BDOUTLOOK
  • হোম
  • দেশ
    • জাতীয়
    • ঢাকা
    • চট্টগ্রাম
    • খুলনা
    • রাজশাহী
    • বরিশাল
    • সিলেট
    • রংপুর
    • ময়মনসিংহ
  • বিশ্ব
  • প্রবাস
    • আমেরিকা
    • ইউরোপ
    • মধ্যপ্রাচ্য
    • আফ্রিকা
    • এশিয়া
  • রাজনীতি
  • অর্থবাণিজ্য
  • খেলা
  • বিনোদন
  • মতামত
  • ফিচার
    • শিল্পসাহিত্য
      • কবিতা ও ছড়া
      • গল্প
      • প্রবন্ধ-আলোচনা
      • রম্য
      • শিশুসাহিত্য
      • শিল্পসাহিত্যের খবর
    • তথ্যপ্রযুক্তি
    • লাইফস্টাইল
    • ট্যুরিজম
    • ধর্ম
    • স্বাস্থ্য
    • ক্যাম্পাস
    • নারী
  • অপরাধ আইন আদালত
  • সাক্ষাৎকার
BDOUTLOOK
Wednesday | July 30 | 2025
বিজ্ঞাপন দিন
  • হোম
  • দেশ
    • জাতীয়
    • ঢাকা
    • চট্টগ্রাম
    • খুলনা
    • রাজশাহী
    • বরিশাল
    • সিলেট
    • রংপুর
    • ময়মনসিংহ
  • বিশ্ব
  • প্রবাস
    • আমেরিকা
    • ইউরোপ
    • মধ্যপ্রাচ্য
    • আফ্রিকা
    • এশিয়া
  • রাজনীতি
  • অর্থবাণিজ্য
  • খেলা
  • বিনোদন
  • মতামত
  • ফিচার
    • শিল্পসাহিত্য
      • কবিতা ও ছড়া
      • গল্প
      • প্রবন্ধ-আলোচনা
      • রম্য
      • শিশুসাহিত্য
      • শিল্পসাহিত্যের খবর
    • তথ্যপ্রযুক্তি
    • লাইফস্টাইল
    • ট্যুরিজম
    • ধর্ম
    • স্বাস্থ্য
    • ক্যাম্পাস
    • নারী
  • অপরাধ আইন আদালত
  • সাক্ষাৎকার
ভিডিও
BDOUTLOOK
BDOUTLOOK
  • হোম
  • দেশ
    • জাতীয়
    • ঢাকা
    • চট্টগ্রাম
    • খুলনা
    • রাজশাহী
    • বরিশাল
    • সিলেট
    • রংপুর
    • ময়মনসিংহ
  • বিশ্ব
  • প্রবাস
    • আমেরিকা
    • ইউরোপ
    • মধ্যপ্রাচ্য
    • আফ্রিকা
    • এশিয়া
  • রাজনীতি
  • অর্থবাণিজ্য
  • খেলা
  • বিনোদন
  • মতামত
  • ফিচার
    • শিল্পসাহিত্য
      • কবিতা ও ছড়া
      • গল্প
      • প্রবন্ধ-আলোচনা
      • রম্য
      • শিশুসাহিত্য
      • শিল্পসাহিত্যের খবর
    • তথ্যপ্রযুক্তি
    • লাইফস্টাইল
    • ট্যুরিজম
    • ধর্ম
    • স্বাস্থ্য
    • ক্যাম্পাস
    • নারী
  • অপরাধ আইন আদালত
  • সাক্ষাৎকার

News 24 Hours BDOUTLOOK.COM

রম্য

গাড়ি চুরি রহস্য :: বিশ্বজিৎ দাস

বিডিআউটলুক July 16, 2025
July 16, 2025
শেয়ার FacebookThreadsBluesky
22


তেল চুরি?
—না।
গ্যাস চুরি?
—না?
বিদ্যুৎ চুরি?
—না।
‘তাহলে? কোন চুরির বিষয়ে কথা বলতে এসেছেন আপনি?’ মোখলেস ভাই গম্ভীর স্বরে জানতে চাইলেন।
উত্তর দিলেন না আলতাফ হোসেন। ঢাকার একটি সিটি কর্পোরেশনের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা। ঘরের মধ্যে আছি আমি আর মোখলেস ভাই।
আমরা তার হাজতখানা ফ্রেন্ড। এক রাতে আমরা একসাথে তিনজনে থানার লকআপে বন্দী ছিলাম। সেদিন মোখলেস ভাই ফেসবুক দেখতে দেখতে রাস্তা পার হচ্ছিলেন। রাস্তায় ছিলাম দু’জনে। হঠাৎ দেখি এক ভদ্রলোকের কাছ থেকে মানিব্যাগ ছিনিয়ে নিচ্ছে এক তরুণ।
‘ফেরত দে। এখনই ফেরত দে।’ গর্জে উঠেছিলেন মোখলেস ভাই।
ছিনতাইকারী ফেরত দিতে চাইছিল না। গড়িমসি করছিল।
ঠাস্ করে তার গালে চড় বসিয়ে দিয়েছিলেন তিনি।
‘দিবি না?’ বলেছিলেন ভাই।
‘কী হয়েছে?’ পেছন থেকে জানতে চেয়েছিল কেউ একজন।
ঘুরে দেখি, পুলিশের একটি টহল দল।
‘আমরা ছিনতাইকারী। টাকার ভাগাভাগি নিয়ে ঝগড়া করতেছি।’ হেসে বলেছিল তরুণ।
ফলাফল— সবাইকে থানায় নিয়ে গিয়েছিল পুলিশ।
ওসি সাহেব সেদিন থানায় ছিলেন না। তাই আমাদের একরাত হাজতে কাটাতে হয়েছিল। তরুণ ছিনতাইকারীকে আলাদা সেলে রেখেছিল। আমাদের আরেক সেলে। পুলিশ আমাদের কোনো কথাই শুনতে চায়নি।
অবশ্য পরদিন সকালে চা-নাশতাসহ সসম্মানে আমাদের মুক্তি দিয়েছিলেন ওসি।
মোখলেস ভাইয়ের উপস্থিত বুদ্ধি আমাদের বাঁচিয়ে দিয়েছিল। তার মোবাইলে রেকর্ডিং করা ভিডিওতে স্পষ্ট প্রমাণিত হয়েছিল আমরা ছিনতাইকারী নই।
‘আপনি মেসের সবাইকে কল দিলেন না কেন?’ থানা থেকে বের হয়ে জানতে চেয়েছিলাম।
‘মাথা খারাপ! থানা থেকে ফোন করলে মান-সম্মান কি আর থাকত?’

