যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বিভিন্ন দেশের পণ্যের ওপর নতুন শুল্ক আরোপ করেছেন, যার মধ্যে বাংলাদেশের পণ্যের শুল্ক ১৫ শতাংশ থেকে ৩৭ শতাংশে বাড়ানো হয়েছে। এই শুল্ক বৃদ্ধির প্রভাব বৈশ্বিক অর্থনীতিতে ব্যাপকভাবে পড়বে। যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক আয়ের গ্রাফ থেকে দেখা যায়, এটি এক শতাব্দীর মধ্যে সবচেয়ে বড় বৃদ্ধি, যা ত্রিশের দশকের উচ্চ সংরক্ষণবাদী সময়ে দেখেছিল।
ট্রাম্পের নীতি অনুযায়ী, সব আমদানির ওপর ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হবে, এবং এরপর কয়েক ডজন দেশের ওপর অতিরিক্ত পাল্টা শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। এশিয়ার দেশগুলোর ওপর শুল্ক বৃদ্ধির ফলে অনেক ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান এবং কলকারখানার কাঠামো ভেঙে পড়তে পারে, এবং এটি ব্যবসায়িক সরবরাহ ব্যবস্থাকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করবে।
এই শুল্ক বৃদ্ধির উদ্দেশ্য যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য-ঘাটতি কমানো এবং বাইরের দেশগুলো থেকে অতিরিক্ত উদ্বৃত্ত পণ্য আমদানি বন্ধ করা। তবে, এই নীতি অনেক দেশের জন্য শাস্তিমূলক হতে পারে, বিশেষ করে এশিয়ার দেশগুলোর জন্য। চীনের মতো দেশগুলো সেসময় বিশেষভাবে প্রভাবিত হবে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রশাসন দাবি করছে, এই শুল্ক বৃদ্ধির ফলে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি উপকৃত হবে, তবে বাস্তবে এই শুল্ক বৃদ্ধি বিশ্ববাণিজ্য এবং অর্থনীতির গতিপথ পরিবর্তন করবে। বিশ্বের বৃহত্তম ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলোর সরবরাহ চেইন ভেঙে পড়তে পারে, যার ফলে দাম বৃদ্ধি এবং উৎপাদন ব্যাহত হতে পারে।
এছাড়া, ইউরোপে যুক্তরাষ্ট্রের ব্র্যান্ডগুলো বর্জন করতে পারে, এবং যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তিপণ্যের আধিপত্য হুমকির মুখে পড়তে পারে। এক্ষেত্রে, যুক্তরাষ্ট্রের কর্তৃপক্ষকে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করতে সুদের হার বাড়াতে হতে পারে। এর ফলে, একটি নতুন বাণিজ্যযুদ্ধের সৃষ্টি হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।