আন্তর্জাতিক ডেস্ক
রাশিয়ার বিরুদ্ধে ট্রাম্পের পারমাণবিক সাবমেরিন মোতায়েনের ঘোষণার পর চীনের সঙ্গে জাপান সাগরে তিন দিনের যৌথ নৌ মহড়া শুরু করেছে রাশিয়া। রবিবার শুরু হওয়া এ মহড়ার নাম দেওয়া হয়েছে ‘যৌথ সমুদ্র–২০২৫’।
রুশ নৌঘাঁটি ভ্লাদিভস্টক থেকে পরিচালিত এ মহড়ায় সাবমেরিন উদ্ধার, অ্যান্টি–সাবমেরিন অভিযান, আকাশ প্রতিরক্ষা এবং সমুদ্রপথে যৌথ অপারেশনে জোর দেওয়া হয়েছে। চীনের চারটি যুদ্ধজাহাজ, যার মধ্যে রয়েছে গাইডেড-ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংসকারী শাওসিং ও উরুমকি, অংশ নিচ্ছে রুশ নৌবাহিনীর সঙ্গে। মহড়া শেষে প্রশান্ত মহাসাগরের নির্দিষ্ট জলসীমায় যৌথ টহল চালাবে দুই দেশ।
রাশিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট দিমিত্রি মেদভেদেভের এক বক্তব্যে ক্ষুব্ধ হয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প পারমাণবিক সাবমেরিন পাঠানোর ঘোষণা দেন। তবে রাশিয়া এ বিষয়ে সরাসরি কোনো প্রতিক্রিয়া না জানালেও, দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম ও সামরিক বিশ্লেষকরা ট্রাম্পের ঘোষণাকে “শিশুসুলভ” ও “নিরর্থক প্রলাপ” হিসেবে আখ্যা দেন।
রাশিয়ার জ্যেষ্ঠ আইনপ্রণেতা ভিক্তর ভোদোলাতস্কির দাবি, বিশ্বমহাসাগরে যুক্তরাষ্ট্রের তুলনায় রাশিয়ার বেশি পারমাণবিক সাবমেরিন মোতায়েন রয়েছে। তাঁর ভাষায়, ‘মার্কিন সাবমেরিনগুলো অনেক আগেই আমাদের নজরে এসেছে, তাই আলাদা করে জবাব দেওয়ার দরকার নেই।’
২০২২ সালে ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসনের পর চীন–রাশিয়া সামরিক সহযোগিতা আরও গভীর হয়েছে। এই মহড়া সেই ঘনিষ্ঠ সম্পর্কেরই সামরিক প্রতিফলন বলে বিশ্লেষকদের ধারণা।