দুই.
‘ভাই, আমার মান-সম্মান বাঁচান।’ হাউমাউ করে কেঁদে ফেললেন আলতাফ সাহেব।
‘মান-সম্মানের কি জীবন আছে যে বাঁচাব?’ মোখলেস ভাই হেসে বললেন।
‘ভাই, আমি খুব বিপদে পড়েছি।’ ফিসফিস করে বললেন আলতাফ হোসেন।
‘খুলে বলুন।’
‘আমার প্রতিষ্ঠানে বড় একটা চুরি হয়েছে।’
‘চুরি!’ দুজনে সমস্বরে চিৎকার দিয়ে উঠলাম।
আলতাফ আমার দিকে করুণভাবে তাকালেন।
‘খসরু, তুমি বুঝবে না ভাই, কী বিপদেই না আছি আমি।’
‘সরি।’ বিব্রত হলাম আমি।
‘কী চুরি হয়েছে? গ্যাস? বিদ্যুৎ না রিজার্ভ?’ জানতে চাইলেন মোখলেস ভাই।
‘ময়লার গাড়ি!’
উত্তর শুনে আমি আর মোখলেস ভাই মুখ চাওয়া-চাওয়ি করলাম।

তিন.
ময়লার গাড়ি জোগাড় করতেই হিমশিম খেয়েছিলাম সেবার।
বন্ধু সোহাগের বাসায় বেড়াতে গিয়েছিলাম।
‘চল, পৌরসভা থেকে ঘুরে আসি। গুদামঘর সাফ করাতে হবে।’ সোহাগ বলেছিল।
‘কোন গুদামঘর?’ জানতে চেয়েছিলাম।
‘এই গুদামঘর।’ হেসে নিজের পেট দেখিয়েছিল সোহাগ।
বোকার মতন চেয়ে ছিলাম।
‘আরে বোকা! পায়খানার হাউজ পরিষ্কার করাতে হবে। সেজন্য পৌরসভায় যেতে হবে।’
গিয়েছিলাম দুজনে। হাউজ পরিষ্কার বাবদ সোহাগ পৌরসভায় দুই হাজার টাকা জমাও দিয়েছিল।
‘গাড়ি কবে যাবে?’ সোহাগ জানতে চেয়েছিল।
‘তিন মাস পর।’ দাঁত খোঁচাতে খোঁচাতে জবাব দিয়েছিল টাকা আদায়কারী।
‘তিন মাস! ততদিনে থাকব কীভাবে? এখনই তো হাউজ ভর্তি হয়ে গেছে। পাড়া প্রতিবেশীরা দুর্গন্ধের জন্য নিয়মিত অভিযোগ দিচ্ছে।’
‘কিছু করার নাই। আপনার সিরিয়াল তিন মাস পর।’ লোকটা কান খোঁচাতে খোঁচাতে বলল।
‘কিছুই কি করার নেই।’ আমিও নাক গলালাম।
‘গাড়ির মেথরদের বলে দেখতে পারেন।’ পরামর্শ দিলেন তিনি।
‘কোথায় পাব ওদের?’
উনি দেখিয়ে দিয়েছিলেন।
পরনে জিন্সের প্যান্ট। গায়ে নতুন শার্ট। চোখে সানগ্লাস। হাতে গোল্ডলিফ সিগারেট।
আমরা অবাক।
মেথরদের এত উন্নতি!
‘আপনি কি পায়খানার হাউজ পরিষ্কার করার গাড়ির ব্যবস্থা করে দেন?’
‘হুম। আর্জেন্ট হলে পাঁচ। এক সপ্তাহ পরে চার। দুই সপ্তাহ পরে লাগলে তিন।’
‘আর্জেন্ট।’ পাঁচশ টাকার নোট বের করে দিয়েছিল সোহাগ।
‘শ না। হাজার লাগবে।’
‘পায়খানার হাউজ পরিষ্কার করার জন্য পৌরসভার বিল জমা দিলাম তো?’
‘সেটা পৌরসভার আয়। সিরিয়াল নিতে নিতে তিন মাস। আর্জেন্ট নিতে গেলে বেশি টাকা খরচ করতে হবে। এটাই মেথরদের আয়।’
‘আপনি কি মেথর নন?’ ফস করে জানতে চাইলাম।
‘আমি থার্ড পার্টি।’ হেসে বলল ছেলেটি।

