স্বাস্থ্য প্রতিবেদন
ফিটনেস শুধু স্বাস্থ্যকর খাবার বা ব্যায়াম করার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। এর জন্য প্রয়োজন সময়োপযোগী অভ্যাস, নিয়মমাফিক ঘুম, সঠিক খাদ্যাভ্যাস এবং সকালের কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাজ। ঘুম থেকে উঠে সঠিক রুটিন মেনে চললে শরীরের জৈবিক ঘড়ি সচল থাকবে এবং সারাদিন সতেজ থাকা সম্ভব হবে।
খালি পেটে দুই গ্লাস পানি পান করুন
ঘুমের সময় শরীর পানি শূন্য হয়ে যায়। সকালে উঠেই খালি পেটে পানি পেলে ডিটক্সিফিকেশন হয়, হজম শক্তি বাড়ে এবং শরীর হাইড্রেটেড থাকে। চাইলে গরম পানিতে লেবুর রস বা দারুচিনির গুঁড়ো মিশিয়ে পান করতে পারেন, যা ইনসুলিন সেনসিটিভিটি ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা উন্নত করে।
সকালের নাশতা ছাড়বেন না
সকালের নাশতায় প্রোটিন এবং ফাইবারযুক্ত খাবার রাখুন, যেমন— টকদই, সিদ্ধ ডিম, চিয়া সিডস, ওটস বা আটার রুটি। এগুলো শরীরকে শক্তি দেয় এবং দীর্ঘক্ষণ ভোজনহীন থাকার সময় এনার্জি যোগায়।
চিনি ও ময়দা থেকে বিরত থাকুন
চিনি ও প্রক্রিয়াজাত রিফাইন্ড কার্বস শরীরে ক্ষতিকর ইনসুলিন স্পাইক ঘটাতে পারে, যা ওজন বৃদ্ধির কারণ। তাই সকালের নাশতায় এ ধরনের খাবার পরিহার করুন।
কফি বা চা খাবেন ভারী নাশতার পরেই
খালি পেটে চা-কফি পান করলে কর্টিসল (স্ট্রেস হরমোন) বৃদ্ধি পায়, যা শরীরের জন্য ক্ষতিকর। তাই সকাল বেলা ভারি খাবার খেয়ে তার পর চা-কফি উপভোগ করুন।
সকালে রোদে হাঁটুন
সকালের হালকা রোদে ১০ মিনিট হাঁটা দেহে ভিটামিন ডি উৎপাদন বাড়ায় এবং জৈবিক ঘড়িকে সঠিক ছন্দে পরিচালিত করে। সানস্ক্রিন ব্যবহার করেও রোদে বেরুনো যেতে পারে।
সময় মতো ঘুমোতে ও উঠতে অভ্যস্ত হন
রাত ৭-৮ ঘণ্টা পর্যাপ্ত ঘুম এবং ভোরে তাড়াতাড়ি ওঠা শরীর ও মস্তিষ্ককে সতেজ রাখে এবং দীর্ঘমেয়াদে ফিটনেস বজায় রাখে।
কিছু টিপস
* সকালে উঠে স্ট্রেচিং বা হালকা ব্যায়াম করলে রক্ত সঞ্চালন ভালো হয়।
* ধূমপান ও অ্যালকোহল এড়িয়ে চলুন
* নিয়মিত জলপান করুন সারাদিনে।