BDOUTLOOK
  • হোম
  • দেশ
    • জাতীয়
    • ঢাকা
    • চট্টগ্রাম
    • খুলনা
    • রাজশাহী
    • বরিশাল
    • সিলেট
    • রংপুর
    • ময়মনসিংহ
  • বিশ্ব
  • প্রবাস
    • আমেরিকা
    • ইউরোপ
    • মধ্যপ্রাচ্য
    • আফ্রিকা
    • এশিয়া
    • অস্ট্রেলিয়া
  • রাজনীতি
  • অর্থবাণিজ্য
  • খেলা
  • বিনোদন
  • মতামত
  • ফিচার
    • শিল্পসাহিত্য
      • কবিতা ও ছড়া
      • গল্প
      • প্রবন্ধ-আলোচনা
      • রম্য
      • শিশুসাহিত্য
      • স্মৃতিকথা
      • শিল্পসাহিত্যের খবর
    • তথ্যপ্রযুক্তি
    • লাইফস্টাইল
    • ট্যুরিজম
    • ধর্ম
    • স্বাস্থ্য
    • ক্যাম্পাস
    • নারী
  • অপরাধ আইন আদালত
  • সাক্ষাৎকার
BDOUTLOOK
Thursday | October 16 | 2025
বিজ্ঞাপন দিন
  • হোম
  • দেশ
    • জাতীয়
    • ঢাকা
    • চট্টগ্রাম
    • খুলনা
    • রাজশাহী
    • বরিশাল
    • সিলেট
    • রংপুর
    • ময়মনসিংহ
  • বিশ্ব
  • প্রবাস
    • আমেরিকা
    • ইউরোপ
    • মধ্যপ্রাচ্য
    • আফ্রিকা
    • এশিয়া
    • অস্ট্রেলিয়া
  • রাজনীতি
  • অর্থবাণিজ্য
  • খেলা
  • বিনোদন
  • মতামত
  • ফিচার
    • শিল্পসাহিত্য
      • কবিতা ও ছড়া
      • গল্প
      • প্রবন্ধ-আলোচনা
      • রম্য
      • শিশুসাহিত্য
      • স্মৃতিকথা
      • শিল্পসাহিত্যের খবর
    • তথ্যপ্রযুক্তি
    • লাইফস্টাইল
    • ট্যুরিজম
    • ধর্ম
    • স্বাস্থ্য
    • ক্যাম্পাস
    • নারী
  • অপরাধ আইন আদালত
  • সাক্ষাৎকার
ভিডিও
BDOUTLOOK
BDOUTLOOK
  • হোম
  • দেশ
    • জাতীয়
    • ঢাকা
    • চট্টগ্রাম
    • খুলনা
    • রাজশাহী
    • বরিশাল
    • সিলেট
    • রংপুর
    • ময়মনসিংহ
  • বিশ্ব
  • প্রবাস
    • আমেরিকা
    • ইউরোপ
    • মধ্যপ্রাচ্য
    • আফ্রিকা
    • এশিয়া
    • অস্ট্রেলিয়া
  • রাজনীতি
  • অর্থবাণিজ্য
  • খেলা
  • বিনোদন
  • মতামত
  • ফিচার
    • শিল্পসাহিত্য
      • কবিতা ও ছড়া
      • গল্প
      • প্রবন্ধ-আলোচনা
      • রম্য
      • শিশুসাহিত্য
      • স্মৃতিকথা
      • শিল্পসাহিত্যের খবর
    • তথ্যপ্রযুক্তি
    • লাইফস্টাইল
    • ট্যুরিজম
    • ধর্ম
    • স্বাস্থ্য
    • ক্যাম্পাস
    • নারী
  • অপরাধ আইন আদালত
  • সাক্ষাৎকার

