শাহীন রেজা

ছোট্ট দেহটা হাসপাতালের বেডের উপর
কেঁপে কেঁপে উঠছে
নির্বাক ঠোঁট যেন বেতস লতা
শুধু চোখদুটো মাঝেমধ্যে ভিজে যাচ্ছে জলে আবার
আবার জেগে উঠছে সে তীব্র
ঘৃণা আর ক্রোধে
তাকে সান্ত্বনা দিতে পারছে না কেউ
না কোনো আত্মীয় না সেনাবাহিনী
না সরকার না কোনো সাংবাদিক
সে তাকিয়ে আছে একটি ঘন অন্ধকারের দিকে
একটি রাতের দুঃস্বপ্ন তাকে তাড়িয়ে নিয়ে যাচ্ছে
সময়ের এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্তে
মেয়ে হয়ে জন্মানো কি পাপ
মেয়ে মানেই কি ক্রমশ নির্যাতিত, ধর্ষিত হওয়া?
তার কিশোরী শরীর জুড়ে হায়েনার ক্লেদ
ক্ষতবিক্ষত ক্লান্ত অবসন্ন দিনে
মৃত্যুর মুখে টর্চ জ্বেলে ধ্বনিত একটিই শব্দ, একটি উচ্চারণ
‘আই ওয়ান্ট জাস্টিস’
আছিয়া জাস্টিস চায়
একটি অমানবিক অত্যাচারের;
ফুল খেলবার দিনে ঘটে যাওয়া একটি
অসভ্য ও নির্মম বর্বরতার
জেগে উঠুক মানবতা
ফুঁসে উঠুক রুখে উঠুক
বিশ্ববিবেক
আছিয়ার কণ্ঠ ছেঁড়া চিৎকার
ধ্বনিত প্রতিধ্বনিত হোক সর্বত্র
মাঠে ঘাটে শহরে বন্দরে
ইথারে ইথারে পথে ও পর্বতে
‘এন্ড ফাইনাললি উই ওয়ান্ট জাস্টিস।’