কক্সবাজারে সন্ত্রাসী হামলায় আহত হওয়া বিএনপি নেতা রহিম উদ্দিন সিকদার মারা গেছেন। আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ছয়টার দিকে চট্টগ্রামের এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নিহতের ভাই ও কক্সবাজার সদরের ভারুয়াখালী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান শফিকুর রহমান সিকদার।
রহিম উদ্দিন সিকদার ছিলেন ভারুয়াখালী ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক সভাপতি। গত রোববার পানিরছড়া এলাকায় জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে তাঁর ওপর হামলা চালানো হয়। ওই ঘটনায় আরও কয়েকজন আহত হন, যাদের মধ্যে দুজন এখনও চট্টগ্রামে আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন আছেন।
নিহতের ভাই শফিকুর রহমান জানান, জমি নিয়ে পূর্ব বিরোধের জের ধরে জামায়াত নেতা আবদুল আল নোমানের নেতৃত্বে রহিম সিকদারের ওপর অতর্কিত হামলা চালানো হয়। হামলায় আহত হন ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি সাকিব সিকদার, বিএনপি নেতা শাহিন সিকদার ও জসিম সিকদার।
তিনি আরও জানান, সন্ত্রাসীরা রহিম, সাকিব ও শাহিনকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে। গুরুতর অবস্থায় রহিম ও শাহিনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে রহিমকে এভারকেয়ার হাসপাতালে আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়, যেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। বর্তমানে সাকিব সিকদারও আইসিইউতে রয়েছেন।
কক্সবাজার সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ ইলিয়াস খান রহিম সিকদারের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এখন পর্যন্ত পরিবার থেকে লিখিত কোনো অভিযোগ না এলেও পুলিশ অভিযুক্তদের ধরতে অভিযান চালাচ্ছে। ইতিমধ্যে অভিযুক্ত একজন—মিজানকে আটক করা হয়েছে এবং তাঁকে পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
ঘটনা সম্পর্কে জামায়াতের কোনো দায়িত্বশীল নেতার বক্তব্য পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন ওসি। আইনগত প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।