চার.
‘আমরা থার্ড পার্টি।’ গম্ভীর স্বরে বললেন মোখলেস ভাই। আমরা এসেছি গাবতলী বাস টার্মিনাল পার হয়ে আমিন বাজারের কাছাকাছি। চারপাশে অসংখ্য বাস, ট্রাক দাঁড়িয়ে আছে। সব অকেজো। কারো চাকা নেই, কারো বডি নেই, কারো আবার ইঞ্জিন নেই।
হঠাৎ ঢুকে মনে হয়েছিল, গাড়ির কবরস্থানে ঢুকেছি।
তখনই সামনে এসে দাঁড়াল দু’জন।
‘কী চাই? কে আপনারা?’
‘আমরা থার্ড পার্টি। চোরাই গাড়ির চাকা ইঞ্জিন ইত্যাদি কিনে থাকি। ভালো দাম দেব।’ মোখলেস ভাইয়ের ধারণা, চুরি করার পর চোর ট্রাকের চাকা, অন্যান্য যন্ত্রাংশ আলাদা আলাদাভাবে বিক্রি করবে। সেজন্যই গাড়ির ‘কবরস্থানে’ এসেছি আমরা।
‘কী কী কিনবেন আপনারা?’
‘যা যা পাব। সব কিনব। আমরা বড় পার্টি।’ মোখলেস ভাই হাসলেন।
‘আপনারা দাঁড়ান। আমি একটু উপর লেভেলে কথা বলে নিই।’
লোক দুজন সরে গেল। মোখলেস ভাই ঘুরে ঘুরে দেখতে লাগলেন।
‘মোখলেস ভাই, আমার ইয়ে চেপেছে।’ বললাম।
‘আশেপাশে কোথাও সেরে নে।’
খুব জোরে চেপেছে। অগত্যা একসারি ভাঙা বাসের পেছনে গিয়ে দাঁড়ালাম।
অমনি শুনতে পেলাম, কে যেন ফিসফিস করে কথা বলছে। এগিয়ে গিয়ে উঁকি দিতেই চমকে গেলাম। সেই লোক দুটো।
‘স্যার, গাড়ি চোর চক্রের দুজনকে হাতেনাতে ধরেছি। ধরে নিয়ে ডলা দিলে আরো তথ্য পাওয়া যাবে। কী বললেন স্যার? ব্যস্ত রাখব ওদের। কতক্ষণ লাগবে আপনাদের আসতে? বিশ মিনিট। আচ্ছা স্যার।’
প্রস্রাব করা মাথায় উঠল।
দৌড় দিলাম।
মোখলেস ভাই একটা গাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে সেলফি তুলছেন।
আমি শুধু বললাম, ‘মোখলেস ভাই, পুলিশ।’
মোখলেস ভাইয়ের পায়ে যেন পাখা গজাল।

পাঁচ.
‘পায়খানার কি পাংখা আছে বাবু, যে গায়েব হয়ে যাবে?’ সোমরু বলল।
আমরা এবার এসেছি মেথর পট্টিতে।
‘গাড়ির চুরির মোটিভ কী হতে পারে খসরু?’ মোখলেস ভাই গোয়েন্দার মতন জানতে চেয়েছিল।
‘জানি না।’
‘টাকা।’ মোখলেস ভাই নিজেই উত্তর দিলেন।
‘গাড়ির চাকা, যন্ত্রাংশ ছাড়াও আরো একটা জিনিস বেশ দামি, তা হলো মানুষের মল।’
হা করে তাকিয়েছিলাম। মল! মানুষের মল কীভাবে দামি হতে পারে সেটা মাথায় এল না।
‘ধর, কুয়াশার মতোন নামিদামি বিজ্ঞানী মল থেকে বিকল্প জ্বালানি উদ্ভাবন করে বসল। এজন্য দরকার প্রচুর মানুষের মল। তাহলে সে কী করবে— সোজা একটা মলবাহী ময়লার গাড়ি চুরি করবে, ঠিক কি না বল?’
মাথা ঝাঁকিয়েছিলাম।
সেজন্যই আমরা এসেছি মেথরপট্টিতে।
একজয় বয়স্ক মেথর সোমরুকে পেয়েছি। এখন বেলা এগারোটা। এলাকায় পুরুষ মেথররা নেই বললেই চলে। সবাই কাজে গেছে। অথর্ব সোমরুকে পেলাম একটা চা দোকানের সামনে। দুটো পাউরুটি আর চায়ের বিনিময়ে আমাদের সাথে কথা বলতে রাজি হলো সে।
‘আপনারা পায়খানাগুলো নিয়ে কী করেন?’ মোখলেস ভাই সাংবাদিকের মতন জেরা করতে শুরু করলেন।
‘ঢেলে দিই বাবু।’
‘কোথায় ঢেলে দেন?’
‘তা তো বলতে পারব না বাবু। যেখানে খালি পাই।’
‘যেখানে খালি পান, সেখানেই ঢেলে দেন। মানুষ কিছু বলে না?’
‘কী আর বুলবে বাবু। সবাই দূরে সরে যায়।’
‘আচ্ছা, আপনাদের কাছ থেকে কেউ কি পায়খানা কিনে নেয়?’
‘নেয় বাবু নেয়।’
‘কে নয়? তার নাম ঠিকানা দিতে পারবেন?’
‘অনেকে নেয় বাবু।’
‘মানে?’
‘ওই যারা পুকুরে মাছ চাষ করে তারা আমাদের কাছ থেকে পায়খানা কিনে নেয়। আমরা হাউজ থেকে জোগাড় করে ওইসব পুকুরে ঢেলে দিই।’
মোখলেস ভাই আমার দিকে অসহায়ভাবে তাকালেন।
‘ময়লার গাড়ি বোধহয় খুঁজে বের করতে পারব না রে।’