News 24 Hours BDOUTLOOK.COM

প্রবন্ধ-আলোচনা

কাজী নজরুল ইসলাম কখন থেকে জাতীয় কবি : এ বি এম ফয়েজ উল্যাহ

বিডিআউটলুক September 1, 2025
September 1, 2025
শেয়ার Facebook
38

১৯৭৫ সালে জাতির জনকের সপরিবারে নিহত হওয়ার আগ পর্যন্ত জাতির জনকের সাংবিধানিক স্বীকৃতির কোনো প্রশ্নই ওঠেনি। তেমনি জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম কবে থেকে জাতীয় কবি তার উল্লেখের প্রয়োজনও পড়েনি। ১৯৭৫-এর পর একটি স্বাধীনতাবিরোধী চক্র জাতির জনক সাংবিধানিকভাবে স্বীকৃত নন বলে যে ঘৃণ্য প্রচারণা, সমালোচনা করেছেন, তাতে তারা ইতিহাসে ঘৃণিত নিন্দিত হিসেবে পরিচিত। অথচ সত্য ইতিহাস প্রমাণ করেছে যে, বঙ্গবন্ধু এবং কাজী নজরুল ইসলাম দুজনই ১৯৭১ সালে তৎকালীন প্রবাসী বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক যথাক্রমে জাতির জনক এবং জাতীয় কবি হিসেবে স্বীকৃত লাভ করেছিলেন। কারণ ১৯৭২ এর সংবিধান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন প্রবাসী বাংলাদেশ সরকারের সমস্ত কার্যকলাপকে স্বীকৃতি দিয়েছে।


কিন্তু আশ্চর্যের বিষয়, জাতির জনক এবং চার জাতীয় নেতা নিহত হওয়ার পরও তৎকালীন বাংলাদেশ মিশনের প্রধান জনাব হোসেন আলী, প্রধানমন্ত্রী জনাব তাজউদ্দীন সাহেবের অতি নিকটতম ব্যারিস্টার আমীরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন সাহেবের সচিবতুল্য লেখক গবেষক মঈদুল হাসান (মূলধারা-৭১) সহ বহু রাজনীতিবিদ, সচিব, বেতারকর্মী বেঁচে ছিলেন। কেন সত্য প্রকাশ করলেন না? এখনো অনেকে বেঁচে আছেন। এই ভুল বা চক্রান্ত জাতীয় কবির বেলায় এখনো হচ্ছে। আজ পঞ্চাশ বছর ধরে বলে আসা হচ্ছে, বঙ্গবন্ধু কাজী নজরুল ইসলামকে ১৯৭২ সালে বাংলাদেশে এনে জাতীয় কবির মর্যাদা প্রদান করেছেন। এটি কাহিনি মাত্র। সত্য ইতিহাস উদঘাটনের জন্যই এই লেখা।


১৯৭১ এর ১০ এপ্রিলে মুজিবনগরে সর্বপ্রথম আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষিত হয় বাংলাদেশের ‘স্বাধীনতা’ (Proclamation of indepedndence) এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে প্রেসিডেন্ট ও তাজউদ্দীন আহমদকে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন করে গঠিত হয় প্রবাসী স্বাধীন বাংলাদেশ সরকার।
১৭ এপ্রিল ১৯৭১ মুজিবনগরের বৈদ্যনাথতলায় আনুষ্ঠানিকভাবে দেশ-বিদেশের সাংবাদিক, রাজনীতিবিদ, কূটনৈতিক, বুদ্ধিজীবীদের উপস্থিতিতে স্বাধীন বাংলাদেশ সরকারের মন্ত্রিপরিষদের নাম ঘোষণা করে। ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট নজরুল ইসলাম গার্ড অব অনার গ্রহণ করেন।


জনাব তাজউদ্দীন আহমদ প্রধানমন্ত্রী ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের ভার গ্রহণ করেই ভারতসহ বিশ্বের যেসব দেশে পাকিস্তানের দূতাবাস ও হাইকমিশন রয়েছে, সেগুলোতে কর্মরত বাঙালি কর্মকর্তাদের বাংলাদেশের পক্ষে আনুগত্য ঘোষণা করার আহ্বান জানান।


এরই প্রেক্ষিতে ভারতের কলকাতার পার্ক সার্কাসে অবস্থিত পাকিস্তান হাইকমিশনের উপহাইকমিশনার জনাব হোসেন আলীকে বাংলাদেশের পক্ষে আনুগত্য ঘোষণা করার আহ্বান জানান। প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদের সাথে হোসেন আলী দুই দফা বৈঠকে মিলিত হন। ঐ সময় জনাব তাজউদ্দীন সাহেবের সাথে বি এস এফ কর্মকর্তা শরবিন্দু চট্টোপাধ্যায় উপস্থিত ছিলেন। (তথ্য : মূলধারা ’৭১-মঈদুল হাসান। তাজউদ্দীন নেতা ও পিতা— শারমীন আহমদ)


