বিনোদন প্রতিবেদক
‘বান্ধব’ মুভির গল্প নিয়ে চৌর্যবৃত্তির অভিযোগ তুলেছেন কথাসাহিত্যিক বিশ্বজিৎ দাস। তিনি ফেসবুক পোস্টে লেখেন তার লেখা ছোটগল্প ‘সময়’ নিয়ে বান্ধব মুভি তৈরি করা হয়েছে। কিন্তু তাকে জিজ্ঞেস করা হয়নি। এমনকি তার নামও ব্যবহার করা হয়নি। বিশ্বজিৎ দাস ফেসবুক পোস্টে লেখেন-
‘বিশিষ্ট সাংবাদিক শফিক রেহমান সম্পাদিত ‘মৌচাকে ঢিল’ পত্রিকায় ২০০৯ সালের ঈদ উল আযহা সংখ্যায় আমার লেখা ছোটগল্প “সময়” প্রকাশিত হয়। সেই সংখ্যার সম্পাদকীয়তে মন্তব্য ছিল এরকম- ‘এই বছরের ঈদসংখ্যার জন্য লেখক-পাঠকদের কাছ থেকে অসাধারণ কয়েকটি লেখা পেয়েছি। বিশেষত কয়েকটি লেখা আমাদের বিবেচনায় ওয়ার্ল্ড ক্লাস মনে হয়েছে। যেমন-সময়(বিশ্বজিৎ দাস)।
এই একটি বাক্যই আমার জীবনে ব্যাপক পরিবর্তন আনে। পাঠক থেকে লেখক বিশ্বজিৎ দাস-এর জন্ম এভাবেই। ফলে প্রথম আলো, সাপ্তাহিক এখন, মৌচাকে ঢিল, রহস্য পত্রিকাসহ বিভিন্ন জাতীয় পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত গল্পগুলো নিয়ে ২০১১ সালে বগুড়া থেকে অচিন্ত্য চয়ন “সময়” নামের আমার প্রথম বইটি প্রকাশ করেন।
পরবর্তীতে কথাসাহিত্যিক শফিক হাসান “সময়” বইটি পুনরায় পরিমার্জিত প্রকাশ করেন। সব এডিশনই শেষ হয়ে যাওয়ায় এবং বইটির ব্যাপক চাহিদা থাকায় দেশ পাবলিকেশন থেকে “সময়” বইটি পুনরায় প্রকাশের উদ্যোগ নিয়েছেন।
এত কথা বলার কারণ একটিই। ২০০৯ সালে প্রকাশিত বইটির প্রতিটি এডিশনে “মানুষ” নামে একটি গল্প আছে। সেই গল্প নিয়ে সিনেমা বানানোর ইচ্ছে কোনো কোনো পরিচালকের হতেই পারে।
বলছিলাম, আগামী ৩ অক্টোবর দেশের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেতে যাচ্ছে “বান্ধব” নামের একটি সিনেমা। পরিচালনা করেছেন সুজন বড়ুয়া।
এই মুভির ট্রেলার দেখে আমি নিশ্চিত হয়েছি, “বান্ধব” মুভির গল্প আমার লেখা “মানুষ” গল্প থেকে নেওয়া হয়েছে।
আমি দ্ব্যর্থহীনভাবে বলতে চাই, “মানুষ” গল্পটির সিনেমা বা নাটক নির্মাণের জন্য কোনো স্বত্ব আমি কাউকে দেইনি। এটি সম্পূর্ণরূপে একটি চৌর্যবৃত্তি।
সিনেমার বিরোধিতার জন্য এই অভিযোগ করছি না। পরিচালক-প্রযোজক এই মুভির গল্পকার হিসেবে স্বীকৃতি দিলে খুশি হবো।
বিশ্বজিৎ দাস
কথাসাহিত্যিক ও সহযোগী অধ্যাপক
পদার্থবিজ্ঞান বিভাগ, দিনাজপুর সরকারি কলেজ, দিনাজপুর।