ছয়.
‘কী বললেন, ময়লার গাড়ি!’ কানের উপর মোবাইলটা শক্ত করে চেপে ধরে বললাম।
পাঁচদিন পরের কথা।
ময়লার গাড়ি খুঁজে বের করার মিশন বাদ দেয়ার পাঁচদিন পরের কথা।
এই পাঁচদিন মোখলেস ভাই রুম ছেড়ে বের হননি। কারো সাথে কথাও বেশি বলেননি। মোবাইলও রিসিভ করেননি। শুয়ে শুয়ে ইউটিউব দেখেছেন। আমরা যারা মেসে আছি সোহান, নাজমুল, কাওসার, রোহিত এমনকি ইমনেরও মন খারাপ। সাধারণত মোখলেস ভাইয়ের মিশন কখনো ব্যর্থ হয় না। সবাই চেষ্টা করছে মোখলেস ভাইয়ের মন ভালো করার। পরোক্ষভাবে।
রোহিত নিয়ে এল মিষ্টি।
বলল, ‘ভাগ্নি পাস করেছে।’
আমি জানি, ও বাড়ির একমাত্র সন্তান।
কাওসার নিয়ে এল ইলিশ মাছ! সেগুলো নাকি ওদের পুকুরের— দাবি তার।
সোবহান নিয়ে এল জিলিপি। দোকানে খেয়ে নাকি খুব ‘মজা’ পেয়েছে। তাই মেসের সবার জন্য নিয়ে এসেছে।
ইমন এসে বলল, ‘মোখলেস ভাই হাওয়া দেখতে যাবেন।’
মোখলেস ভাই ওর দিকে ঠান্ডা চোখে তাকালেন।
‘চঞ্চল চৌধুরী খুব ভালো অভিনয় করেছে। মুভিটি খুব ভালো চলছে। টিকেট না কি পাওয়াই যাচ্ছে না।’
মোখলেস ভাই তবু কোনো কথা বললেন না।
‘দরকার নেই হলে যাওয়ার। যা ভিড়!’ হড়বড় করে বলল ইমন।
‘তার চেয়ে আপনি বরং হইচই অ্যাপে চঞ্চল চৌধুরীর নতুন সিরিজ কারাগার দেখুন। এর আগেরটি তো দেখেছেন। ওই যে লাশ নিয়ে ফ্রিজিং অ্যাম্বুলেন্সে এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় ঘুরে বেড়ায় ড্রাইভার চঞ্চল চৌধুরী।
‘খসরু, কী যেন নাম মুভিটার?’
‘তাকদির।’
‘হ্যাঁ। ওই সিরিজটা কি দেখেছেন মোখলেস ভাই?’
‘না।’ নির্লিপ্ত স্বরে বললেন তিনি।
‘দেখতে পারেন। ড্রাইভারের চরিত্রে চঞ্চল চৌধুরী অসাধারণ অভিনয় করেছে?’
‘শালার ড্রাইভার, এই ড্রাইভারই তো সব নষ্টের গোড়া।’ বিড়বিড় করে বললেন মোখলেস ভাই।
‘মানে ঠিক বুঝলাম না।’ ইমনকে হতভম্ব দেখাল।
‘বাড়ির কর্তা, প্রতিষ্ঠান প্রধান থেকে শুরু করে আমরা সবাই একেকজন ড্রাইভার। ড্রাইভারই যদি বেঠিক পথে যায় তাহলে গাড়ি ঠিকভাবে কীভাবে চলবে?’
‘হুম। ঠিকই বলেছেন মোখলেস ভাই। হারানো ময়লার গাড়ির ড্রাইভার কী বলছে।’
‘ডিউটি শেষে সে গাড়ি ঠিকমতোই গ্যারেজে রেখেছে। ভিডিও রেকর্ডিংয়ে দেখা যাচ্ছে। পরে অন্য কোনো ড্রাইভার গাড়িটি নিয়ে পালিয়েছে। একটা ময়লার গাড়ি নিয়ে ব্যাটা কী করবে সেটাই ভেবে পাচ্ছি না।’
‘ভিআইপি এলাকার গাড়ি। ভিআইপিদের মলমূত্রও নিশ্চয়ই খুব দামি।’ ইমন হাসল।
একটু থামল। তারপর বলল, ‘তাকদির কি দেখবেন? আমার মোবাইলে ডাউনলোড করা আছে।’
‘দেখি।’ মোখলেস ভাই পাশ ফিরে শুলেন।
ইমন চলে গেল।
‘লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্স পায় কোথায়?’ মোখলেস ভাই বিড়বিড় করলেন।
‘ভাড়া নিয়েছে। শ্যুটিংয়ের জন্য অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া নিয়েছে।’ বললাম।
‘তা তো বুঝলাম। কিন্তু শ্যুটিংয়ের জন্য কারো যদি ময়লার গাড়ি প্রয়োজন হয়, তাহলে?’ মোখলেস ভাই বিছানায় উঠে বসলেন। উত্তেজনায় তার চোখ দুটো চকচক করছে।
‘একই কাজ করবে। ভাড়া নেবে।’ সহজ উত্তরটাই বললাম।
‘ভুল। অন্যসব গাড়ি পাওয়া গেলেও ময়লার গাড়ি সহজে পাওয়া যাবে না। তখন মুভির পরিচালক গাড়ি চুরি করবে না?’ উত্তেজিত গলায় বললেন মোখলেস ভাই।
‘পরিচালকের আর খেয়েদেয়ে কাজ নেই। ময়লার গাড়ি চুরি করাবে?’
‘করাতেও তো পারে।’
‘কিন্তু কেন করাবে? চাইলে তো অন্য গাড়িকেও ময়লার গাড়ি হিসেবে দেখাতে পারে।’
‘উঁহু! আমার তা মনে হয় না। পরিচালক যদি পারফেকশনিস্ট হয় তবে সে সবসময় চাইবে সত্যিকারের ময়লার গাড়ি নিয়ে শ্যুটিং করতে।’
‘এতকিছু থাকতে ময়লার গাড়ি নিয়ে কাহিনি বানাতে যাবে কোন পরিচালক।’
‘খসরু, তুই বাংলাদেশের পরিচালকদের চিনিস না। এরা মুভি সুপারহিট হওয়ার পর একই নামের বা ধরনের সিনেমা বানানোর হিড়িক পড়ে যায় পরিচালকদের মধ্যে। যেহেতু লাশবাহী গাড়ির মুভি হিট হয়েছে তখন অবশ্যই ময়লার গাড়ি নিয়েও অনেক মুভি হবে।’
‘এখন তাহলে কী করবেন?’
‘ডিপজল ভাইকে ফোন করব।’ মোখলেস ভাই ফোনের দিকে হাত বাড়ালেন।

