ফ্যাসিবাদের দালালরা যেই
হুঁশ হারিয়ে টাল ছিলো
তখন দেশের বীর জনতা
লাখে লাখে লাল ছিলো।
আগস্টে ফের রক্তে যখন
দেশটা স্বাধীন হইছিলো
আমরা জানি দালালরা সব
লুকিয়ে তখন কই ছিলো।
সহযোদ্ধা কেউ পুলিশের
গুলি খাইলে আচমকায়
ঝুঁকি নিয়ে আগলেছে সব
ভাবলে আজও গা চমকায়!
যাদের পাপে হয়নি সামিল
নেয়নি সুযোগ কখনো
তাদের ভুলের প্রতিবাদে
সরব ছিলো তখনো।
ফ্যাসিরা সব মগজ মাথায়
হইছে পুরা বিক্রি তো
তাই ফ্যাসিরা পাশের দেশের
দালাল বইলাই স্বীকৃত।
হঠাৎ তো নয়; রক্তে তারা
জাদুর চেরাগ কিনছিলো
দেশবাসী আর বিশ্ব তাতেই
জুলাই বীরদের চিনছিলো।
একাত্তরের অভীপ্সা তাই
চব্বিশে পায় পূর্ণতা
হাজার প্রাণের বিনিময়ে
জুলুম করে চূর্ণ তা!
তাদের লালের আলোক শিখা
দিনে দিনে হাই হলো
ফ্যাসিবাদের ব্যবসাপাতি
ক্রমেই তাতে ‘নাই’ হলো!
বিপ্লবীরা আগাগোড়াই
ইনসাফকে লাই দিছে
ফ্যাসিবাদের দালাদেরকে
চিরতরে বাই দিছে।
শুরু থেকে শেষাবধি
বিপ্লবে প্রেম জানাইছে
ভারতীয় দালালগুলার
ভাগ্য খামে টানাইছে।
এখন তাদের ঝাড়িঝুড়ি
আতকা হইল উধাও তো
কেমন লাগে সীমান্তের অই
দাদারে তা শুধাও তো!
চামচাগোরে গামছা ধরে
আমজনতা ঝুলাইতো
পোলাপানে নাগাল পাইলে
একটু আদর বুলাইতো।
লালের আভা বুলন্দ আজও
দেশবাসী তার মাপ জানে
দিল্লি বইসা মাতম করে
ফ্যাসিবাদীর বাপজানে!
লেখা আছে বুকে বুকে
ফ্যাসিবাদের হিস্টোরি
মুছতে তাহা পারবে না তো
দশ বিজেপি বিশ টোরি*।
লাল আগুনের শিখায় আজও
তাদের পাছা জ্বলতেছে
সেই জ্বালাতে বর্ডার থিকা
আবোলতাবোল বলতেছে।
উচ্চ শিরে দ্রোহের সিনায়
বীর বিজয়ীর গৌরবে
বিপ্লবীরা সুখ স্বর্গে আর
দালাল গেছে রৌরবে**।
বহুমতের বিরোধ নিয়াও
দালালদেরকে ধাওয়াবে
দরকার হইলে আবার জুলাই
আবারো ঘোল খাওয়াবে।
নিজের চাইতে বিপ্লবীদের
দেশের জন্য প্রানিপাত
ফ্যাসির দালাল দূর হয়ে যা
আবার বলি যা নিপাত।
তৃতীয় এই স্বাধীনতায়
হাসিতে ও হাসিতে
বিপ্লবীরা জান দেবে ঠিক
দেশকে ভালোবাসিতে।
আজও তারা লাল আছে তাই
যেমন গতকাল ছিলো
জুলাই মানে দালাল ছাড়া
সবাই সেদিন লাল ছিলো।
নিউ জার্সি, আমেরিকা থেকে
- ব্রিটেনের কনজারভেটিভ পার্টি যার প্রধানমন্ত্রী ছিলেন ঋষি সুনাক।
** হিন্দু মতানুসারে ভয়ংকর এক নরক