আন্তর্জাতিক ডেস্ক
দীর্ঘদিনের প্রতিদ্বন্দ্বী ভারত ও চীন ধীরে ধীরে সম্পর্ক জোরদারের পথে অগ্রসর হচ্ছে। পাঁচ বছরের অচলাবস্থা কাটিয়ে সীমান্ত বিরোধ, বাণিজ্য ও আকাশপথে যোগাযোগের ক্ষেত্রে নতুন সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।
সূত্র জানায়, চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই আগামী সপ্তাহে নয়াদিল্লি সফরে গিয়ে ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালের সঙ্গে বৈঠক করবেন। সেখানে হিমালয় সীমান্ত বিরোধসহ দ্বিপক্ষীয় নানা ইস্যুতে আলোচনা হতে পারে। ২০২০ সালের প্রাণঘাতী সীমান্ত সংঘর্ষের পর এটি হবে তাঁদের দ্বিতীয় বৈঠক।
চলতি মাসের শেষ দিকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি চীন সফরে যাবেন এবং প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। সাত বছরের মধ্যে এটাই তাঁর প্রথম চীন সফর, যেখানে তিনি সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের (এসসিও) শীর্ষ সম্মেলনেও অংশ নেবেন।
গত বছরের অক্টোবরে সীমান্ত টহল চুক্তির পর দুই দেশের সম্পর্কে ইতিবাচক পরিবর্তন এসেছে। স্থগিত থাকা সরাসরি ফ্লাইট পুনরায় চালু এবং হিমালয়ের তিনটি সীমান্তপথে বাণিজ্য পুনরায় শুরুর বিষয়ে আলোচনা চলছে। যদিও সীমান্ত বাণিজ্যের পরিমাণ মোট দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের তুলনায় নগণ্য, তবুও এটি সম্পর্ক স্বাভাবিককরণের প্রতীকী পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল জানিয়েছেন, চীনের সঙ্গে নির্ধারিত সব বাণিজ্যপথ পুনরায় চালুর বিষয়ে আলোচনা চলছে। চীনও সীমান্ত বাণিজ্য দ্রুত চালু করার প্রস্তুতির কথা জানিয়েছে, যা সীমান্তবর্তী মানুষের জীবনমান উন্নয়ন ও যোগাযোগ বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে।
এছাড়া ভারতের সরকারি চিন্তন প্রতিষ্ঠান চীনা বিনিয়োগের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত যাচাইয়ের নিয়ম শিথিলের প্রস্তাব দিয়েছে, যা দুই দেশের অর্থনৈতিক সম্পৃক্ততায় নতুন দিক উন্মোচন করতে পারে।