সাত.
মোখলেস ভাইয়ের জন্য ‘ডিপজল ভাই’ হলেন গুগল সার্চ। তার আসল নাম লোকমান হোসেন। এককালে ডিপজলের মুভি দেখতেন দেদারসে। তার বলা সিনেমার ডায়লগ হুবহু বলতে পারতেন গড়গড় করে। বন্ধুরা ভালোবেসে তাকে ডিপজল ভাই বলেই ডাকে। দুই তিন জায়গায় চাকরি পেয়েও ছেড়েছেন। এখন তিনি বিভিন্ন নাটকে সিনেমায় এক্সট্রা শিল্পী জোগানের কাজ করেন।
মোখলেস ভাইয়ের সাথে তার খুব খাতির। গত পরশু দিন মোখলেস ভাই তার কাছেই ফোন করেছিলেন। ‘কী হে গুগল। কী করছিস?’
‘গুগলের আর কাজ কী? সার্চ করা। তাই করছি।’ ওপাশ থেকে বলেছিলেন লোকমান ভাই। মোখলেস ভাইয়ের মোবাইল কল ভলিউম এত জোরে যে সব শুনতে পেয়েছিলাম।
‘আমার জন্যও একটা সার্চ কর দেখি।’
‘কী লাগবে বস? বলেন তো এখনই পাঠায় দেই।’
‘পাঠাতে হবে না। আমার লাগবে শুধু খোঁজ।’
‘কী জিনিস বস?’
‘একটা ময়লার গাড়ি।’
‘ময়লার গাড়ি সিটি কর্পোরেশনে পাবেন। আমার কাছে তো এটা পাবেন না বস।’
‘আমি পেতেও চাইছি না।’
‘তাহলে বস?’
‘কোনো স্পটে কি ময়লার গাড়ির শ্যুটিং চলছে? মানে জানতে চাইছি কোনো পরিচালক ময়লার গাড়ি নিয়ে শ্যুটিং করছে কি না? করলেও কোথায় করছে?’
‘ঠিক আছে বস। চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যেই জানাচ্ছি।’
গতকাল রাতেই গুগল ভাই তার সার্চ কমপ্লিট করে জানিয়েছেন গাজীপুরের একটা রিসোর্টে ময়লার গাড়ির শ্যুটিং চলছে। তবে ওই পরিচালক ময়লার গাড়ি কার কাছ থেকে ভাড়া নিয়েছেন, সেটা গুগল ভাই জানতে পারেননি। মোখলেস ভাই সাথে আলতাফ ভাইকে রিং ব্যাক করেছিলেন। পর পর তিনবার কল করার পরও ধরেননি তিনি। বাধ্য হয়ে এসএমএস পাঠালেন মোখলেস ভাই, গাড়ির খোঁজ পেয়েছি। নিয়ে আসছি।’
মোখলেস ভাই তো মেসেজ পাঠিয়েই খালাস। ময়লার গাড়ি খুঁজতে আমাদের বেশ পেরেশান হতে হলো। কাল দুপুর থেকে খোঁজা শুরু করেছিলাম। খুঁজে পেয়েছি আজ দুপুরে। গাড়িটি আছে একটা রিসোর্টের ভেতরে। সরাসরি ঢোকার উপায় নেই।
গেটে গার্ড আছে। চারপাশে উঁচু পাঁচিল।
‘খসরু, এখন উপায়?’ মোখলেস ভাই জানতে চাইলেন।
‘চলেন ফিরে যাই।’
‘এতদূর এসে খালি হাতে ফিরে যাব। কখনো না।’
অগত্যা মাথা ঝাঁকালাম। খিদে পেয়েছিল। পাশের টি স্টল থেকে চা আর কেক খেলাম। গতকাল থেকে পেটে ভাত পড়েনি। ময়লার গাড়ি খুঁজে পাওয়ার উত্তেজনায় মোখলেস ভাই একবারও জানতে চাননি— ভাত খাব কি না। আমরা রিসোর্টের চারপাশে ঘুরলাম।
একবার।
দুবার।
কয়েকবার।
‘আমরা এখানে পড়ে আছি কেন?’ জানতে চাইলাম।
‘গাড়ির জন্য।’
‘গাড়ি খুঁজে পেয়েছি। আলতাফ সাহেবকে জানিয়ে দিলেই তো হয়।’
‘আগে তো জানতে হবে এ গাড়িই সেই গাড়ি কি না। তারপর না অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা।’
‘ভেতরে যাবেন কীভাবে?’
‘কীভাবে আবার, পাঁচিল টপকিয়ে যাব।’
‘সিসিটিভি ক্যামেরায় দেখতে পাবে না?’
‘তাই তো। এ বিষয়টি মাথায় আসেনি। দাঁড়া ওই চায়ের দোকানে চা খেতে খেতে জেনে নিই, পেছন দিক দিয়ে ঢোকার কোনো রাস্তা আছে কি না।’
রিসোর্টের সামনে চায়ের দোকানে বসলাম আমরা। লোকজন নেই বললেই চলে।
মোখলেস ভাই দু’কাপ চায়ের অর্ডার দিলেন। আমি সাথে কেক জুড়ে দিলাম। খিদে লেগেছে।
দোকানদার লোকটি চা দিতে এল।
‘ভাই, রিসোর্টের পেছন দিক দিয়ে ঢোকার কোনো রাস্তা আছে?’ মোখলেস ভাই জানতে চাইলেন।
‘পেছন দিক দিয়ে ঢুকবেন কেন?’
‘না মানে, ভেতরটা একটু ঘুরে ঘুরে দেখতাম।’
‘তাহলে সোজা গেট দিয়ে ঢুকে যান। গেটম্যানকে বলবেন, রেস্তোরাঁতে খেতে যাচ্ছেন। ভেতরে চমৎকার একটা রেস্তোরাঁ আছে। অনেকেই বাইরে থেকে খেতে যায়।’
‘মনে করেছিলাম, বড় লোকদের হোটেল। ঢুকতে বোধহয় দেবে না।’
চা দোকানদার আমাদের চোখ দিয়ে মাপল। যেন বলতে চাইল, আপনারা কি ছোটলোক।
মোখলেস ভাই আমার দিকে তাকিয়ে বলল, ‘দ্যাখ, তোকে বলেছিলাম না, সরাসরি যেতে পারব। পেছন দিক দিয়ে যেতে হবে না। এখন বুঝলি তো।’

