রোহিঙ্গাদের সঙ্গে সম্পর্কিত মামলার দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) জোর প্রচেষ্টা প্রত্যাশা করেছেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। তিনি বলেন, “বিশ্বের আর কোথাও যাতে গণহত্যা না ঘটে, তা নিশ্চিত করতে এই মামলার দ্রুত নিষ্পত্তি প্রয়োজন।”
আব্দুল মোমেন মঙ্গলবার (৪ জুলাই, ২০২৩) আইসিসির প্রসিকিউটর করিম এ.এ খানকে বলেন, “যত দ্রুত সম্ভব মামলাটি নিষ্পত্তি করার জন্য আপনাদের প্রচেষ্টা করা উচিত। বিচার বিলম্বিত হলে, ন্যায়বিচারকে অস্বীকার করা হয়।”
২০১৯ সালের নভেম্বর-এ আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) বিচারকরা আদালতের এখতিয়ারের মধ্যে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে সংঘটিত কথিত নৃশংসতার সম্পূর্ণ তদন্ত সম্পন্ন করার অনুরোধ মঞ্জুর করেন। তদন্ত শুরুর এই অনুমোদনকে ন্যায়বিচারের অন্বেষণ এবং সত্য প্রতিষ্ঠার জন্য একটি ‘উল্লেখযোগ্য উন্নয়ন’ হিসেবে মনে করা হয়। বিশেষ করে এই পরিস্থিতিতে অভিযুক্ত অপরাধের শিকারদের জন্য এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
প্রসিকিউটর অফিসের তদন্তকারীরা এখন সতর্কতার সঙ্গে এবং পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে মিয়ানমারে রোহিঙ্গা জনগণের সঙ্গে কী ঘটেছিলো; সেই ঘটনা তাদের বাংলাদেশে পালিয়ে যেতে বাধ্য করেছিল কিনা; সে সম্পর্কে সত্য উদঘাটনের চেষ্টা করছেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেন বলেন, “রোহিঙ্গা গণহত্যার সঙ্গে জড়িতদের জবাবদিহি করতে হবে। আমরা বলি আর কখনো গণহত্যা হবে না; এটা নিশ্চিত করতেই তা নিশ্চিত করতে হবে।” ড. মোমেন জানান, প্রসিকিউটর খান কক্সবাজার রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করবেন এবং আরআরআরসি’র সঙ্গে বৈঠক করবেন।
বাংলাদেশ/মিয়ানমার পরিস্থিতির তদন্ত শুরুর পর থেকে বাংলাদেশে এটা আইসিসি প্রসিকিউটর-এর দ্বিতীয় সফর। প্রসিকিউটর কক্সবাজারের শিবিরে শরণার্থীদের সঙ্গে কথা বলবেন এবং রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে সংঘটিত কথিত অপরাধের বিচারের জন্য নেয়া প্রচেষ্টা সংশ্লিষ্ট হালনাগাদ তথ্য জানাবেন।
করিম এ.এ খান বলেন, “আমাদের ন্যায়বিচার পেতে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। এটাই প্রয়োজন।” তিনি গত বছর ঢাকায় সাংবাদিকদের বলেছিলেন, জনগণের অধিকার নিশ্চিত করার জন্য ন্যায়বিচার একটি অপরিহার্য পূর্বশর্ত। সূত্র : ভয়েস অব আমেরিকা বাংলা