গাজায় চলমান সংঘাতের অবসান ঘটাতে আলোচনায় অগ্রগতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন এক ফিলিস্তিনি কর্মকর্তা। তার মতে, সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে একটি অস্থায়ী যুদ্ধবিরতি কার্যকর হতে পারে। যদিও চুক্তির শর্ত এবং ইসরায়েলি সেনাদের প্রত্যাহার নিয়ে এখনো মতবিরোধ রয়ে গেছে।
মূল জটিলতা তৈরি হয়েছে গাজার কোন কোন এলাকা থেকে ইসরায়েলি সেনারা সরে যাবে, সেই সংক্রান্ত মানচিত্র নিয়ে। ইসরায়েল দুইবার প্রস্তাবিত ম্যাপ দিয়েছে, কিন্তু হামাস উভয়বারই তা প্রত্যাখ্যান করেছে। কারণ এই মানচিত্রগুলোতে দেখা গেছে, যুদ্ধবিরতির সময়েও গাজার বড় অংশ ইসরায়েলের নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
বিশেষ করে গাজার দক্ষিণাঞ্চলের ‘মোরাগ করিডর’ নিয়ে সবচেয়ে বেশি আপত্তি তুলেছে হামাস। এই অঞ্চলে ইসরায়েল একটি ‘মানবিক শহর’ তৈরি করতে চায়, যেখানে গাজার সাধারণ মানুষদের সরিয়ে নিয়ে আটকে রাখা হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। হামাস বলছে, এটি একটি মানবিক ফাঁদ, যা তারা কোনোভাবেই মানতে পারবে না।
মধ্যস্থতাকারী দেশগুলো আশা করেছিল, নতুন প্রস্তাবে অগ্রগতি হবে। কিন্তু গাজার এক-তৃতীয়াংশে ইসরায়েলি সেনা রাখার পরিকল্পনা আলোচনায় অচলাবস্থার সৃষ্টি করেছে। তবুও সংশ্লিষ্ট একজন ফিলিস্তিনি কর্মকর্তা আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেছেন, আলোচনার মাধ্যমে এই সমস্যা সমাধান সম্ভব এবং যুদ্ধবিরতি শিগগিরই বাস্তবে রূপ নিতে পারে। তবে ইসরায়েলের পক্ষ থেকে এক কর্মকর্তা বলেছেন, চুক্তি কার্যকরে এখনো কয়েক সপ্তাহ সময় লাগতে পারে।
বর্তমান পরিস্থিতি ইঙ্গিত দিচ্ছে, আলোচনার দরজা খোলা থাকলেও গাজায় যুদ্ধবিরতির জন্য অপেক্ষা এখনো শেষ হয়নি।
গাজায় অবশেষে যুদ্ধবিরতির সম্ভাবনা
11