যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহরের ম্যানহাটানে বন্দুকধারীর হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন চারজন। নিহতদের মধ্যে রয়েছেন নিউইয়র্ক পুলিশ বিভাগের (এনওয়াইপিডি) কর্মকর্তা দিদারুল ইসলাম, যিনি ছিলেন বাংলাদেশি অভিবাসী।
সোমবার সন্ধ্যায়, স্থানীয় সময় অনুযায়ী রাত ৭টার দিকে, পার্ক অ্যাভিনিউ ও ইস্ট ৫১ নম্বর স্ট্রিটের ব্যস্ত এলাকায় এই গুলির ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আচমকাই এক ব্যক্তি গুলি ছুঁড়তে শুরু করে। মুহূর্তেই ঘটনাস্থলে ছুটে আসে পুলিশ এবং পুরো এলাকা ঘিরে ফেলে। পরে গুলিতে সন্দেহভাজন বন্দুকধারীও নিহত হন।
নিহত পুলিশ সদস্য দিদারুল ইসলাম তিন বছর ধরে এনওয়াইপিডিতে কর্মরত ছিলেন। নিউইয়র্কের মেয়র এরিক অ্যাডামস এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, “অফিসার ইসলাম ছিলেন একজন সত্যিকারের নিউইয়র্কার। আমি তাঁর পরিবারের সঙ্গে দেখা করেছি। আমি তাঁদের বলেছি—তিনি একজন নায়ক।”
নিউইয়র্ক পুলিশ কমিশনার জেসিকা টিসচ বলেন, “ঘটনাস্থল এখন নিরাপদ। একমাত্র সন্দেহভাজন বন্দুকধারীকে নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে। তদন্ত চলছে।”
প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, বন্দুকধারী গুলি চালানোর পর নিজেই আত্মহত্যা করেছেন।
ঘটনার পর নিউইয়র্ক জুড়ে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। বিশেষ করে বাংলাদেশি অভিবাসী সম্প্রদায় দিদারুল ইসলামের মৃত্যুতে শোকাহত। অনেকে সামাজিক মাধ্যমে তাঁকে শ্রদ্ধা জানিয়ে পোস্ট করছেন—‘তিনি শুধু একজন পুলিশ কর্মকর্তা নন, আমাদের গর্ব।’
নিউইয়র্ক পুলিশ বিভাগ বলেছে, তারা নিহত অফিসারের মরদেহ যথাযোগ্য সম্মানের সঙ্গে দাফনের ব্যবস্থা করবে। পাশাপাশি তার পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছে শহর কর্তৃপক্ষ।
তথ্যসূত্র: এএফপি, সিএনএন, রয়টার্স, এনওয়াইপিডি অফিস, মেয়রের কার্যালয়
নিউইয়র্কে গুলিতে বাংলাদেশি অভিবাসী পুলিশ কর্মকর্তাসহ নিহত ৪
13