খুলনা প্রতিনিধি
কবি আজাদুল হক আজাদের প্রথম কাব্যগ্রন্থ বিপ্লবী পাসওয়ার্ড ২০২৫ সালের একুশে বইমেলায় সংযোগ থেকে প্রকাশিত হয়। এ কাব্যগ্রন্থের জন্য কবি আজাদ পেয়েছেন দুটি সম্মাননা। নতুনতারা সমাজ কল্যাণ ও সাহিত্য সংস্থা কর্তৃক খুলনার বজ্রদীপ্ত কবি উপাধি ও সম্মাননা ক্রেস্ট এবং বাংলাদেশ ডিবেটিং সোসাইটি (বিডিএস) কর্তৃক বিপ্লবী কবি উপাধি ও সম্মাননা ক্রেস্ট।
বিপ্লবী পাসওয়ার্ড বইটি প্রতিবাদী সাহিত্যের এক অনন্য দৃষ্টান্ত হিসেবে ইতোমধ্যেই পাঠকমহলে আলোচিত। এখানে উঠে এসেছে কবির স্বাধীনচেতা, অকুতোভয় এবং দৃঢ় মনোভাব। যেখানে তিনি তৎকালীন ক্ষমতাসীন ফ্যাসিস্টের বিরুদ্ধে উচ্চারণ করেছেন ঘৃণা, বিদ্বেষ, বিদ্রোহ ও প্রতিহতের হুঙ্কার। এ কাব্যগ্রন্থে কবি কেবল রাষ্ট্রীয় নিপীড়নের নিন্দাই করেননি, বরং প্রকৃত স্বাধীনতার জন্য এক গভীর আকুতি ও নিজের জীবন সার্বভৌমত্ব রক্ষাকারী হিসেবে উৎসর্গ করার মনোবাসনাও তুলে ধরেছেন। বিপ্লবী পাসওয়ার্ড তাই শুধুই কবিতা নয়—এটি একটি বিপ্লবী দলিল, এক রক্তাক্ত সময়ের সাক্ষ্য এবং ভবিষ্যতের প্রতিরোধ সংগ্রামের ম্যানিফেস্টো।
আজাদুল হক আজাদ বরাবরই অন্যায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন। তাঁর ক্ষুরধার লেখা ও প্রতিবাদী মনোভাব সহ্য করতে না পেরে ২০২২ সালে আওয়ামী ফ্যাসিস্ট গোষ্ঠী তার ওপর জান-নেওয়া হামলা চালায় বলে অভিযোগ রয়েছে। ২০২৪ এর স্বৈরাচারী ও ফ্যাসিবাদী শাসনের বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতার মহাবিপ্লব ৩৬ জুলাই এর প্রত্যক্ষ সাক্ষী তিনি এবং এই যুদ্ধের একজন শব্দযোদ্ধা। এই বিপ্লবের রক্তাক্ত ইতিহাস, দমন-পীড়ন ও রাষ্ট্রীয় গণহত্যা আজাদের কবিতায় রূপ নিয়েছে অগ্নিঝরা ছন্দে। সমালোচকরা মনে করেন, বিপ্লবী পাসওয়ার্ড একটি সময়ের দলিল; যা নতুন প্রজন্মকে জাগিয়ে তুলবে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের অনুপ্রেরণায়।
নিজের সাহিত্যকর্ম সম্পর্কে আজাদুল হক আজাদ বলেন, ‘আমার কলম নিপীড়কের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ এবং শোষিতের পক্ষে প্রতিরোধের অস্ত্র। স্বাধীনতা শুধু অতীত নয়, প্রতিদিনের অর্জন আর সেই অর্জনে যদি কলমের কালির সাথে নিজের রক্ত লাগে, আমি তা দিতেও প্রস্তুত।’