২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারি অথবা এপ্রিল মাসে জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের লক্ষ্যে ২০২৫ সালের ডিসেম্বরের মধ্যেই সব প্রস্তুতি শেষ করতে নির্দেশ দিয়েছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। স্বরাষ্ট্র ও জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টাসহ উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকের পর এই সিদ্ধান্তের ঘোষণা আসে।
বিএনপি প্রধান উপদেষ্টার এই পদক্ষেপকে ‘ইতিবাচক’ বলে ধন্যবাদ জানিয়েছে। দলটি বলছে, অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজনের জন্য দ্রুত প্রস্তুতি দরকার। জামায়াতও সরকারের ওপর আস্থা রাখছে, তবে সুষ্ঠু পরিবেশ ও লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিতের ওপর জোর দিচ্ছে।
অন্যদিকে, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) জুলাই সনদের অনিশ্চয়তা ও সংস্কার কার্যক্রমের ধীরগতিতে শঙ্কা প্রকাশ করেছে। তাদের অভিযোগ, সরকার দুইবার জুলাই সনদের প্রতিশ্রুতি দিয়েও তা বাস্তবায়ন করেনি।
নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যেই ভোট হতে পারে ধরে নিয়েই তারা প্রস্তুতি নিচ্ছে। নির্বাচন বিশেষজ্ঞদের মতে, ভোটার তালিকা, নির্বাচনি এলাকার সীমানা নির্ধারণ ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ হবে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।
রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মতপার্থক্য থাকলেও অধিকাংশই এখন নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই নির্বাচন দেখতে চায়, তবে তা যেন হয় গ্রহণযোগ্য, অংশগ্রহণমূলক এবং অবাধ—এটাই সর্বসম্মত প্রত্যাশা।