লাইফস্টাইল প্রতিবেদন
আধুনিক জীবনে দেরি করে ঘুমানো যেন নিত্যদিনের অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। কাজের ব্যস্ততা, সামাজিক মাধ্যম কিংবা রাতভর সিরিজ দেখা—সব মিলিয়ে রাত গড়ায় অনেক দূর, আর সকালে বিছানা ছাড়াটা হয়ে দাঁড়ায় একপ্রকার যুদ্ধ। অথচ গবেষণা বলছে, নিয়মিত ও মানসম্মত ঘুম শরীর ও মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বাড়ায়, প্রতিরোধ ক্ষমতা মজবুত করে এবং মানসিক স্বাস্থ্যের ওপরও ইতিবাচক প্রভাব ফেলে।
তাহলে কীভাবে গড়ে তুলবেন সকালে সতেজভাবে ওঠার অভ্যাস? বিশেষজ্ঞদের মতে, কয়েকটি সহজ নিয়ম মেনে চললেই এই সমস্যার সমাধান সম্ভব।
সময় নির্দিষ্ট করুন
আমাদের শরীর সার্কাডিয়ান রিদম বা জৈব ঘড়ির ওপর নির্ভরশীল। প্রতিদিন একই সময়ে ঘুমানো ও জাগার অভ্যাস শরীরের এই প্রাকৃতিক চক্রকে সঠিক রাখে। তাই নির্দিষ্ট সময় ঠিক করুন—উইকেন্ডেও সেই রুটিন বজায় রাখুন।
ঘুমের আগে শরীরচর্চা
ঘুমাতে যাওয়ার অন্তত আধা ঘণ্টা আগে ১৫ মিনিটের হালকা ব্যায়াম ঘুম আসতে সাহায্য করে। এতে ঘুম গভীর হয়, ফলে সকালে ঘুম ভাঙা সহজ হয়। এছাড়া রাতের খাবারের পর সামান্য হাঁটাহাঁটি ঘুমকে আরও স্বস্তিদায়ক করে।
ঘুমানোর আগে মোবাইল দূরে রাখুন
ফোন, ট্যাব বা ল্যাপটপের নীল আলো ঘুমের জন্য জরুরি মেলাটোনিন হরমোনকে কমিয়ে দেয়। তাই ঘুমানোর অন্তত ৩০ মিনিট আগে সব ধরনের স্ক্রিন থেকে দূরে থাকুন।
সকালের আলো গ্রহণ
ঘুম থেকে ওঠার পর প্রাকৃতিক আলো শরীরে পড়লে কর্টিসল হরমোন নিঃসৃত হয়, যা শরীরকে জাগিয়ে তোলে। তাই সকালে উঠেই জানালার পর্দা সরিয়ে দিন বা কয়েক মিনিট বাইরে দাঁড়ান।
পর্যাপ্ত ঘুম
প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য প্রতিদিন ৭–৮ ঘণ্টা ঘুম অপরিহার্য। সকালে কখন উঠবেন তা মাথায় রেখে অন্তত আট ঘণ্টা আগে শুতে যান। পর্যাপ্ত ঘুম হলে সকালে ঘুম ভাঙাও সহজ হবে।
রাতে চা-কফি নয়
সন্ধ্যার পর থেকে চা, কফি কিংবা চকোলেট এড়িয়ে চলুন। এসব খাবারে থাকা ক্যাফেইন ঘুম নষ্ট করে। পাশাপাশি অতিরিক্ত মসলাদার বা ভারী খাবারও এড়িয়ে চলা জরুরি।