রাজশাহীতে বই পাঠের মাধ্যমে জ্ঞান অর্জনের উৎসবমুখর পরিবেশে পুরস্কার পেল ২,৩০৩ জন শিক্ষার্থী। শনিবার জেলা শিল্পকলা একাডেমির মিলনায়তনে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের আয়োজনে এবং গ্রামীণফোনের সহযোগিতায় দিনব্যাপী এই পুরস্কার বিতরণ উৎসব অনুষ্ঠিত হয়।
৫৬টি স্কুলের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত এই আয়োজনে বিভিন্ন ক্যাটেগরিতে পুরস্কার পান ২,৩০৩ জন পাঠক শিক্ষার্থী। এর মধ্যে ৩৮টি স্কুলের ১,৬৬৪ জন শিক্ষার্থী সরাসরি মঞ্চে উঠে পুরস্কার গ্রহণ করে।
উৎসবে উপস্থিত ছিলেন বিভাগীয় কমিশনার খোন্দকার আজিম আহমেদ, রাজশাহীর জেলা প্রশাসক আফিয়া আখতার, পাখি ও প্রকৃতি বিষয়ক লেখক এবং আলোকচিত্রী ইনাম আল হক, এবং বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. আবদুন নূর তুষার।
জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। শুভেচ্ছা বক্তব্যে বিভাগীয় কমিশনার বলেন, “বই পড়া মানে জ্ঞানের দরজা খুলে দেওয়া। এটি মানুষকে মুক্তভাবে ভাবতে শেখায়।” তিনি শিক্ষার্থীদের আরও বেশি বই পড়ার আহ্বান জানান।
ইনাম আল হক স্মৃতিচারণ করে বলেন, “আমার জীবনের প্রথম শিক্ষক ছিলেন মা। জীবনের পাঠ তাঁর কাছ থেকেই নিয়েছি। শিক্ষাজীবনে অনেক সাফল্য পেলেও মায়ের চোখে গৌরবের মানদণ্ড ছিল আলাদা। আমি বিশ্বাস করি, নারীর ভাষা ও জ্ঞান দিয়েই পরিবার ও সমাজকে সুন্দর করা সম্ভব।”
গ্রামীণফোনের রাজশাহী অঞ্চলের প্রধান মাহমুদুল হাসান বলেন, “তরুণরাই আগামীর ভবিষ্যৎ। তাদের মধ্যে মানবিকতা ও মানসিক উৎকর্ষ গড়ে তুলতেই আমরা দুই দশক ধরে এ উদ্যোগের সঙ্গে আছি।”
পাঠাভ্যাস গড়ে তোলার এমন উদ্যোগ শিক্ষার্থীদের মাঝে নতুন উদ্দীপনা জাগিয়েছে। বইপড়ার মধ্য দিয়ে তারা এগিয়ে যাবে আলোকিত ভবিষ্যতের পথে—এমনটাই প্রত্যাশা আয়োজকদের।