যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের পণ্যের ওপর নতুন করে শুল্ক আরোপ করেছে। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘোষণার ফলে বাংলাদেশি পণ্যের ওপর শুল্ক বাড়িয়ে ৩৭ শতাংশ করা হয়েছে, যা আগে ছিল গড়ে ১৫ শতাংশ।
বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান রপ্তানি গন্তব্য যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির বাজারে বাংলাদেশ বছরে প্রায় ৮.৪ বিলিয়ন ডলারের পণ্য রপ্তানি করে, যার বেশিরভাগই তৈরি পোশাক। গত বছর যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানির পরিমাণ ছিল ৭.৩৪ বিলিয়ন ডলার।
নতুন এই শুল্ক নীতির ফলে বাংলাদেশের পোশাক খাতে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে বলে অর্থনীতিবিদরা আশঙ্কা করছেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, রপ্তানির ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় প্রতিযোগিতামূলক বাজারে বাংলাদেশের অবস্থান দুর্বল হয়ে পড়তে পারে।
হোয়াইট হাউসের রোজ গার্ডেনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই শুল্ক বৃদ্ধির ঘোষণা দেন। তিনি একে যুক্তরাষ্ট্রের ‘অর্থনৈতিক স্বাধীনতা’ হিসেবে উল্লেখ করেন এবং দাবি করেন যে, এই পদক্ষেপ আমেরিকান অর্থনীতিকে আরও শক্তিশালী করবে।
বাংলাদেশের পাশাপাশি ভারত, পাকিস্তান, চীন, ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ বিভিন্ন দেশের পণ্যের ওপরও শুল্ক বৃদ্ধি করা হয়েছে। বিশেষত, ভিয়েতনামের পণ্যের ওপর ৪৬ শতাংশ, শ্রীলঙ্কার ওপর ৪৪ শতাংশ এবং কম্বোডিয়ার ওপর সর্বোচ্চ ৪৯ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়েছে।
এই শুল্ক বৃদ্ধির ফলে বৈশ্বিক বাণিজ্যে উত্তেজনা আরও বাড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বাংলাদেশ সরকার বিষয়টি নিয়ে কূটনৈতিকভাবে সমাধানের চেষ্টা করতে পারে বলে জানা গেছে।
৩৭ শতাংশ শুল্ক আরোপ যুক্তরাষ্ট্রের, পোশাক শিল্পে অশনি সংকেত
49