দ্রোহের জুলাই
মুহূর্ত সব মুখর ছিলো
মৃত্যু ছিলো মুঠোয়
ইস্রাফিলের শিংগা বাজে
সময় দুপুর দুটোয়!
ফুলের কুসুম ঝরছিলো সব
বারুদ লেগে বোঁটায়
এমনি করেই ইতিহাস তো
নতুন সূর্য ওঠায়।
উঠলো সুরুজ কাটলো আঁধার
তাই ভেবে বুক ফুলাই
আগস্ট মাসেই কে দেখেছে
এমন দ্রোহের জুলাই!
জুলাই দিয়া ফুলাই
শাবাশ শাবাশ জুলাই
তোমার নামে মাথা তুলে
বুকের ছাতি ফুলাই
শাবাশ শাবাশ জুলাই!
শাবাশ শাবাশ জুলাই
তোমার মর্মে বীরের ধর্মে
দস্যু হলো লুলাই
শাবাশ শাবাশ জুলাই!
শাবাশ শাবাশ জুলাই
পিলখানার দরদাম সব
ময়দানে আজ মুলাই
সাবাশ শাবাশ জুলাই!
শাবাশ শাবাশ জুলাই
আগে ঝুলতো ফেলানি আর
এখন উলটা ঝুলাই
শাবাশ শাবাশ জুলাই!
শাবাশ শাবাশ জুলাই
তোমার জাদুর কাছে দাদু
দেখছে চোখে ঘোলাই
শাবাশ শাবাশ জুলাই!
শহীদি মার্চে
মার্চ দেখেছি হাজার তবে
এই শহীদি মার্চে
মানুষ শুধু মানুষ দ্যাখেন
কম ছিল তা কার চে’?
মানুষ ছিল লাখো যেমন
আবেগ ছিল গাঢ়
খুশির সাথে শহীদ ভাইয়ের
স্মরণ ছিলো আরো।
চোখে চোখে আশা ছিলো
নতুন ভাষা মুখে
বিপ্লবী দিন জাগর ছিলো
সাগর সমান বুকে।
আবু সাঈদ-মুগ্ধ বলে
শেষ হয়নি যুদ্ধ
এই ধ্বনিতে মুখর ছিল
জোয়ান-বুড়ো সুদ্ধ।
শুভদিনের দীপ্তি ছিলো
আওয়াজ ছিলো পায়ে
ফ্যাসির প্রতি ঘিন্না ছিলো
পথের ডানে বাঁয়ে।
অমর তুমি
ভয়ের বাজার চড়া যখন
জয়ের শপথ করলে
বুক চিতিয়ে সাঈদ তুমি
নতুন নজির গড়লে।
শির উঁচিয়ে দুহাত মেলে
যেই না জেগে উঠলে
ভয়ংকরের বুলেট বুকে
পলাশ হয়ে ফুটলে।
জীবন নিয়ে দারুণ হেলায়
দ্রোহের খেলা খেললে
জুলুমশাহীর চোখেমুখে
ভয়ের ছায়া ফেললে।
মরণজয়ী সাঈদ তুমি
স্মরণ জুড়ে থাকবে
যুগে যুগে কাল তোমাকে
অমর বলে ডাকবে।
জানে
যুগে যুগে প্রমাণ আছে
ইতিহাসের সমান আছে-
ছাত্ররা-
পড়ার সময়
পড়তে জানে
লড়ার সময়
লড়তে জানে
বুক চিতিয়ে
মরতে জানে
সোনার স্বদেশ
গড়তে জানে।
ছাত্ররা-
স্বপ্ন বাজি
ধরতে জানে
পথ তো পায়ে
ভরতে জানে
ভয়ের ঘাড়ে
চড়তে জানে
আর প্রতিরোধ
করতে জানে।
মানুষ নাকি মেশিন
মেশিন ভাঙার শোক দেখেছি
মানুষ মরায় বোবা
রক্তে নদী যাচ্ছে ভেসে
তাও দ্যাখো না ডোবা!
বলছো ওরা মরলো কেন
মরার অত শখে!
রক্ত তুমি তাও দ্যাখো না
তোমার হাতে নখে।
ত্যাগ দ্যাখো না ড্রাগ দ্যাখো ফের
দ্রোহের দরাজ বুকে
মিথ্যা ছাড়ো মুখ ঢাকো না
লজ্জা কি নাই মুখে!
এই সাওয়ালেও দুঃশাসনের
বিবেক কি আর জাগে!
তাই দেখি আজ মানুষ থেকে
মেশিনগুলাই আগে?
শাটডাউন
শাটডাউন শাটডাউন
বাস বাজার ঘাট ডাউন
রেল লঞ্চ ও হাট ডাউন
শাটডাউন শাটডাউন।
শাটডাউন শাটডাউন
অফিস দোকানপাট ডাউন
ইস্কুল কলেজ মাঠ ডাউন
শাটডাউন শাটডাউন।
শাটডাউন শাটডাউন
অধিকারে অবরোধে
প্রতিবাদে প্রতিরোধে
সারা দেশ শাটডাউন।
দেশ এক পক্ষ এক
দেশটা যখন লক্ষ্য
দলমতের দ্বিধা ঝেড়ে
সক্কলে এক পক্ষ।
সিনায় সিনায় সিনা রেখে
গাজীর মতো দৃঢ়পদে
দেশকে করি রক্ষ।
দেশপ্রেমটা থাকলে বুকে
খোদার কৃপায় যায় হয়ে যায়
সবাই তখন দক্ষ।
সম্মিলিত শোরে তখন
উলটা পায়ে পালিয়ে যায়
সীমান্তের অই যক্ষ!
আঠারো কোটির গান
আঠারো কোটি ভাই আমরা
আঠারো কোটি সেনা
দেশের সম্মান স্বাধীনতা
সবার আগে চেনা।
সার্বভৌম স্বদেশ মাটি
মুক্ত রাখি লড়ে
আগ্রাসীরা বিফল হয়ে
হিংসাতে যায় মরে।
ডিসেম্বরে জিতছি যেমন
জুলাই-ও নিই জিতে
মুগ্ধ-সাঈদ অভিক সিনা
দেশের যত হিতে।
আঠারো কোটি সেপাই আমরা
আঠারো কোটি যোদ্ধা
জান দেবো তাও মান দেবো না
জানুক শকুন বোদ্ধা!
জেন-জি
[উৎসর্গ : আমার ছেলেমেয়েসহ সকল জেন-জিকে]
জেন-জি
জেন-জি
স্নিকার ও
জিন্স পরে
গায়ে পরে
গেঞ্জি!
বলি
চুপি চুপিও
কেউ পরে
পাঞ্জাবি;
সাথে দাড়ি
টুপিও!
যা পরুক
যা করুক
মেধাবী তো
পাক্কা
দেশপ্রেমে
ঘুরায় তো
সময়ের
চাক্কা।
জেন-জি
জেন-জি
কাজ করে
তয় কিছু
করে না তো
এনজি!
জেন-জি
জেন-জি রে
তাগো কাছে
তুচ্ছ তো
হাউন আর
বেনজিরে।
হিম্মত
গলাতক
ধাওয়া খেয়ে
পলাতক
ধাড়ি থেকে
চামচে
অন্যায়ে
বরাবরই
দেবে তারা
সরাসরি
খামচে!
আমরা তোমাদের ভুলব না
বুক হয়েছে চানমারি তার
খুনির নিশান চর্চা
বুকটা জুড়ে দাগ খতিয়ান
বাংলাদেশের পর্চা!
এমনি শত দ্রোহের বুকে
আজকে বুলেট বৃষ্টি
হাসিমুখে জীবন দেয়াই
বিপ্লবীদের কৃষ্টি।
দেশের জন্য হেসে যারা
এমন গুলি খাচ্ছে
তাদের স্মৃতির স্মরণে দেশ
‘ভুলব না’ গান গাচ্ছে।