6
জরুরি অবস্থা কীভাবে জারি হবে, সে বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছেছে দেশের প্রধান রাজনৈতিক দলগুলো। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রী এককভাবে নয়, মন্ত্রিসভার লিখিত অনুমোদন ছাড়াই জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা যাবে না, এবং সেই মন্ত্রিসভা বৈঠকে বিরোধীদলীয় নেতা বা উপনেতার উপস্থিতি বাধ্যতামূলক থাকবে।
রোববার ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সংলাপের ১২তম দিনে এই সিদ্ধান্ত আসে। এতে আরও বলা হয়, জরুরি অবস্থা রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা যাবে না, এবং এ সময়ে জীবন ও নির্যাতন থেকে রক্ষার অধিকার খর্ব করা যাবে না।
সংবিধান সংশোধনের প্রস্তাব
- বর্তমান সংবিধানের ১৪১(ক) অনুচ্ছেদে বলা আছে, রাষ্ট্রপতি যুদ্ধ, বিদ্রোহ বা সংকটকালে ১২০ দিনের জন্য জরুরি অবস্থা জারি করতে পারেন।
- ঐকমত্য কমিশন প্রস্তাব করছে মেয়াদ ৯০ দিন করা হোক এবং ঘোষণার আগে মন্ত্রিসভার অনুমোদন বাধ্যতামূলক হোক।
- “অভ্যন্তরীণ গোলযোগ”-এর জায়গায় “রাষ্ট্রীয় স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, মহামারি বা প্রাকৃতিক দুর্যোগ”-এর মতো শব্দ বসানোর প্রস্তাবও এসেছে।
রাজনৈতিক দলগুলোর মতভেদ
- বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি সর্বদলীয় বৈঠক থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়ার প্রস্তাব দেয়।
- খেলাফত মজলিশ মন্ত্রিসভার সঙ্গে বিরোধী দলকেও যুক্ত করার পক্ষে মত দেয়।
- জামায়াত ও বিএনপি মন্ত্রিসভার বৈঠকে বিরোধীদলীয় নেতার উপস্থিতি নিশ্চিতের প্রস্তাব দেয়।
- ইসলামী আন্দোলন প্রশ্ন তোলে—বিরোধীদলীয় নেতা অনুপস্থিত থাকলে কী হবে? তখন জানানো হয়, উপনেতাও সমমানের প্রতিনিধি হিসেবে বৈঠকে থাকতে পারবেন।
সবশেষে সিদ্ধান্ত হয়—জরুরি অবস্থা ঘোষণায় প্রধানমন্ত্রীর একক স্বাক্ষরের বদলে মন্ত্রিসভার অনুমোদন প্রয়োজন হবে, এবং সেই বৈঠকে বিরোধীদলীয় নেতা বা উপনেতা অবশ্যই উপস্থিত থাকবেন।