আট.
‘এখন আর বোঝাবুঝির কিছু নেই।’ চায়ে চুমুক দিয়ে বললেন মোখলেস ভাই।
‘কী করতে চান?’
‘গাড়ির ছবি তুলে আলতাফ সাহেবকে ফোন করব। যতদ্রুত সম্ভব পুলিশ নিয়ে আসতে বলব এখানে। ক্লাইমেক্স সিনটা এখানেই দৃশ্যায়িত হোক।’ মোখলেস ভাই ফিসফিস করে বললেন।
‘কখন সেটা?’
‘আরেকটু রাত হোক।’
‘রাত হলে কী হবে? বেশি রাতে উনি তো ঘুমের দেশে থাকবেন। হয়তো ফোনই ধরবেন না।’
‘তাই তো। তুই তো ঠিকই বলেছিস। চল, গাড়ির কাছে যাই। যদি গাড়িটা সিটি কর্পোরেশনেরই হয়, তাহলে আলতাফ সাহেবকে সরাসরি ফোর্স নিয়ে আসতে বলব এখানে।’
রেস্টুরেন্ট থেকে বের হয়ে এলাম।
কেন জানি শীত শীত করছে। বরাবরই দেখেছি, নাটকের শেষ দৃশ্যে এসে নায়ক নায়িকা নার্ভাস হয়ে যান। আমরা শীতে কাঁপছি।
ধীর পায়ে এগিয়ে গেলাম। কেউ কিছু বলল না। চারদিকে চমৎকার সব বাহারি ফুল। কেউ কেউ ছবি তুলছে। আমরা তাদের পাশ কাটিয়ে এলাম। টের পেলাম, টেনশন বাড়ছে। গাড়ির কাছে যতই যাচ্ছি ততই মনে হচ্ছে এরপর কী এরপর কী।
হঠাৎ দাঁড়িয়ে গেলাম।
‘মোখলেস ভাই।’ ফিসফিস করে বললাম।
আমার দৃষ্টিপথ অনুসরণ করে মোখলেস ভাই তাকালেন। বেশ কিছুদূরে আমাদের চোখের সামনে দাঁড়িয়ে আছে একটা ময়লার গাড়ি।
সিটি কর্পোরেশন লেখাটা পড়া যাচ্ছে। আলতাফ সাহেব আমাদের গাড়ির যে ছবিটা দেখিয়েছিলেন মনে হচ্ছে সেটাই।
তোর ফোনটা দে।’ হুকুম করলেন মোখলেস ভাই।
‘কেন?’
‘তোর ফোনের রেজুলেশন ভালো।’ আমার ফোন দিয়ে গাড়ির ছবি তুলতে তুলতে বললেন তিনি।
‘এইবার আলতাফ সাহেবকে ছবিটা মেসেঞ্জারে পাঠিয়ে দেই, কী বলিস?’
এবার বুঝতে পারলাম আমার ফোনের প্রশংসা করার কারণ। নিজের এমবি খরচ করবেন না মোখলেস ভাই।
‘দাঁড়া। তোর ফোন থেকেই আলতাফ সাহেবকে ফোন করে জানিয়ে দিই গাড়ি পাওয়া গেছে।’
‘মোখলেস ভাই।’ চিৎকার করে উঠলাম। ময়লার গাড়ির সামনের লাইট দুটো জ্বলে উঠেছে। ধীরে ধীরে চলতে শুরু করেছে গাড়িটি।
‘পালাচ্ছে।’
‘এখন কী করবেন মোখলেস ভাই?’
‘একবার যখন পেয়েছি চোখের আড়াল করতে দেব না। আয় জলদি, কুইক।’
মোখলেস ভাই পিছু নিলেন গাড়ির। আমিও সাথে দৌড়াচ্ছি। কষ্ট করে হলেও শেষ পর্যন্ত দুজনেই উঠতে পারলাম পেছনে।
‘উফ! কী বিশ্রী গন্ধ! বাবা রে!’ নাক চেপে ধরলাম।
‘বড় কোনো কিছু পেতে হলে এমন কত গন্ধ জীবনে সহ্য করতে হবে।’
‘এখন আমরা কী করব?’ জানতে চাইলাম।
‘অপেক্ষা করি। দেখি গাড়িটা কোথায় যায়? এমন তো হতে পারে গাড়িটা চোরদের আস্তানায় যাচ্ছে।’
‘তা তো বুঝলাম। কিন্তু আমরা কতক্ষণ এভাবে গন্ধের মধ্যে বসে থাকব?’ জানতে চাইলাম।
‘যতক্ষণ না আলতাফ সাহেব তার ফোর্স নিয়ে এই গাড়ির কাছে পৌঁছান?’
‘কখন পৌঁছাবেন? গন্ধের চোটে নাড়িভুড়ি তো উল্টে আসছে আমার।’
