বিনোদন প্রতিবেদক
টেলিভিশন অভিনেত্রী মানসী প্রকৃতি তার স্বামী ও নাট্যনির্মাতা আদিবাসী মিজানের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ্যে গুরুতর অভিযোগ তুলেছেন। নিজের ফেসবুক প্রোফাইলে এক আবেগঘন স্ট্যাটাসে মানসী অভিযোগ করেন, তার স্বামী একজন ‘মদ্যপ ও দায়িত্বহীন ব্যক্তি’, যিনি অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে একা রেখে রাতভর মদ্যপানে মগ্ন থাকেন।
মানসীর ভাষ্য, ‘কোনো মদখোর ভালো স্বামী তো দূরের কথা, সে একজন সন্তানের বাবাও হওয়ার যোগ্য না। একজন প্রেগন্যান্ট স্ত্রীকে একা বাসায় রেখে ভোর পর্যন্ত বারে গিয়ে মদ খায়—এটা কেমন মানুষ?’ তিনি আরও লেখেন, ‘ভেবেছিলাম ভালো হয়ে যাবে সে। কিন্তু কুত্তার লেজ তো কখনো সোজা হয় না। এই কথাটাই আবারও প্রমাণ করলি তুই। আল্লাহ, তুমি এর বিচার অবশ্যই করো।’
এর জবাবে নির্মাতা আদিবাসী মিজান সামাজিক মাধ্যমে পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় জানান, তিনি মানসীকে ডিভোর্স দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তার ভাষায়, ‘ওকে, আমি তোমাকে ডিভোর্স দেব। অনেক বেড়ে গেছ। তুমি একটা মিথ্যুক।’

এই পোস্টের পর মানসী আবারও ফেসবুকে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেন, ‘আমি মেনে নিলাম আমি খারাপ। একটা বে**ও দিনশেষে একটা ভালো সংসার, ভালো স্বামী পেলে ভালো হয়ে যায়। আমি দিনশেষে সম্মান নিয়ে শান্তিমতো সংসারটা করতে চাইছিলাম। আমার মন বা শরীরের অবস্থা কোনোটাই ভালো না। আমার বা আমার বাবুর যদি কিছু হয়, তার পুরো দায়ভার আমি আমার স্বামী আদিবাসী মিজানের ওপর দিয়ে যাচ্ছি। আল্লাহর কাছে আর আপনাদের কাছে বিচারের ভার রেখে দিলাম। ও যেন ক্ষমা না পায়।’
এই দাম্পত্য কলহ ঘিরে নাট্যজগতে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। জনপ্রিয় অভিনেতা রওনক হাসান ফেসবুকে পরোক্ষ মন্তব্য করে বলেন, ‘সংসারে সমস্যা থাকতেই পারে, তাই বলে সামাজিক মাধ্যমে তা নিয়ে আসা ঠিক নয়। পারিবারিক বিষয় পারিবারিকভাবেই সমাধান করা উচিত। প্রয়োজনে কাউন্সেলিং নেওয়া যায়, কিন্তু এসব নিয়ে “বাজারে” না আসা উত্তম। ফেসবুক একটা বাজার, এখানে সম্মান রক্ষা কঠিন।’
উল্লেখ্য, মানসী ও মিজানের দাম্পত্য কলহ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই গুঞ্জন চলছিল, যা অবশেষে সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশ্যে রূপ নেয়। বিষয়টি ঘিরে সাধারণ দর্শক থেকে সহকর্মীদের মাঝেও উদ্বেগ ও আলোচনা তৈরি হয়েছে।