ও বৃষ্টি তুই
ও বৃষ্টি তুই আমায় কেন হিংসা করিস বল
বিদ্যালয়ে যাবার সময় কেন ঢালিস জল?
বই খাতা বল কেন ভেজাস কেন ভেজাস গা?
ভিজেছি তাই রাগ করেছেন আজকে আমার মা!
বিনা দোষে তোর কারণে কেন খাবো ঝাড়ি?
আর কখনও করলে এমন দেবোই কিন্তু আড়ি,
তোকে কত ভালোবাসি বুঝিস কি তুই সেটা
বুঝিস যদি কি কারণে করলি আজকে এটা?
যখন আমি আসতে বলি আসিস না তো তখন!
সময় বুঝে চলতে যে হয় বুঝবি এটা কখন?
মনের দুঃখে এ প্রশ্নটা শুনছি রে তোর কাছে
তোর সাথে কি আমার কোন শত্রুতা বল আছে?
খোকা বলে
খোকা বলে মাথা শুধু
ঘোরে এটা ভেবে,
দাদু তুমি দয়া করে
সমাধান দেবে?
কী উপায়ে মেঘগুলো
আসমানে ওড়ে?
পাখা ছাড়া মেঘ এটা
করে কোন জোরে?
দাদু কন চমকালি
সামান্য হতে?
এর চেয়ে কতো কিছু
হয় এ জগতে।
আরও আছে কতো কী যে
এ-তো কিছু নয়,
বিধাতার ইশারায়
সব কিছু হয়।
বর্ষার রূপ
ঝম ঝম বারিধারা নামে বর্ষায়
নদীনালা খাল বিল জলে ভরে যায়,
বনে বনে সবুজের সমারহ ওঠে
বৃষ্টির ফোঁটা পেয়ে নানা ফুল ফোটে।
নাও বেয়ে মাঝি যায় ভাটিয়ালি গেয়ে
অনেকেই লুডু খেলে অবসর পেয়ে,
নানা মাছ ধরা পরে জেলেদের জালে
আমি থাকি জানালায় হাত রেখে গালে।
গালে হাত রেখে আমি বৃষ্টির প্রেমে
কখনও বা ভিজে যাই বৃষ্টিতে নেমে,
ভিজে ভিজে বলে উঠি এটা ভুল নয়
বর্ষার রূপখানি খুব মধুময়।
এসো গাছ লাগাই
বলল খোকন বাবার কাছে এই বৃষ্টির দিনে
চলো বাবা গাছের কিছু চারা আনি কিনে,
চারা এনে আমরা দুজন চলো লাগাই আজ
আজ সারাদিন রেখো না আর অন্য কোনো কাজ।
স্যার বলেছেন গাছের ছায়া শীতল করে প্রাণ
গাছের ফুলে সুবাস ছড়ায় মুগ্ধ করা ঘ্রাণ,
ফল ফলাদি খেলে সবার শক্তি দেহে আসে
ঝড়ের সময় বন্ধু হয়ে গাছই থাকে পাশে।
আরও করে এই ধরণের অনেক উপকার
গাছ না থাকলে জীবজন্তুর বাঁচাই হতো ভার,
এসব বলে স্যার বলেছেন কেউ থেকে না বেঁকে
সবাই এসো গাছের চারা লাগাই এখন থেকে।
একা একা
সাঁকোর নিচে সন্ধ্যাবেলা খেলছে ক’জন ছেলে
দেখেই আমি দৌড়ে গেলাম পড়ালেখা ফেলে,
গিয়েই বলি খেলব আমি খেলতে আমায় নাও
হাতে থাকা ও মাছগুলো আমার হাতে দাও।
পড়া ফেলে এসেছি ভাই জানালা দিয়ে দেখে
খেলছ তোমরা কেমন করে এই আমাকে রেখে?
এটা বলার সাথে সাথেই দেখি কেউই নেই
ভয়ে বলি কোথায় গেলে তোমরা সবাই এই?
জোরে বলি বুঝছি না তো আজব ব্যাপারখানা
মা তখনই বলেন ওরা মেছো ভূতের ছানা,
আমি না এলে এখন তোমার বিপদ হতো এতে
ছোটবেলা একা খোকন হয় না বাইরে যেতে।
বাঘ পরেছে হরিণ জ্যাকেট
বাঘ পারে না খেতে হরিণ অনেক অনেক দিন,
যার কারণে মুখখানা তার হয়েছে মলিন।
বাঘ দেখলেই দৌড়ে হরিণ পালিয়ে যায় দূরে,
এই বেদনায় বাঘের বুকটা খাচ্ছে কুরেকুরে।
বুদ্ধি এঁটে তাই গেল বাঘ এক দর্জির বাড়ি,
বলল গিয়ে হরিণ জ্যাকেট বানাও তাড়াতাড়ি।
হরিণ সেজে হরিণ খাবো এই ছলনার দ্বারা,
জলদি করো পেটে আমার ভীষণ ক্ষুধার তাড়া।
জ্যাকেট গায়ে দিয়ে বাঘে গেলে নদীর পাড়,
অন্য বাঘে হরিণ ভেবে কামড়ালো তার ঘাড়।
লুটিয়ে সে কেঁদে বলে যাচ্ছি ব্যথায় মরে,
এই ছলনা কেন আমি করতে গেলাম ওরে।
লোভের বশে এ ভুল করে শাস্তি পেলাম তাই,
ছলনাতে আর কখনও কেউ নিও না ঠাঁই।