খুলনায় পুলিশ পরিচয়ে অপহরণের সাড়ে পাঁচ ঘণ্টা পর উদ্ধার করা হয়েছে খাদ্য পরিদর্শক সুশান্ত কুমার মজুমদারকে। রবিবার (১৩ জুলাই) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে তেরখাদা উপজেলার আজগড়া বিআরবি উচ্চবিদ্যালয়ের মাঠ থেকে তাঁকে উদ্ধার করে পুলিশ। এ সময় তাঁর হাত, পা ও চোখ বাঁধা ছিল।
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের উপ-কমিশনার আবুল বাশার মোহাম্মদ আতিকুর রহমান জানিয়েছেন, খবর পাওয়ার পরপরই খুলনা সদর থানার পুলিশের একাধিক ইউনিট অভিযান শুরু করে। পুলিশের তৎপরতায় অপহরণকারীরা আতঙ্কিত হয়ে সুশান্তকে ফেলে পালিয়ে যায়।
অপহৃত সুশান্ত কুমার মজুমদার খুলনা নগরের ৪ নম্বর ঘাট এলাকার খাদ্য পরিদর্শক ও ইনচার্জ হিসেবে কর্মরত। তাঁর বাড়ি বাগেরহাট জেলার চিতলমারী উপজেলায়।
খুলনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাওলাদার সানওয়ার হোসাইন মাসুম বলেন, উদ্ধারকৃত সুশান্তকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। অপহরণকারীরা তাঁর পরিবারের কাছে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের (এমএফএস) মাধ্যমে মুক্তিপণ দাবি করে। পরিবার থেকে কিছু অর্থ পরিশোধও করা হয়। এর সূত্র ধরে রূপসা উপজেলার সেনের বাজার এলাকার এক মোবাইল ব্যাংকিং এজেন্টকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রোববার সন্ধ্যা ৭টার দিকে খুলনার ৪ নম্বর ঘাট এলাকা থেকে ‘পুলিশ’ পরিচয়ে কয়েকজন ব্যক্তি সুশান্ত কুমারকে জোর করে একটি ট্রলারে তুলে নেন। একজন পথচারী সেই ঘটনার একটি ভিডিও ধারণ করেন, যাতে দেখা যায়, এক ব্যক্তিকে জোর করে ট্রলারে তোলা হচ্ছে এবং তাঁর আর্তচিৎকার শোনা যাচ্ছে। এরপর ট্রলারটি দ্রুত সরে পড়ে।
ঘটনার পরপরই ভুক্তভোগীর স্ত্রী মাধবী রানী মজুমদার খুলনা সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, মো. রেজা ও বাবু মণ্ডল নামের দুই ব্যক্তি এবং আরও তিনজন পুলিশ পরিচয়ে তাঁর স্বামীকে হাতকড়া পরিয়ে তুলে নিয়ে যান। অভিযোগে বলা হয়, বাবু মণ্ডল এর আগেও তাঁর স্বামীর কাছে একাধিকবার টাকা দাবি করেছিলেন।
এ ঘটনায় এখনো কাউকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়নি। পুলিশ বলছে, অপহরণ চক্রকে শনাক্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।