বিশেষ প্রতিবেদক
বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) প্রধান এএফএম শাহীনুল ইসলামের একাধিক আপত্তিকর ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার ঘটনায় তদন্তে চার সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে সরকার। আগামী সাত কর্মদিবসের মধ্যে কমিটিকে প্রতিবেদন দাখিল করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (২১ আগস্ট) অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ এ সংক্রান্ত অফিস আদেশ জারি করে। এতে বলা হয়, ইলেকট্রনিক, প্রিন্ট ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিএফআইইউ প্রধানকে নিয়ে প্রকাশিত আপত্তিকর সংবাদ ও ভিডিওর বিষয়ে তদন্তপূর্বক মতামতসহ প্রতিবেদন দিতে হবে।
তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. সাঈদ কুতুবকে। সদস্য সচিব হিসেবে রয়েছেন যুগ্মসচিব মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম। এছাড়া সদস্য হিসেবে রয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম এবং পরিচালক (আইসিটি-২ শাখা) মো. মতিউর রহমান।
অর্থ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সাত কর্মদিবসের মধ্যে এই কমিটিকে মতামতসহ প্রতিবেদন দাখিল করতে হবে।
গত মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর জানিয়েছেন, তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত বিএফআইইউ প্রধানকে বাধ্যতামূলক ছুটিতে থাকতে হবে। কিন্তু বুধবার শাহীনুল ইসলাম অফিস করলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে উত্তেজনা দেখা দেয়।
এ নিয়ে ব্যাংকের একাংশের কর্মকর্তা গভর্নরের কাছে স্মারকলিপি দিয়ে তাকে অবিলম্বে ছুটিতে পাঠানোর দাবি জানান।
শুধু আপত্তিকর ভিডিও নয়, আরও একটি অভিযোগ ঘিরেও বিতর্কে জড়িয়েছেন এএফএম শাহীনুল ইসলাম। বিতর্কিত পরিবহন ব্যবসায়ী খন্দকার এনায়েত উল্লাহর ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করার পরও সেই অ্যাকাউন্ট থেকে ১৯ কোটি টাকা উত্তোলনের সুযোগ দিয়েছেন তিনি। এ ক্ষেত্রেও অনৈতিক কর্মকাণ্ড হয়েছে কিনা, তা তদন্তে খতিয়ে দেখা হবে।
অভিযুক্ত ভিডিওগুলোকে ভুয়া দাবি করেছেন এএফএম শাহীনুল ইসলাম। তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রাথমিক অনুসন্ধানে ভিডিওগুলো সত্য বলে জানা গেছে।