বিশেষ প্রতিবেদক
দুর্বল হয়ে পড়া পাঁচটি বেসরকারি ইসলামী ব্যাংক একীভূত করার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করেছে অর্থ মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ ব্যাংক। এ ক্ষেত্রে কোনো ব্যাংকের আপত্তি গ্রহণ করা হবে না।
রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) অর্থ মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমদ। অনলাইনে যুক্ত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর। বৈঠকে অর্থ মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সূত্র জানায়, ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে ব্যাপক লুটপাটের কারণে এক্সিম ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক ও ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক আর্থিকভাবে মারাত্মক দুর্বল হয়ে পড়ে। নীতি সহায়তা দেওয়া সত্ত্বেও এগুলো স্বাভাবিক ব্যাংকিং কার্যক্রমে ফিরতে ব্যর্থ হয়। ফলে পাঁচ ব্যাংককে একীভূত করে একটি নতুন ইসলামী ব্যাংক গঠনের সিদ্ধান্ত হয়।
যদিও শুনানিতে এক্সিম ব্যাংক ও সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক আপত্তি তোলে, কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও অর্থ মন্ত্রণালয় জানিয়ে দিয়েছে—কারও আপত্তি গ্রহণযোগ্য হবে না।
একীভূতকরণ কার্যক্রম নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করতে অর্থ মন্ত্রণালয় ধাপে ধাপে ২০ হাজার কোটি টাকা বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুকূলে ছাড় করবে। এর বিনিময়ে সরকার নবগঠিত ব্যাংকের সমপরিমাণ শেয়ার পাবে। ফলে নতুন ব্যাংকটি কার্যত সরকারি মালিকানাধীন হবে।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ ছাড় মূলত আমানতকারীদের বকেয়া অর্থ পরিশোধসহ অন্যান্য খাতে ব্যবহার হবে।
এই প্রক্রিয়া বাস্তবায়নে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর ড. কবির আহমদের নেতৃত্বে ছয় সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এতে তিন সদস্য থাকবেন অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে এবং বাকি দুজন বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে। শিগগিরই কমিটি বৈঠক করে একীভূতকরণের রোডম্যাপ চূড়ান্ত করবে।