সাফ অনূর্ধ্ব-২০ নারী চ্যাম্পিয়নশিপ
শিরোপা ধরে রাখার লড়াইয়ে গোল ব্যবধানের গুরুত্ব ভীষণ। সেই লক্ষ্য মাথায় রেখেই আজ সাফ অনূর্ধ্ব-২০ নারী ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপে নিজেদের পঞ্চম ম্যাচে মাঠে নামে স্বাগতিক বাংলাদেশ। পয়েন্ট তালিকার তলানিতে থাকা শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথমার্ধে ২ গোল করেই সন্তুষ্ট থাকতে হয় লাল-সবুজের প্রতিনিধিদের। তবে দ্বিতীয়ার্ধে গতি বাড়িয়ে আরও তিনবার প্রতিপক্ষের জালে বল পাঠায় তারা। শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ জয় পায় ৫-০ গোলে। পূজা দাস জোড়া গোল করে জয়ের নায়িকা হন।
এর আগেই শ্রীলঙ্কাকে ৯-১ গোলে হারিয়েছিল বাংলাদেশ। সেই ম্যাচের তুলনায় আজ শ্রীলঙ্কার মেয়েরা রক্ষণে কিছুটা গোছানো ছিল। বিশেষ করে প্রথমার্ধে তারা অনেক সুযোগ ঠেকিয়ে দেয়। বাংলাদেশের ফরোয়ার্ডরা একাধিক ভালো সুযোগ নষ্ট করেছেন, কিছু শট গেছে বাইরে, কিছু ঠেকিয়েছে প্রতিপক্ষ রক্ষণের ঘনঘটা।
ম্যাচের ২৫তম মিনিটে দূরপাল্লার এক শটে দলকে এগিয়ে দেন কানন রানী বাহাদুর। ৩৮ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করতে পারতেন সুরমা জান্নাত, কিন্তু তাঁর শক্তিশালী শট পোস্টে লেগে ফেরে। তবে বিরতির আগে রাইট ব্যাক পূজা দাস দ্বিতীয় গোলটি করেন বক্সের সামনে থেকে। দ্বিতীয়ার্ধে পূজা আবার গোল করেন ২০ গজ দূর থেকে নেওয়া এক দারুণ শটে। ম্যাচের ৮৬ মিনিটে চতুর্থ গোলটি করেন তৃষ্ণা রানী। আর যোগ করা সময়ে অধিনায়ক আফঈদা খন্দকারের পেনাল্টি গোলে ৫-০ ব্যবধানে জয় নিশ্চিত হয়।
আজকের ম্যাচে বাংলাদেশ কোচ পিটার বাটলার একাদশে আনেন ৫টি পরিবর্তন। অধিনায়ক আফঈদা খন্দকার, স্বপ্না রানী, উমেহলা ও মুনকি আক্তার ছিলেন না শুরুতে। প্রথমবার গোলপোস্টের নিচে দায়িত্ব পান ফেরদৌসী আক্তার। একাদশে আরও জায়গা পান রুপা আক্তার, পূজা দাস, নাদিয়া আক্তার ও কানন রানী। প্রথমার্ধে অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেন সুরমা জান্নাত।
প্রথমার্ধে গোলের অভাব দেখা দেওয়ায় দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই মাঠে নামানো হয় নিয়মিত তারকাদের। যদিও গোলসংখ্যা প্রত্যাশিত হারে বাড়েনি, তবুও জয়টা ছিল পরিপূর্ণভাবে দাপুটে।
আগামী ২১ জুলাই, সোমবার গ্রুপের শেষ ম্যাচে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ শক্তিশালী নেপাল। সেই ম্যাচে ড্র করলেই চ্যাম্পিয়ন হবে স্বাগতিকেরা। তবে যদি বাংলাদেশ হেরে যায়, তাহলে চ্যাম্পিয়ন নির্ধারণে আসবে ‘হেড টু হেড’ এবং গোল পার্থক্যের হিসাব।
নেপাল আজ ভুটানকে ৮-০ গোলে উড়িয়ে দিয়ে গোলসংখ্যা নিয়ে গেছে ৩০-এ। ৪ গোল হজম করা দলটির গোল পার্থক্য +২৬। বাংলাদেশের পক্ষে এখন পর্যন্ত গোলসংখ্যা ২৫, গোল খেয়েছে ৫টি, ফলে পার্থক্য +২০। অর্থাৎ নেপালের চেয়ে বাংলাদেশ এখনো ৬ গোল পিছিয়ে। এই ব্যবধান কমাতেই আজ শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে এতটা আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলেছে লাল-সবুজের মেয়েরা।
চ্যাম্পিয়ন হতে হলে সোমবার নেপালের বিপক্ষে রুখে দাঁড়াতে হবে বাংলাদেশকে। জয় কিংবা ড্র—দুইটাই হবে সোনার সমান।