‘আলতাফ সাহেবকে খবর দিয়েছি। এসে পৌঁছালেন বলে।’
‘কেমন করে পৌঁছাবেন? আপনি কি ফোন করেছিলেন? চলমান গাড়িতে আছেন। কোথায় আছেন তা কি জানেন? কোথায় যাচ্ছেন তাই বা জানেন কি?’
‘আসলেই তো। আলতাফ সাহেবকে ফোন করতেই ভুলে গেছি। দাঁড়া লোকেশন অন করে ওনাকে ফোন দেই, কি বলিস?’
লোকেশন অন করে কথা বললে আলতাফ সাহেব আমাদের অবস্থান কীভাবে জানবেন, বুঝতে পারলাম না।
ফোন বেজে উঠল। লোকেশনের পরিবর্তে স্পিকার বোতামে চাপ পড়ল।
ফোন রিসিভ হয়ে গেল। আলতাফ সাহেব ফোন করেছেন।
‘মোখলেস ভাই, মেনি মেনি থ্যাংকস। কী বলে যে আপনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করব ভাষায় প্রকাশ করতে পারছি না।’
মোখলেস ভাই আধো অন্ধকারেই আমার দিকে অবাক হয়ে তাকালেন।
‘কেন ভাই?’
‘ভাই, সব জেনেও না জানার ভান করছেন।’
‘তবু বলুন, কী ব্যাপার?’
‘বলছিলাম, গাড়ির খুঁজে পাওয়ার ব্যাপারটা…’
‘আমিও আপনাকে সে ব্যাপারেই ফোন করতে যাচ্ছিলাম।’
‘দরকার নেই ভাই। গাড়ি ফিরে পেয়েছি। এটাই অনেক বড় একটা ব্যাপার। কিভাবে কী করলেন জানি না ভাই। কিন্তু গাড়িটা অক্ষত ফিরে পাওয়ার ব্যাপারে আপনার অবদান জীবনেও ভুলব না ভাই।’
‘কোথায় ফিরে পেলেন?’
‘কই আবার, যেখান থেকে হারিয়েছিল, সেখানেই ফিরে এসেছে গাড়িটা, গ্যারেজে।’
‘গ্যারেজ।’ হা হয়ে গেল মোখলেস ভাইয়ের মুখ। অবাক হয়ে আমার দিকে তাকালেন তিনি। চোখে প্রশ্ন— আমরা তাহলে এ কোন গাড়িতে বসে আছি। আমাদের মনের প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার জন্যই বোধহয় গাড়িটা থেমে গেল। একটু পরই ব্যাক গিয়ারে চলতে শুরু করল।
‘চল নেমে পড়ি। নয়তো গাড়ির ড্রাইভার আমাদের আবার ধরে ফেলবে।’ এমনভাবে মোখলেস ভাই বললেন, যেন আমরাই চুরি করে গাড়িতে উঠেছি।’
আমরা নই। গাড়িই আমাদের নামিয়ে দিল। হঠাৎ সামনের প্রান্ত উঁচু হয়ে গেল। কিছু বুঝে ওঠার আগেই নিচে পড়ে গেলাম আমরা। উৎকট দুর্গন্ধ বুঝিয়ে দিল আমরা ময়লার খালে পড়েছি। একটুপরই গাড়ির সব ময়লা আমাদের উপর বৃষ্টির মতন পড়তে শুরু করল। হাঁচড়ে পাঁচড়ে উঠে এলাম খাল থেকে। সারা গায়ে দুজনের ময়লা আবর্জনায় চিটচিট করছে। হাত দিয়ে যে নাক মুখ চেপে ধরব, তারও জো নেই, কারণ শরীরের সব জায়গায় ময়লা আর ময়লা।
‘মোখলেস ভাই!’ চিৎকার করে দৃষ্টি আকর্ষণ করলাম।
দুজনেই পড়লাম। গাড়ির গায়ে লেখা আছে— গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন।
‘জীবনেও আমি আর ময়লার গাড়ি খুঁজতে কোথাও যাব না।’ বিড়বিড় করে প্রতিজ্ঞা করলেন মোখলেস ভাই।
‘কী বললেন?’ জানতে চাইলাম।
‘বললাম, তোর ইচ্ছে হলে তুই খুঁজতে যাস, আমি আর জীবনেও ময়লার গাড়ি খুঁজতে যাব না— বুঝলি!’
দিনাজপুর থেকে

