গাজায় টানা সহিংসতা ও মানবিক বিপর্যয়ের পর অবশেষে যুদ্ধবিরতির সম্ভাবনা আলোচনায় এসেছে। যদিও গত এক বছরে বহুবার এমন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, প্রতিবারই তা ভেস্তে গেছে ইসরায়েলি হামলা কিংবা রাজনৈতিক অচলাবস্থার কারণে।
বর্তমানে মধ্যস্থতাকারী পক্ষগুলো যুদ্ধবিরতি নিশ্চিত করতে আবারও তৎপর হয়েছে। তবে ইসরায়েলের অবস্থান এখনো আগের মতোই—তারা বলছে, হামাস পুরোপুরি ধ্বংস না হলে যুদ্ধ থামবে না। এর বিপরীতে, হামাস স্থায়ী যুদ্ধবিরতি ও ইসরায়েলি বাহিনী গাজা থেকে সম্পূর্ণ প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে আসছে।
গাজায় এখনো প্রায় ৫০ জন ইসরায়েলি জিম্মি অবস্থায় রয়েছেন, যাদের মধ্যে অন্তত ২০ জনের জীবিত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। এই জিম্মিদের মুক্তির বিষয়টিও আলোচনার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
এই সপ্তাহেই গাজা শহরের একটি ক্যাফেতে ইসরায়েলি বিমান হামলায় অন্তত ২০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হন, যা পরিস্থিতিকে আরও উত্তপ্ত করে তুলেছে। এর পাশাপাশি বিতর্কিত GHF ত্রাণ সংস্থা নিয়ে আন্তর্জাতিক চাপ বাড়ছে, যেখানে ১৭০টিরও বেশি এনজিও সংস্থাটি বন্ধের দাবি জানিয়েছে।
এর আগেও জানুয়ারিতে তিন ধাপের যুদ্ধবিরতি চুক্তি হয়েছিল, যার প্রথম ধাপ শেষ হওয়ার আগেই ইসরায়েল নতুন করে হামলা চালায়। মার্চে সেই চুক্তি সম্পূর্ণভাবে ভেঙে পড়ে।
বর্তমান আলোচনার মাধ্যমে একটি স্থায়ী যুদ্ধবিরতির সম্ভাবনা তৈরি হলেও, বাস্তবতা বলছে—এখনো পথ অনেক কঠিন। আন্তর্জাতিক মহলের চাপ, গাজায় মানবিক বিপর্যয় এবং রাজনৈতিক সমঝোতা—সবকিছু মিলিয়ে পরবর্তী কয়েক সপ্তাহ হবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
