নিজস্ব প্রতিবেদক
বাংলাদেশে মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস (এমএফএস) এখন আর্থিক লেনদেনকে করে তুলেছে আরও সহজ ও দ্রুত। বিকাশ, নগদ কিংবা রকেটের মতো সেবার মাধ্যমে আজ শহর থেকে গ্রাম—সব জায়গার মানুষ পাচ্ছেন ব্যাংকিং সুবিধা। ফলে দেশের অর্থনীতিতে যুক্ত হচ্ছে নতুন গতি।
কীভাবে অ্যাকাউন্ট খুলবেন
হিসাব খোলা এখন খুবই সহজ। চাই শুধু একটি সচল মোবাইল নম্বর, জাতীয় পরিচয়পত্র/পাসপোর্ট এবং একটি স্মার্টফোন।
১. প্রথমে গুগল প্লে স্টোর বা অ্যাপল অ্যাপ স্টোর থেকে বিকাশ, নগদ বা পছন্দের এমএফএস অ্যাপ ডাউনলোড করুন।
২. অ্যাপ খুলে “নতুন অ্যাকাউন্ট খুলুন” বা “রেজিস্টার” অপশনে ক্লিক করুন।
৩. আপনার মোবাইল নম্বর লিখে অপারেটর (গ্রামীণফোন, রবি, এয়ারটেল, বাংলালিংক, টেলিটক) নির্বাচন করুন।
৪. নম্বরে একটি যাচাইকরণ কোড (OTP) আসবে, সেটি দিয়ে ভেরিফাই করুন।
৫. এরপর জাতীয় পরিচয়পত্রের সামনে–পেছনের ছবি এবং একটি সেলফি তুলতে হবে।
৬. পেশা, লিঙ্গ, আয়ের উৎস ও নমিনি সংক্রান্ত তথ্য দিয়ে শর্তে সম্মতি জানান।
৭. যাচাই সম্পন্ন হলে একটি কনফার্মেশন এসএমএস আসবে।
৮. শেষে একটি গোপন পিন নম্বর সেট করুন। মনে রাখবেন, এই পিন কারও সঙ্গে শেয়ার করবেন না।
একটি জাতীয় পরিচয়পত্র দিয়ে একটি মাত্র এমএফএস অ্যাকাউন্ট খোলা যায়।
অ্যাকাউন্ট চালু হওয়ার পর করণীয়
- ব্যাংক থেকে টাকা এনে বা নিকটস্থ এজেন্টের মাধ্যমে অ্যাকাউন্টে টাকা জমা করে লেনদেন শুরু করা যাবে।
কী কী সুবিধা মিলবে
- মোবাইল ব্যাংকিং শুধু টাকা পাঠানোই নয়, আরও অনেক সুবিধা দিচ্ছে—
- সহজ ও দ্রুত লেনদেন – যেকোনো সময়, যেকোনো স্থান থেকে টাকা পাঠানো বা তোলা সম্ভব।
- ব্যাংকিং সেবায় অন্তর্ভুক্তি – গ্রামীণ ও প্রান্তিক মানুষও সহজেই আর্থিক ব্যবস্থায় যুক্ত হচ্ছেন।
- নিরাপত্তা – প্রতিটি লেনদেন পিন দ্বারা সুরক্ষিত এবং ফোনে রেকর্ড থাকে।
- সাশ্রয়ী খরচ – অনেক ক্ষেত্রেই মোবাইল ব্যাংকিংয়ের খরচ প্রচলিত ব্যাংকের তুলনায় কম।
- ডিজিটাল মানিব্যাগের সুবিধা – মোবাইল অ্যাপ হাতের নাগালেই টাকা রাখার অনুভূতি দেয়।
- এখন মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে আপনি করতে পারবেন—
- টাকা জমা ও উত্তোলন
- টাকা পাঠানো
- মোবাইল রিচার্জ
- বিদ্যুৎ–গ্যাস–পানি বিল পরিশোধ
- সুপারশপ বা মুদিদোকানে কেনাকাটা
- কিস্তি, ক্রেডিট কার্ড বা বিমার প্রিমিয়াম পরিশোধ
- সব মিলিয়ে, মোবাইল ব্যাংকিং আজকের জীবনে এক অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠেছে।