32
জীবনযাপন ডেস্ক
স্কেলিং হলো দাঁত পরিষ্কারের একটি চিকিৎসা পদ্ধতি, যেখানে দাঁতের গোড়ায় জমে থাকা পাথর ও ব্যাকটেরিয়া বিশেষ যন্ত্রের মাধ্যমে পরিষ্কার করা হয়। এটি কোনো শল্যচিকিৎসা নয়; বরং দাঁত ও মাড়ির পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখতে নিয়মিতভাবে করানো প্রয়োজন। বিশেষ করে মাড়ির মৃদু ও মাঝারি তীব্রতার রোগ নিরাময়ে দন্তচিকিৎসকেরা স্কেলিংয়ের পরামর্শ দেন।
স্কেলিং করালে কী হয়
- দাঁতে জমে থাকা ময়লা ও পাথর পরিষ্কার হয়ে যায়।
- মাড়ির ব্যথা ও রক্ত পড়া কমে আসে।
- মাড়ির ক্ষয় রোধ করা সম্ভব হয়।
- মুখে দুর্গন্ধের সমস্যা কমে, কারণ ব্যাকটেরিয়ার বিস্তার নিয়ন্ত্রণে থাকে।
- দাঁত দেখতে সুন্দর হয়।
- স্কেলিং করাতে সময় লাগতে পারে, বিশেষত দাঁতে ময়লা জমে থাকলে। তাই পর্যাপ্ত সময় হাতে নিয়ে দন্তচিকিৎসকের কাছে যাওয়া ভালো। চিকিৎসা শেষে দাঁত-মাড়ির সঠিক যত্ন নেওয়া জরুরি, যাতে দ্রুত পুনরায় স্কেলিংয়ের প্রয়োজন না পড়ে।
সম্ভাব্য অস্থায়ী পরিবর্তন
- স্কেলিংয়ের পর কয়েক দিন মাড়ি থেকে অল্প রক্ত পড়তে পারে।
- দাঁত ও মাড়িতে হালকা ব্যথা বা অস্বস্তি থাকতে পারে।
- মাড়ির ফোলাভাব কমে গেলে দাঁতের গোড়া কিছুটা বেশি দেখা যেতে পারে।
- কারও কারও দাঁত ঠান্ডা বা গরম খাবারের প্রতি অতিসংবেদনশীল হতে পারে, যা সাধারণত এক থেকে দুই মাসের মধ্যে সেরে যায়।
- না করালে কী হয়
- দন্তবিশেষজ্ঞের পরামর্শে স্কেলিং করানো উচিত। প্রয়োজন থাকা সত্ত্বেও না করালে—
- দাঁত ও মাড়ির সংক্রমণ আরও বেড়ে যেতে পারে।
- মুখে স্থায়ী দুর্গন্ধ ও ব্যথার সমস্যা হতে পারে।
- মারাত্মক সংক্রমণের ঝুঁকি তৈরি হয়।
- এমনকি দাঁত পড়ে যাওয়ার পরিস্থিতিও দেখা দিতে পারে।
তাই দাঁতের পাথর বা মাড়ির সমস্যায় অবহেলা না করে দ্রুত দন্তচিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়াই সবচেয়ে নিরাপদ উপায়।
সূত্র: ক্লিভল্যান্ড ক্লিনিক