
ক্রিং ক্রিং ক্রিং।
রিসিভ করতেই সালাম বিনিময়। কেমন আছিস, কোথায় থাকিস, কী করিস? শালা! তোর কোনো খবরই পাওয়া যায় না আজকাল। একসাথে অনেক প্রশ্ন।
উত্তর দিলাম। কথা হলো। সুখ-দুঃখের স্মৃতি রোমন্থন করতে করতে দুজনই আবেগতাড়িত হয়ে পড়লাম। বহুদিন পরে ফোন দিয়েছে শৈশবের বন্ধু।
কথা শেষে ফোন টেবিলে রাখতেই মামণির প্রশ্ন, আব্বু, কে ফোন দিয়েছে?
আমার এক বন্ধু। মানে তোমার আঙ্কেল।
আবারও মামণি বলল, বুড়ো মানুষেরও বন্ধু থাকে?
তোমার বন্ধু! হা হা হা, হি হি হি। হাসতে হাসতে গুলুমুলু হয়ে গেল আমার একমাত্র মেয়ে মুবাশশিরা মাহবুবা।
আমি কৌতূহল নিয়ে জিজ্ঞেস করলাম, মামণি তুমি এভাবে হাসছো কেন?
আব্বু!
বলো-
তোমার কথা শুনে আমার খুব হাসি পাচ্ছে আজ!
কেন? প্রশ্ন করলাম আমি।
হা হা হা, কেন আবার! তোমারও বন্ধু আছে! আবারও জিজ্ঞেস করল সাত বছরের ছোট্ট মেয়ে।
হ্যাঁ, আমার অনেক অনেক বন্ধু আছে। মাত্র যে কথা বলল সে আমার খুব কাছের বন্ধু। সেরা বন্ধু। মানে বেস্ট ফ্রেন্ড!
আবারও মামণি বলল, বুড়ো মানুষেরও বন্ধু থাকে? বিস্ময় মুবাশশিরার মনে!