আলোচনায় স্থির হয়, ১৯৭১-এর ১৮ এপ্রিল, জনাব হোসেন আলী হাইকমিশনের চারজন বাঙালি কর্মকর্তা ও ৬০ জন কর্মচারী নিয়ে বাংলাদেশের পক্ষে আনুগত্য প্রকাশ করবেন। অতঃপর তাঁকে বাংলাদেশের পতাকা, নামফলক এবং অফিসের জন্য প্রয়োজনীয় ছবি সরবরাহ করা হয়।
১৯৭১-এর ১৮ এপ্রিল সেই মোক্ষম দিন। বাংলাদেশের পক্ষে আনুগত্য ঘোষণার ফলে যেন কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত সমস্যা সৃষ্টি না হয়, সেজন্য সকাল থেকেই ভারত বাংলাদেশের বিশিষ্ট কূটনীতিবিদগণসহ বিএসএফ প্রধানকে এফ রুস্তমজি, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা গোলক মজুমদার, রাজগোপালসহ অনেক বিএসএফ সদস্য সাধারণ পোশাকে আশপাশে অবস্থান নিয়েছিলেন।


বেলা বারোটায় জনাব হোসেন আলী হাইকমিশনের ছাদে উঠে পাকিস্তানের পতাকা নামিয়ে স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উড়িয়ে দেন এবং সব বাঙালি কর্মকর্তা, কর্মচারীদের নিয়ে বাংলাদেশের পক্ষে আনুগত্য ঘোষণা করেন।
সাথে সাথে বিএসএফ কর্মকর্তারা পাকিস্তানের নাম ফলক নামিয়ে ‘বাংলাদেশ মিশন’ এর নামফলক লাগিয়ে দেন। এ খবর দাবানলের মতো কলকাতায় ছড়িয়ে পড়ে। লোকজনের সাথে ছুটে আসনে পত্রিকাসমূহের সাংবাদিকেরা।
জনাব হোসেন আলী তাঁর সহকর্মী ও বিএসএফ কর্মকর্তা, গণ্যমান্য ব্যক্তি এবং সাংবাদিকদের নিয়ে অফিসে প্রবেশ করেন। অফিসে পাকিস্তানের জাতির জনক মুহাম্মদ আলী জিন্নাহ ও পাকিস্তানের জাতীয় কবি আল্লামা ইকবালের ছবি টাঙানো ছিল। (পাকিস্তানের সব অফিস-আদালতসহ দূতাবাস, হাইকমিশনে তাঁদের জাতির জনক ও জাতীয় কবির ছবি টাঙানো সাংবিধানিকভাবে বাধ্যতামূলক)।


জনাব হোসেন আলী পাকিস্তানের জাতির জনকের ছবি সরিয়ে সেখানে স্বাধীন বাংলাদেশের জাতির জনক হিসেবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি এবং পাকিস্তানের জাতীয় কবি আল্লামা ইকবালের ছবি সরিয়ে বাংলাদেশের জাতীয় কবি হিসেবে কাজী নজরুল ইসলামের ছবি টাঙিয়ে দেন। সেদিন থেকেই শেখ মুজিবুর রহমান জাতির জনক এবং কাজী নজরুল জাতীয় কবি হিসেবে প্রবাসী বাংলাদেশ সরকার (মুজিবনগর সরকার) কর্তৃক স্বীকৃত। (তথ্য— ১. মুক্তিযুদ্ধ এইদিনে— প্রথম আলো, ২. আনন্দবাজার পত্রিকা, ১৯ এপ্রিল, ১৯৭১, ৩. দ্য বৃটিশ দ্য বেন্ডিড এন্ড বর্ডার— কে এফ রুস্তমজি)


