হিন্দুস্তান টাইমস
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দুই দিনের সফরে আজ শনিবার চীনে পৌঁছেছেন। এটি সাত বছরের মধ্যে তাঁর প্রথম চীন সফর। মোদি সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন (এসসিও) শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিচ্ছেন। সফরের সময় তিনি চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করবেন। রোববার মোদির সির সঙ্গে বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে।
২০২০ সালের এপ্রিল-মে মাসে লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় ভারত ও চীনের সেনাদের মধ্যে বড় ধরনের সংঘাত ঘটে। এরপর থেকে দুই দেশের সম্পর্ক চরম অবনতি হয়েছিল।
সাম্প্রতিক কালে যুক্তরাষ্ট্র ভারতীয় পণ্যের ওপর শুল্ক ৫০ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি করেছে। এর মধ্যে রাশিয়া থেকে আমদানি করা জ্বালানি তেলের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের এই পদক্ষেপ ভারতের ওপর অর্থনৈতিক চাপ সৃষ্টি করেছে। এ পরিস্থিতিতে মোদির চীন সফর কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ বলে বিশ্লেষকেরা মনে করছেন।
মোদি আজ জাপান থেকে চীনের তিয়ানজিন শহরে যান। তিয়ানজিনে অনুষ্ঠিত হচ্ছে এসসিও শীর্ষ সম্মেলন। এর আগে গত শুক্রবার মোদি জাপানের প্রধানমন্ত্রী ইশিবা শিগেরুর সঙ্গে বৈঠক করেন এবং জাপান-ভারত অর্থনৈতিক ফোরামে যৌথ ভাষণ দেন। এ বৈঠকে আগামী পাঁচ বছরে ভারতে জাপানের বিনিয়োগ ১০ ট্রিলিয়ন ইয়েন বা ৬ হাজার ৮০০ কোটি ডলারে উন্নীত করার পরিকল্পনার ঘোষণা দেওয়া হয়।
তিয়ানজিনে পৌঁছানোর পর মোদি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লিখেছেন, “এসসিও শীর্ষ সম্মেলনে আলোচনার জন্য এবং বিভিন্ন বিশ্বনেতার সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য অপেক্ষায় আছি।”
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সোয়াল বলেন, “মোদির এই সফর আমাদের এসসিওতে গঠনমূলক ও সক্রিয় ভূমিকার প্রমাণ।”