ডলার বাজারে চলমান অস্থিরতা কিছুটা কমে এসেছে বাংলাদেশ ব্যাংকের হস্তক্ষেপের পর। আন্তঃব্যাংক মুদ্রাবাজারে গতকাল (সোমবার) ডলার ১২১ টাকায় কিনে ১২১ টাকা ৬০ পয়সায় বিক্রি হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার থেকেই এ দরেই লেনদেন চলছে।
এর আগে ডলারের দাম ক্রমাগত কমে ১৪ জুলাই নেমে গিয়েছিল ১১৯ টাকা ৫০ পয়সায়, যা সাম্প্রতিক সময়ের মধ্যে সর্বনিম্ন। তবে বাজারে স্থিতিশীলতা ফেরাতে বাংলাদেশ ব্যাংক নিলামের মাধ্যমে দুই দফায় মোট ৪৩ কোটি ৪৫ লাখ ডলার কিনে নেয়, যার পরপরই বাজারে চাপ কিছুটা কমে আসে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত এক বছরেরও বেশি সময় ডলার ১২১ থেকে ১২২ টাকার মধ্যে লেনদেন হয়েছে। আইএমএফের শর্ত অনুযায়ী চলতি বছরের ১৩ মে থেকে ডলারের দর বাজারের উপর ছেড়ে দিলে মূল্য কিছুটা বেড়ে সর্বোচ্চ ১২২ টাকা ৯৫ পয়সায় ওঠে। এরপর থেকেই ধীরে ধীরে দাম কমতে থাকে।
ডলারের চাহিদা কমার পেছনে কয়েকটি কারণ কাজ করেছে—বিশেষ করে প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্সে ঊর্ধ্বগতি, রপ্তানি আয়ের ইতিবাচক ধারা এবং জুন মাসে ৫ বিলিয়ন ডলারের বেশি বৈদেশিক ঋণ পাওয়া। এ সবের ফলে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়ে জুন শেষে দাঁড়িয়েছে ৩১ দশমিক ৭৭ বিলিয়ন ডলারে, যা গত ২৮ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ।
উল্লেখযোগ্য যে, এর আগে দেশের রিজার্ভের সর্বোচ্চ পরিমাণ ছিল ৪৮ বিলিয়ন ডলার, ২০২১ সালের আগস্টে।