২৫ মে কাজী নজরুল ইসলামের জন্মদিন। ১৮ এপ্রিলে ঘোষিত জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের জন্মদিন প্রবাসী বাংলাদেশ সরকার কলকাতায় জাতীয় মর্যাদায় উদযাপন করেন।
সকাল বেলায় বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে প্রতিনিধিদল পাঠানো হয় কবি ভবনে। তাঁরা ফুলের তোড়া দিয়ে কবিকে সম্মান, শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে বিকালবেলায় ‘বাংলাদেশ মিশন’ ভবনের সামনে বিশাল প্যান্ডেল করে জাতীয় কবির জন্মদিন পালনোৎসব মহাসমারোহে পালন করা হয়। কলকাতা এবং স্বাধীন বাংলার বিশিষ্ট কবি, সাহিত্যিক, সুধীমহল, সাংবাদিক, কূটনীতিক, সরকারি-বেসরকারি কর্মচারী কর্মকর্তা, গায়ক, বাদক উপস্থিত ছিলেন।
কবির প্রতিকৃতিতে মালা পরানো হয়। কোরান তেলাওয়াত দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়। কবির সাহিত্যকর্ম নিয়ে আলোচনা, কবিতা আবৃত্তি, সংগীত হয়। অনুষ্ঠান সমাপ্ত হয় সনজীদা খাতুন এবং তাঁর সহশিল্পীদের গাওয়া জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে।
ফলে কাজী নজরুল ইসলামকে জাতীয় কবির মর্যাদা প্রদান এবং জাতীয় মর্যাদায় তাঁর জন্মজয়ন্তী উদযাপন করেছেন সর্বপ্রথম প্রবাসী বাংলাদেশ সরকার। যার প্রধান এবং প্রেসিডেন্ট ছিলেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ১৯৭২ খ্রিস্টাব্দে স্বাধীন বাংলাদেশে কাজী নজরুল ইসলামের যে জন্মজয়ন্তী সরকারিভাবে পালন করা হয়, তা ছিল বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক কবির দ্বিতীয় জন্মজয়ন্তী।

দুই.
১৯৭১ সালের ২২ ডিসেম্বর কলকাতা থেকে ঢাকায় ফিরে আসার প্রাক্কালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ স্ত্রী জোহরা তাজউদ্দীনকে সঙ্গে নিয়ে কাজী নজরুল ইসলামকে স্বাধীন বাংলাদেশ সফরের জন্য আমন্ত্রণ জানান। এর পাঁচদিন পর স্বামীর পক্ষে জোহরা তাজউদ্দীন আমন্ত্রণপত্রটি কবির কাছে পৌঁছান।
‘ইতিহাস থেকে জানা যায়, ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বিজয়ের মাত্র আটদিন পর বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে কাজী নজরুল ইসলামকে ঢাকায় নিয়ে আসার প্রাথমিক আমন্ত্রণ জানানো হয় ভারত সরকারকে’।
্জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তান থেকে দেশে আসার মাসখানেকের মধ্যেই বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে প্রথম বিদেশ সফরে যান ভারতে। কলকাতার রাজভবনে অবস্থান করেন ১৯৭২ সালের ৬ থেকে ৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। ৬ ফেব্রুয়ারি কলকাতায় পৌঁছেই বঙ্গবন্ধু কবির সুস্থতা কামনা করে তাঁকে দুটি ফুলের তোড়া পাঠান। এরপরের দিন কবির দুই পুত্র কাজী সব্যসাচী ও কাজী অনিরুদ্ধ সস্ত্রীক রাজভবনে শেখ মুজিবুরের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। সেখানেই বঙ্গবন্ধু তার সরকারের পক্ষে নজরুলের পুত্রদের মাধ্যমে কবিকে বাংলাদেশে আসার আমন্ত্রণ জানান। প্রধানমন্ত্রীর আগ্রহে কবির দুই পুত্র ২০ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় আসেন। এ সফরে তারা অসুস্থ কবিকে কীভাবে বাংলাদেশে আনা যায়, তা নিয়ে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন।


কাজী নজরুলকে বাংলাদেশে আনতে কালক্ষেপণ করতে চাননি বঙ্গবন্ধু। ফলে কবিকে দেশে আনার জন্য বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুস সামাদ আজাদকে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শরণ সিংয়ের সাথে আলোচনার ভার প্রদান করেন। দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মধ্যে মার্চ ও এপ্রিল মাসজুড়ে চিঠি চালাচালি হয়। কবিকে ঢাকায় আনার জন্য কাজী সব্যসাচী ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর সঙ্গেও আলোচনা করেন।
বঙ্গবন্ধুর বিশেষ প্রতিনিধি হিসেবে তৎকালীন মন্ত্রী মতিউর রহমান এবং আওয়ামী লীগের সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক নারায়ণগঞ্জের কৃতী সন্তান মুস্তফা সারোয়ারকে ভারতে পাঠানো হয়। সঙ্গে দিয়ে দেন সরকারি অফিসিয়াল পত্র।
নজরুলকে ‘হে কবি’ সম্বোধন করে চিঠি লিখে দিয়ে দেন বঙ্গবন্ধু। চিঠিতে নজরুল ও তার পরিবারের সদস্যদের বাংলাদেশে আসার আমন্ত্রণ জানানো হয়। চিঠি লিখে দিয়ে দায়িত্বপ্রাপ্তদের বঙ্গবন্ধু বলেন, ‘আশা করি কবিকে ছাড়া খালি হাতে আসবে না’।


