গত জুন মাসে রাজধানী ঢাকায় স্বাভাবিকের তুলনায় প্রায় ৪৪ শতাংশ কম বৃষ্টিপাত হয়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, এ মাসে মাত্র ১৮০ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড হয়েছে, যেখানে গড় বৃষ্টি হওয়ার কথা ছিল ৩২১.৩ মিলিমিটার। যদিও মাসজুড়ে ২৪ দিন বৃষ্টি হয়েছে, বেশিরভাগ দিনেই তা ছিল অতি সামান্য। সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয় ১৭ জুনে, মাত্র ৩৬ মিলিমিটার।
অপরদিকে, বাতাসে আর্দ্রতার মাত্রা তুলনামূলকভাবে বেশি থাকায় ভ্যাপসা গরম জনজীবনকে করেছে অস্বস্তিকর। দিনের পর দিন আকাশ মেঘলা থাকলেও বৃষ্টির দেখা মেলেনি। ফলে রাস্তাঘাটে, যানজটে কিংবা খোলা জায়গায় থাকা মানুষ, বিশেষ করে খেটে খাওয়া ও রিকশাচালকরা সবচেয়ে বেশি ভোগান্তির শিকার হন।
জুন মাসে ঢাকায় স্বাভাবিক আর্দ্রতা থাকার কথা ছিল ৮২ শতাংশ, তবে এ বছর তা ছিল গড়ে ৭৪ শতাংশ। মাসের শেষদিকে আর্দ্রতা বেড়ে যাওয়ায় গরমের অনুভূতি আরও বেশি হয়। মাসের শেষ ১০ দিনে আর্দ্রতার হার ছিল ৬৪-৮১ শতাংশের মধ্যে।
এ মাসে ৭ থেকে ১৫ জুন পর্যন্ত টানা ৮ দিন তাপপ্রবাহ ছিল, যার মধ্যে ঢাকায় দুদিন। বৃষ্টি কম হওয়ায় এবং বাতাসে জলীয় বাষ্পের স্বল্পতার কারণে শরীরের ঘাম শুকাতে পারেনি, ফলে বাড়তি গরম অনুভূত হয়েছে।
আবহাওয়াবিদদের মতে, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে জুন-জুলাই মাসে ভারী বর্ষণের প্রবণতা কমে যাচ্ছে এবং বর্ষার ভারী বৃষ্টি সরে যাচ্ছে সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে। এ বছর মৌসুমি বায়ু স্বাভাবিক সময়ের আগেই প্রবেশ করলেও তা সক্রিয় হয়নি, ফলে বৃষ্টি হয়নি পর্যাপ্ত পরিমাণে।
আবহাওয়াবিদ বজলুর রশিদ জানিয়েছেন, জুলাই মাসেও বৃষ্টি স্বাভাবিকের চেয়ে কম হতে পারে এবং ভ্যাপসা গরম অব্যাহত থাকবে।