আন্তর্জাতিক ডেস্ক
শুক্রবার হোয়াইট হাউসে ট্রাম্প জানান, দুই পক্ষের স্বার্থে কিছু অঞ্চল হাতবদল হতে পারে। বর্তমানে ইউক্রেনের লুহানস্ক, দোনেৎস্ক, জাপোরিঝঝিয়া ও খেরসন অঞ্চলের বড় অংশ রাশিয়ার দখলে রয়েছে। পুতিন দীর্ঘদিন ধরেই এসব অঞ্চল ছাড়তে ইউক্রেনকে চাপ দিয়ে আসছেন।
আলাস্কা, ৯ আগস্ট — যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন আগামী ১৫ আগস্ট আলাস্কায় বৈঠকে বসছেন। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের লক্ষ্যে এ আলোচনা হলেও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলছেন, এই বৈঠক থেকে কিছুই অর্জিত হবে না।
ক্রেমলিনও বৈঠকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। রুশ প্রেসিডেন্টের সহকারী ইউরি উশাকভ বলেন, দীর্ঘমেয়াদি সমাধানের জন্য বিকল্প উপায় নিয়ে আলোচনা করবেন দুই নেতা।
তবে ভূখণ্ড ছাড় দেওয়ার প্রস্তাবে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন জেলেনস্কি। শনিবার জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভিডিও ভাষণে তিনি বলেন, ইউক্রেনের সংবিধান লঙ্ঘন করে কোনো ভূখণ্ড দখলদারদের হাতে তুলে দেওয়া হবে না। “দখলদারদের ভূখণ্ড উপহার দেওয়া হবে না,” বলেন তিনি।
২০১৪ সালে রাশিয়া ক্রিমিয়া দখল করে। আর চলমান যুদ্ধে দখল হওয়া অঞ্চলগুলোসহ মোট প্রায় ২০ শতাংশ ভূখণ্ড এখন রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণে। ভূখণ্ড ছাড়ের যেকোনো সমঝোতা জেলেনস্কি সরকারের জন্য বড় রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা।