ভারতের হরিয়ানার গুরুগ্রামে পশ্চিমবঙ্গ ও আসামের বহু বাঙালিকে ‘বাংলাদেশি’ সন্দেহে আটক করে অস্থায়ী শিবিরে রাখা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। নদীয়ার পাথর আলি শেখসহ অনেককে কাগজপত্র যাচাইয়ের অজুহাতে আটক করা হয় এবং গুরুগ্রামের সেক্টর ১০এ-র একটি কমিউনিটি হলে কয়েকদিন আটকে রাখা হয়।
পাথর আলি শেখ জানিয়েছেন, চারদিন আটক থাকার পর নবদ্বীপ থানার রিপোর্টে তাকে মুক্তি দেওয়া হয়। তার অভিযোগ, পরিচয়পত্র দেখিয়েও তাকে ও আরও অনেকে আটক ছিলেন। শ্রমিক সংগঠক মুকুল হাসান শেখের দাবি, মুসলমানদের টার্গেট করে পুলিশ বেশি ধরপাকড় চালাচ্ছে এবং হিন্দু পদবী শুনে অনেককে ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সুপান্থ সিনহা এটিকে বেআইনি বলে মন্তব্য করেছেন। তিনি জানান, আটক শিবিরগুলোতে অমানবিক ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে মানুষদের রাখা হচ্ছে। তবে গুরুগ্রাম পুলিশ দাবি করেছে, ভারতীয় নাগরিক প্রমাণের পরও কাউকে আটক রাখা হয়নি।
ঘটনাটি স্থানীয় পরিযায়ী শ্রমিকদের মধ্যে তীব্র আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে।