টাইম ট্রাভেল নিয়ে বিজ্ঞান ও কল্পবিজ্ঞানে দীর্ঘদিন ধরে আলোচনা চলছে। যদিও সিনেমা ও গল্পে এটি আকর্ষণীয়ভাবে উপস্থাপিত হয়, বাস্তবে এর বৈজ্ঞানিক ভিত্তি কতটুকু তা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে।
ভবিষ্যতে যাওয়া সম্ভব?
আলবার্ট আইনস্টাইনের আপেক্ষিকতা তত্ত্ব অনুযায়ী, সময় ধ্রুব নয় বরং পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করে এর গতি পরিবর্তিত হতে পারে। যদি কেউ আলোর গতির কাছাকাছি বেগে ভ্রমণ করেন বা কোনো তীব্র মহাকর্ষীয় ক্ষেত্রে (যেমন কৃষ্ণগহ্বরের কাছে) থাকেন, তাহলে তার জন্য সময় ধীরগতিতে পার হবে। এই তত্ত্ব অনুযায়ী, ভবিষ্যতে যাওয়া সম্ভব।
অতীতে ফেরা কঠিন কেন?
বিজ্ঞানীরা অতীতে ফিরে যাওয়ার কোনো নিশ্চিত প্রক্রিয়া এখনো খুঁজে পাননি। কিছু তাত্ত্বিক মডেলে ‘ওয়ার্মহোল’ বা মহাজাগতিক সুড়ঙ্গের মাধ্যমে অতীত ভ্রমণের ধারণা দেওয়া হয়েছে, কিন্তু বাস্তবে এর অস্তিত্বের প্রমাণ নেই। এছাড়া, মহাবিশ্বে সময়কে একটি আবদ্ধ লুপ হিসেবে দেখা যেতে পারে, কিন্তু সেটিও শুধু তাত্ত্বিক পর্যায়ে রয়েছে।
কোয়ান্টাম মেকানিক্স ও টাইম ট্রাভেল
কোয়ান্টাম মেকানিক্সের কিছু নীতি, বিশেষ করে ‘নন-লোকালিটি’ বা কণা সংযোগ তত্ত্ব, সময় ভ্রমণের সম্ভাবনার ইঙ্গিত দেয়। তবে এটি তথ্য আদান-প্রদান এবং আলোর গতির সীমাবদ্ধতার কারণে এখনো বাস্তবে প্রমাণিত হয়নি।
বিজ্ঞানীরা একমত যে ভবিষ্যতে যাওয়া কিছু মাত্রায় সম্ভব, তবে অতীতে ফেরার পথ এখনো অস্পষ্ট। টাইম ট্রাভেল নিয়ে আরও গবেষণা প্রয়োজন, বিশেষ করে আপেক্ষিকতা তত্ত্ব ও কোয়ান্টাম মেকানিক্সের সংযোগ বোঝার জন্য।
বিবিসি