সামাজিক মাধ্যমে হঠাৎ ছড়িয়ে পড়া গান, পুরান ঢাকার শুটিং আর পর্দার ‘গুলবাহার’-এর পেছনের গল্প
‘দাঁড়ালে দুয়ারে’ আর ‘নিঠুর মনোহর’ দিয়ে শ্রোতামহলে জায়গা করে নিয়েছেন তরুণ গায়ক ঈশান মজুমদার। মাস দেড়েক আগে প্রকাশিত তাঁর গান ‘গুলবাহার’ সম্প্রতি হঠাৎ করেই ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। এই গান, তার পেছনের গল্প ও আগামী পরিকল্পনা নিয়ে কথা বলেন ঈশান।
হঠাৎ ছড়িয়ে পড়া ‘গুলবাহার’
প্রকাশের শুরুতে খুব বেশি আলোচনায় না এলেও ‘গুলবাহার’ গানটি শ্রোতাদের মধ্যে ভালো সাড়া ফেলেছিল। ঈশান বলেন, “রিলস আর টিকটকের যুগে কোন গান কখন ছড়াবে, তা বলা যায় না। ‘গুলবাহার’ একটু ধীরে ছড়ালেও, কাছের মানুষদের প্রশংসা ও ভালোবাসা পেয়ে আমরা আশাবাদী ছিলাম। হঠাৎ করে গানটা ভাইরাল হওয়ায় বিভিন্ন বয়সী শ্রোতার কাছেও পৌঁছাতে পেরেছি।”
গানটির ভাবনা ও সুর
‘গুলবাহার’ একধরনের এক্সপেরিমেন্টাল লেখা ছিল। প্রেমিকার হারিয়ে যাওয়ার বেদনা, তাকে স্মরণ করে রাখা—এসব ভাবনা থেকেই গানটি তৈরি। ঈশান জানান,
“গুলবাহার এমন একজন, যাকে সবাই চেনে, কিন্তু এখন সে শুধু অনুভবে রয়ে গেছে।”
মেলোডিনির্ভর গান বেছে নেওয়ার ব্যাখ্যায় তিনি বলেন,
“মেলোডি মানুষের মনে একধরনের ঘোর তৈরি করে। শ্রোতারা গানের আবহে ডুবে যেতে পারেন। এ কারণে মেলোডি ছিল সবচেয়ে উপযুক্ত মাধ্যম।”
পুরান ঢাকায় শুটিং
গানটির ভিডিও শুট হয়েছে পুরান ঢাকায়, যা ছিল চ্যালেঞ্জিং। গরম ও ব্যস্ততার মাঝেও টিম কাজ শেষ করেছে সফলভাবে। শুটিং শেষে ঈশানের ভাষায়, “পুরান ঢাকার খাবার খেয়ে উৎফুল্ল হয়েই ফিরেছিলাম।”
পর্দার ‘গুলবাহার’
ভিডিওতে গুলবাহারের মুখ দেখানো হয়নি। এ কারণে অনেকেই চরিত্রে অভিনয়ে আগ্রহ দেখাননি। পরে পরিচিত এক বন্ধুর সহায়তায় চরিত্রটির জন্য একজনকে পাওয়া যায়।
“তিনি যেভাবে অভিনয় করেছেন, আর্টের প্রতি তাঁর দায়বদ্ধতা আমাদের মুগ্ধ করেছে,” বলেন ঈশান।
সাফল্যের ধারাবাহিকতা
‘দাঁড়ালে দুয়ারে’, ‘নিঠুর মনোহর’ ও ‘গুলবাহার’—তিনটি গানই পেয়েছে শ্রোতার ভালোবাসা। ঈশান বলেন,
“আমি আমার মতো করে গান বানাই, গাই। মানুষ যে এতটা পছন্দ করেছে, সেটা আমার জন্য পরম পাওয়া।”
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা
নিয়মিত গানের কাজ করছেন বলে জানান ঈশান। কয়েকটি নতুন গানের কাজ এগিয়ে চলেছে।
“নিয়মিত হওয়ার চেষ্টা করছি। ধীরে ধীরে এগোচ্ছি,” বলেন এই তরুণ গায়ক।