ভারতকে চটিয়ে ক্রমেই পাকিস্তানের দিকে ঝুঁকছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ভারতের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক বহাল রেখেই বুধবার তিনি ঘোষণা দিয়েছেন পাকিস্তানের সঙ্গে বড় ধরনের জ্বালানি সমঝোতা চূড়ান্ত হয়েছে।
ওই ঘোষণার মধ্য দিয়ে তিনি জানিয়ে দেন, পাকিস্তানের তেল সম্পদ উন্নয়নে যুক্তরাষ্ট্র যৌথভাবে কাজ করবে এবং এজন্য মার্কিন কোম্পানি নির্ধারণ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। অথচ ২০১৮ সালে প্রেসিডেন্ট হিসেবে প্রথম মেয়াদে ট্রাম্প এই পাকিস্তানকেই বলেছিলেন “মিথ্যা আর ধোঁকার দেশ”।
বর্তমানে পাকিস্তান ও যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কের রূপরেখা পাল্টে যাচ্ছে। শুধু বাণিজ্য নয়, সামরিক ও রাজনৈতিক ঘনিষ্ঠতাও দৃশ্যমান। সম্প্রতি ইউএস সেন্ট্রাল কমান্ডের প্রধানকে পাকিস্তানের সর্বোচ্চ সামরিক সম্মান “নিশান-ই-ইমতিয়াজে” প্রদান করা হয়েছে। এর আগেই পাকিস্তানের সেনাপ্রধানকে হোয়াইট হাউসে মধ্যাহ্নভোজে আপ্যায়ন করেন ট্রাম্প।
অন্যদিকে পাকিস্তান যুক্তরাষ্ট্রের ‘ওয়ার্ল্ড লিবার্টি ফিনান্সিয়াল’ নামে একটি ক্রিপ্টো কোম্পানির সঙ্গে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে অংশীদার হয়েছে, যার মালিকানা ট্রাম্প পরিবারের সঙ্গে জড়িত। একইসঙ্গে ট্রাম্পকে নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন দিয়েছে ইসলামাবাদ।
এসব ঘটনার প্রেক্ষিতে স্পষ্ট হচ্ছে—দ্বিতীয় মেয়াদে এসে ট্রাম্প ভারতকে চাপ দিয়ে পাকিস্তানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ জোট গড়ছেন। বিশ্লেষকদের মতে, এ পরিবর্তন শুধু বাণিজ্যিক নয়, দক্ষিণ এশিয়ার ভূরাজনৈতিক ভারসাম্যেও বড় ধরনের পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিচ্ছে।