শেয়ার FacebookThreadsBluesky

আরও যেসব নিউজ পড়তে পারেন

ডিডাব্লিউ থেরাপি :: শাহনেওয়াজ চৌধুরী

July 16, 2025

নাইট কোচে এসি বাসে :: ইমরুল ইউসুফ

July 16, 2025

আমাদের সাদা বাড়িতে একজন লাল অতিথি আসবেন :: শফিক হাসান

July 14, 2025

রগচটা বদরুল :: আব্দুল খালেক ফারুক

July 14, 2025

সৈয়দ মুজতবা আলীর রম্যরচনা ‘খোশগল্প’

July 12, 2025

সাম্প্রতিক খবর

  • জনসমর্থন কমেছে ট্রাম্পের

    July 30, 2025
  • ভূমিকম্পের পর সুনামি নিয়ে উৎকণ্ঠা

    July 30, 2025
  • ‘বাংলাদেশে আমার হৃদয়ের অনেকটা অংশ রয়ে গেছে’ হামজা চৌধুরী

    July 29, 2025
  • মালিবাগ থেকে অপহৃত যুবকের সন্ধান মেলেনি ১০ দিনেও

    July 29, 2025
  • ডাকসু নির্বাচন ৯ সেপ্টেম্বর

    July 29, 2025

BDOUTLOOK.COM

নির্বাহী সম্পাদক : কাদের বাবু

  • হোম
  • দেশ
    • জাতীয়
    • ঢাকা
    • চট্টগ্রাম
    • খুলনা
    • রাজশাহী
    • বরিশাল
    • সিলেট
    • রংপুর
    • ময়মনসিংহ
  • বিশ্ব
  • প্রবাস
    • আমেরিকা
    • ইউরোপ
    • মধ্যপ্রাচ্য
    • আফ্রিকা
    • এশিয়া
  • রাজনীতি
  • অর্থবাণিজ্য
  • খেলা
  • বিনোদন
  • মতামত
  • ফিচার
    • শিল্পসাহিত্য
      • কবিতা ও ছড়া
      • গল্প
      • প্রবন্ধ-আলোচনা
      • রম্য
      • শিশুসাহিত্য
      • শিল্পসাহিত্যের খবর
    • তথ্যপ্রযুক্তি
    • লাইফস্টাইল
    • ট্যুরিজম
    • ধর্ম
    • স্বাস্থ্য
    • ক্যাম্পাস
    • নারী
  • অপরাধ আইন আদালত
  • সাক্ষাৎকার

bdoutlook2@gmail.com

  • Privacy Policy
BDOUTLOOK
  • হোম
  • দেশ
    • জাতীয়
    • ঢাকা
    • চট্টগ্রাম
    • খুলনা
    • রাজশাহী
    • বরিশাল
    • সিলেট
    • রংপুর
    • ময়মনসিংহ
  • বিশ্ব
  • প্রবাস
    • আমেরিকা
    • ইউরোপ
    • মধ্যপ্রাচ্য
    • আফ্রিকা
    • এশিয়া
  • রাজনীতি
  • অর্থবাণিজ্য
  • খেলা
  • বিনোদন
  • মতামত
  • ফিচার
    • শিল্পসাহিত্য
      • কবিতা ও ছড়া
      • গল্প
      • প্রবন্ধ-আলোচনা
      • রম্য
      • শিশুসাহিত্য
      • শিল্পসাহিত্যের খবর
    • তথ্যপ্রযুক্তি
    • লাইফস্টাইল
    • ট্যুরিজম
    • ধর্ম
    • স্বাস্থ্য
    • ক্যাম্পাস
    • নারী
  • অপরাধ আইন আদালত
  • সাক্ষাৎকার