গাজা উপত্যকার মাঝামাঝি শহর দেইর আল-বালাহতে ইসরায়েলি বাহিনী সোমবার ভোরে স্থল ও আকাশপথে ব্যাপক হামলা চালিয়েছে। এর ফলে নতুন করে বহু মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়েছেন। বহু পরিবার রাফা ও খান ইউনুস থেকে পালিয়ে এসে এই শহরে আশ্রয় নিয়েছিল। কিন্তু চলমান হামলায় তারা আবারও বাস্তুচ্যুত হয়ে পড়েছেন।
হামলার কয়েক ঘণ্টা আগে ইসরায়েল শহরের দক্ষিণ-পশ্চিম অংশের ছয়টি আবাসিক ব্লকের বাসিন্দাদের এলাকা ছেড়ে দেওয়ার নির্দেশ দেয়। এরপরই কিসুফিম চেকপয়েন্ট দিয়ে ইসরায়েলি ট্যাংক ও সামরিক যান শহরে প্রবেশ করে। তাদের সহায়তায় চালানো হয় ভারী গোলাবর্ষণ ও বিমান হামলা।
স্থানীয় সাংবাদিকদের বরাত দিয়ে বিবিসি জানিয়েছে, আবু আল-আজিন ও হিকর আল-জামি এলাকায় ডজনখানেক গোলা পড়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে বিস্ফোরণের শব্দ ও টানা গুলির আওয়াজ শোনা গেছে।
হামলার আতঙ্কে হাজার হাজার বাসিন্দা রাতেই শহর ছেড়ে উপকূলবর্তী এলাকা আল-মাওয়াসিরে পালিয়ে যান, যা এখন দক্ষিণ গাজার অন্যতম নিরাপদ অঞ্চল হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
স্থানীয়দের মধ্যে আশঙ্কা দেখা দিয়েছে, ইসরায়েল দেইর আল-বালাহকে মধ্য গাজার অন্যান্য অঞ্চল থেকে বিচ্ছিন্ন করতে চাচ্ছে। এর আগে নেতজারিম করিডরের মাধ্যমে গাজা শহরের দক্ষিণাংশ এবং মোরাগ করিডর দিয়ে রাফা শহরকে বিচ্ছিন্ন করা হয়েছিল। এই হামলা সেই একই কৌশলের অংশ হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বিবিসি ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর মন্তব্য জানতে চাইলে কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।