সুব্রত চৌধুরী, আটলান্টিক সিটি থেকে
নিউ জার্সি অঙ্গরাজ্যের আটলান্টিক কাউন্টিতে বসবাসরত প্রবাসী হিন্দু সম্প্রদায়ের পুণ্যার্থীদের তীর্থযাত্রা সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। গত ১৮ আগস্ট সোমবার সকালে তাঁরা পশ্চিম ভার্জিনিয়ার মার্শাল কাউন্টিতে অবস্থিত হিন্দুদের পবিত্র তীর্থস্থান “নতুন বৃন্দাবন”-এ গমন করেন।

তীর্থযাত্রার শুরুতে বৈদিক মন্ত্রোচ্চারণ ও গীতা পাঠ করা হয়। যাত্রাপথে ভক্তবৃন্দ মালা জপ, হরিনাম সংকীর্তন এবং গীতা পাঠে মগ্ন ছিলেন। ‘হরে কৃষ্ণ, হরে কৃষ্ণ, হরে রাম, হরে রাম’ ধ্বনিতে পরিবেশ মুখরিত হয়ে ওঠে। ভক্তদের সম্মিলিত কণ্ঠে উচ্চারিত এই মন্ত্র ধ্বনি সবার মনে ভক্তি ও অনন্য আনন্দের সঞ্চার করে।
আয়োজকদের সূত্রে জানা গেছে, প্রায় তিন হাজার একর জমির ওপর বিস্তৃত প্রাকৃতিক সৌন্দর্যমণ্ডিত এই ধর্মীয় পীঠস্থান “নতুন বৃন্দাবন”-এ পুণ্যার্থীরা পূজার্চনা, মালা জপ, কীর্তন, ভজন, প্রসাদ গ্রহণ ও হরিনাম সংকীর্তনসহ নানা ধর্মীয় কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেন।

তীর্থযাত্রা সম্পর্কে আয়োজক কমিটির অন্যতম সদস্য ও আটলান্টিক সিটির পুলিশ কর্মকর্তা সুমন মজুমদার বলেন, “তীর্থ পরিক্রমা পুণ্য অর্জনের অন্যতম মাধ্যম। মনে ধর্মভাব জাগ্রত হলে নৈতিকতার বহিঃপ্রকাশ ঘটে, আর তাতে উপকৃত হয় সমাজ ও সংসার। সামাজিক উন্নয়নের জন্য তীর্থভ্রমণের প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য।”
২০ আগস্ট বুধবার সকালে পুণ্যার্থীরা নতুন বৃন্দাবন থেকে ফিরে আসেন। সেদিন নতুন বৃন্দাবনের ব্রহ্মচারি শুভানন্দ দাশ তাঁদের বিদায় জানান।

তীর্থযাত্রা নির্বিঘ্নভাবে সম্পন্ন হওয়ায় আয়োজক কমিটির সক্রিয় ভূমিকার জন্য পুলিশ কর্মকর্তা সুমন মজুমদার বিশেষভাবে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান। এ সময় কৃষ্ণভক্ত তৃপ্তি সরকার, দীপংকর মিত্র, আন্না মিত্র, প্রদীপ দে, মেরি দে, সুনীল দাশ, সরোজ দাশ, সজল চক্রবর্তী, দীপা দে, সুপ্রীতি দে প্রমুখের উদ্যোগ ও সহযোগিতা ছিল উল্লেখযোগ্য।