বক্তারা বললেন: মুক্তির একমাত্র পথ সাংস্কৃতিক বিপ্লব
জাতীয়তাবাদী লেখক ফোরামের আয়োজনে অনুষ্ঠিত হলো জাতীয় কবি আল মাহমুদ স্মরণে কবিতা আড্ডা ও স্মৃতিচারণসভা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এমবিএ ভবনে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, “নিজস্ব সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠা ছাড়া জাতির বিকাশ সম্ভব নয়। বিজাতীয় সংস্কৃতির আগ্রাসন থেকে মুক্তি পেতে হলে প্রয়োজন একটি সাংস্কৃতিক বিপ্লব।”
লেখক ফোরামের সভাপতি কবি শাহীন রেজার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভার সূচনা করেন আল মাহমুদ বিশ্লেষক ও আবৃত্তিকার নাসিম আহমেদ। কবিতাপাঠের মধ্য দিয়ে তিনি অনুষ্ঠান উদ্বোধন ঘোষণা করেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বরেণ্য কবি জাহাঙ্গীর ফিরোজ এবং প্রধান আলোচক ছিলেন কবি ও আল মাহমুদের ঘনিষ্ঠজন জাকির আবু জাফর।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জাহাঙ্গীর ফিরোজ বলেন, “বিজাতীয় সংস্কৃতির থাবা থেকে আমাদের সমাজ ও চিন্তাকে রক্ষা করতে সাংস্কৃতিক বিপ্লবের বিকল্প নেই।”
আলোচনায় জাকির আবু জাফর বলেন, “আল মাহমুদ মানেই বাংলাদেশ। তাঁর সাহিত্য ও দৃষ্টিভঙ্গির মধ্য দিয়ে আমাদের দেশকে দেখতে হবে।”
লেখক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক কবি ও শিক্ষাবিদ ড. শহিদ আজাদ বলেন, “আল মাহমুদ ছিলেন এক অনন্য চেতনার নাম। তিনি একটি সাংস্কৃতিক বিপ্লবের প্রতীক।”
সভাপতির বক্তব্যে কবি শাহীন রেজা বলেন, “জাতীয়তাবাদী চেতনার অন্যতম স্তম্ভ ছিলেন আল মাহমুদ। তাঁর প্রতি আস্থা রেখেই রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান তাঁকে জাসাসের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন।”
ফোরামের সাংগঠনিক সম্পাদক মোসলেহ উদ্দিনের পরিচালনা এবং দীপেস আনোয়ারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে কবিতা পাঠ ও আলোচনা পর্বে অংশ নেন—কবি কামরুজ্জামান, ছড়াকার আতিক হেলাল, ক্যামেলিয়া আহমেদ, সৈয়দ রনো, আবীর বাঙালি, মাহবুব শওকত, মঈন মুরসালিন, পলি রহমান, রি হোসাইন, আবুল খায়ের, এডভোকেট ইকবাল সেলিম, হাসান কামরুল, পারভীন শাহনাজ, রানা হোসেন, নূরুল আবছার, ও খালেদা সরদারসহ আরও অনেকে।
বক্তারা বলেন, আল মাহমুদের সাহিত্যচর্চা ও চেতনা শুধু কবিতার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, বরং তা জাতির সংস্কৃতি ও ভবিষ্যৎ দিকনির্দেশনায় অগ্রণী ভূমিকা রাখতে পারে। তাঁর আদর্শ লালন করলেই সত্যিকারের জাতীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠা সম্ভব।