ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলায় অনুষ্ঠিত এক শৌখিন মাছ ধরার প্রতিযোগিতায় ৫ কেজি ৬৪০ গ্রাম ওজনের কাতলা মাছ ধরেই প্রথম হয়েছেন কাজল দাস (৫৮)। পুরস্কার হিসেবে তিনি পেয়েছেন ২ লাখ ৭০ হাজার টাকা।
গতকাল শুক্রবার সকাল ৭টায় সরাইল সরকারি কলেজের দিঘিতে বড়শি ফেলে এই বিশালাকৃতির মাছটি ধরেন তিনি। প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে তাঁকে ২৬ হাজার টাকা দিয়ে টিকিট কাটতে হয়েছিল।
সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত চলা এই প্রতিযোগিতায় অংশ নেন দেশের বিভিন্ন জেলার ৩৫ জন মাছশিকারি। আয়োজক ছিল সরাইল সরকারি কলেজ পুকুর মৎস্যচাষ সমিতি। অংশগ্রহণকারীরা মূলত ব্রাহ্মণবাড়িয়া, নরসিংদী, গাজীপুর, কিশোরগঞ্জ, ময়মনসিংহ ও হবিগঞ্জ থেকে এসেছেন।
প্রতিযোগিতায় মোট সাতটি পুরস্কার দেওয়া হয়, যার মোট মূল্য ছিল ৬ লাখ ৪৫ হাজার টাকা। দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অধিকার করেন একই ব্যক্তি—সরাইলের সূর্যকান্দির রাকিব খান। তিনি যথাক্রমে ৫ কেজি ২০ গ্রাম ও ৪ কেজি ৬৬০ গ্রাম ওজনের দুটি কাতলা মাছ ধরে পান ১ লাখ ৩০ হাজার ও ৭৫ হাজার টাকা।
চতুর্থ হন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কাজীপাড়ার বাকের মোশারফ (৪ কেজি ৫২০ গ্রাম), পুরস্কার পেয়েছেন ৫০ হাজার টাকা। পঞ্চম থেকে সপ্তম হয়েছেন যথাক্রমে সরাইলের আবুল কাশেম (৪ কেজি ৩৬০ গ্রাম, ৪৫ হাজার টাকা), হবিগঞ্জের কাউছার মিয়া (৪ কেজি ৩৪০ গ্রাম, ৪০ হাজার টাকা) ও সরাইলের আবদুল হান্নান (৪ কেজি ২৬০ গ্রাম, ৩৫ হাজার টাকা)।
প্রথম পুরস্কারজয়ী কাজল দাস বলেন, ‘আমি দেশের বিভিন্ন জায়গায় মাছ ধরার প্রতিযোগিতায় অংশ নিই। তবে এবার প্রথম হয়ে খুবই আনন্দিত।’
সরাইল সরকারি কলেজ ও কালীকচ্ছ পাঠশালা উচ্চবিদ্যালয়ের মালিকানাধীন দিঘিটি তিন বছরের জন্য ১৭ লাখ টাকায় ইজারা নিয়েছেন স্থানীয় ইউপি সদস্য হাবিবুর রহমানসহ আরও পাঁচজন। তাঁরা প্রতিবছরই কয়েকবার এমন প্রতিযোগিতার আয়োজন করেন।
হাবিবুর রহমান জানান, ‘এটি চলতি বছরের দ্বিতীয় আয়োজন। প্রতি বছর আমাদের দিঘিতে পাঁচ-ছয়টি বড় পরিসরের মাছ ধরার প্রতিযোগিতা হয়, যেখানে দেশের নানা প্রান্ত থেকে শৌখিন শিকারিরা অংশ নেন।’