভেসেই গেলো স্নিগ্ধ কুসুম।