ক্রীড়া প্রতিবেদক
গত বছর পর্যন্ত নিয়মিত মুখ ছিলেন সৌম্য সরকার। চলতি বছর চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতেও খেলেছেন। তবে হঠাৎ করেই জাতীয় দলের বাইরে চলে যান এই বাঁহাতি ওপেনার। শ্রীলঙ্কা সিরিজের স্কোয়াডে জায়গা হয়নি তার। সেখানে সুযোগ পেয়েছিলেন নাঈম শেখ, কিন্তু তিনিও ব্যর্থ হয়েছেন নিজেকে প্রমাণে।
সৌম্যের সামর্থ্য নিয়ে প্রশ্ন থাকলেও তার দিনে সে যেভাবে খেলেন, তাতে বদলে যায় গোটা দলের চেহারা—এমনটাই মত সাবেক অধিনায়ক আকরাম খানের। সম্প্রতি এক গণমাধ্যমে তিনি বলেন,
‘সৌম্য খুব ভালো খেলোয়াড়। অনেকটা লিটনের মতো—যেদিন ভালো খেলে, সেদিন দুর্দান্ত খেলে। ও হয়তো কখনো কখনো শুরুতেই আউট হয়ে যায়, কিন্তু যেদিন খেলাটা ধরে ফেলে, সেদিন দলের পারফর্ম্যান্সই পাল্টে দেয়।’
আকরামের মন্তব্যের পক্ষে জোরালো প্রমাণ সৌম্যর সাম্প্রতিক কিছু ইনিংস। টি-টোয়েন্টিতে শেষ পাঁচ ইনিংসে দুইবার করেছেন চল্লিশোর্ধ্ব রান, তাও দারুণ স্ট্রাইক রেটে। যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে হোয়াইটওয়াশ এড়ানো ম্যাচে তিনি ২৮ বলে অপরাজিত ৪৩ রান করেন, স্ট্রাইক রেট ছিল ১৫৩। বাংলাদেশ সে ম্যাচ জেতে।
এর আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৩২ বলে ৪৩ রানের ইনিংস খেলেছিলেন সৌম্য, যা ছিল দলের সর্বোচ্চ স্কোর। সে ম্যাচেও জয় এসেছিল ৭ রানের ব্যবধানে।
ওয়ানডে ফরম্যাটেও রয়েছে তার ভালো কিছু ইনিংস। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজের শেষ ম্যাচে করেন ৭৩ রান। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে করেছিলেন ৬৮ রান—য虽 ম্যাচে শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ হেরে গেলেও, দলের বড় সংগ্রহে বড় অবদান ছিল তার। আফগানিস্তানের বিপক্ষেও তিনি ছোট ছোট ইনিংসে দলকে এনে দিয়েছিলেন ভালো শুরু।
অথচ এই সৌম্যই এখন দলের বাইরে। তবে বসে থাকেননি, জিএসএলে রংপুর রাইডার্সের হয়ে খেলেছেন। দুবাই ক্যাপিটালসের বিপক্ষে ৩৬ ও গায়ানা আমাজন ওয়ারিয়র্সের বিপক্ষে ৩৫ রানের দুটি কার্যকর ইনিংস খেলেছেন তিনি।
তার বদলে সুযোগ পাওয়া নাঈম শেখ ছিলেন পুরোপুরি নিষ্প্রভ। তিন ইনিংসে মোট ৪৫ রান, স্ট্রাইক রেট মাত্র ৮৪.৯০। তার ধীরগতির ব্যাটিং দলের ওপর চাপ বাড়িয়েছে আরও বেশি।
এই পারফরম্যান্স বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, সৌম্য নিয়মিত বড় ইনিংস না খেললেও যেদিন রান পান, সেদিন ম্যাচের গতিপথ বদলে দিতে পারেন। সে কারণেই জাতীয় দলে আবারও তার ফিরে আসার সম্ভাবনা অনেকটাই জোরালো হয়ে উঠেছে।