বিদ্রোহী কবি নজরুলকে সরকারিভাবে বাংলাদেশে আনা হচ্ছে এ খবর প্রচারিত হতে থাকে রেডিও ও টেলিভিশনে। এতে কলকাতায়ও আলোড়ন সৃষ্টি হয়। ভারতের দমদম বিমানবন্দর থেকে কলকাতা প্রবেশ করতে হয় যে সড়ক দিয়ে, তার নাম ‘কবি নজরুল ইসলাম এভিনিউ’। বঙ্গবন্ধুর প্রতিনিধি মন্ত্রী মতিউর রহমান ও মুস্তফা সারোয়ার রাস্তার দুপাশে অনেক পোস্টার দেখতে পান। তাতে লেখা ‘অসুস্থ কবি নজরুলকে বাংলাদেশে নেওয়া যাবে না’। কলকাতার কয়েকটি রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন এই পোস্টার লাগিয়েছিল। নজরুলকে বাংলাদেশে আনার বিপক্ষে চালাতে থাকে প্রচার-প্রচারণা। কলকাতায় বিক্ষোভ ও বোমাবাজি করা হয়।


পরিস্থিতি বিবেচনায় কলকাতার মুখ্যমন্ত্রী ব্যারিস্টার সিদ্ধার্থ রায় এবং বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলও চিন্তায় পড়ে যান। যোগাযোগ করেন বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে। প্রধানমন্ত্রীর সে সময়ের রাজনৈতিক সচিব তোফায়েল আহমেদ এবং অন্যতম সচিব প্রয়াত রফিকুল্লাহ চৌধুরী জানান যে, কবি নজরুলকে সঙ্গে করে ঢাকায় নিয়ে যেতে না পারলে, বাংলাদেশেও বিক্ষোভ শুরু হতে পারে।


কলকাতায় বিক্ষোভ, অপরদিকে ঢাকায় প্রতিবাদের সম্ভাবনা এই উভয় সঙ্কটের ত্রাণকর্তা হিসেবে আবির্ভূত হয় বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে ইন্দিরা গান্ধীর সুসম্পর্ক। এ সম্পর্কের ফলেই নজরুলকে বাংলাদেশে দিতে রাজি হয় ভারতীয় কর্তৃপক্ষ। এ নিয়ে আবারও বৈঠক হয় ‘রাইটার্স ভবনে’। দ্বিতীয় বৈঠকের পরদিন ১৯৭২ সালের ২৪ মে ভোরেই কবিকে বাংলাদেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়। বিমানঘাঁটির নতুন আন্তর্জাতিক টার্মিনালে কবিকে বিদায় সংবর্ধনা জানাতে কলকাতাস্থ বাংলাদেশ মিশনের প্রতিনিধি, রাজ্য সরকারের লিয়াজোঁ অফিসার ও কেন্দ্রীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। (দৈনিক যুগান্তর, ২৫ মে, ১৯৭২)


ঢাকার চিত্র তখন উৎসবমুখর। সকাল থেকেই কবিকে স্বাগত জানাতে বিমানবন্দরে ভিড় জমাতে শুরু করেন তার লাখো অনুরাগী। সকাল ১১টা ৪০ মিনিটে বিদ্রোহী কবিকে নিয়ে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফকার ফ্রেন্ডশিপ বিমান ঢাকা বিমানবন্দরের মাটি ছুঁয়ে যায়। তৎকালীন বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষামন্ত্রী অধ্যাপক ইউসুফ আলী ও আওয়ামী লীগের অন্যতম সহ-সভাপতি কোরবান আলী কবিকে সরকার ও আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে অভ্যর্থনা জানান। ‘সব কূটনৈতিক তৎপরতা শেষে ১৯৭২ সালের ২৪ মে কলকাতা থেকে ঢাকায় আসেন কাজী নজরুল ইসলাম। (বাংলানিউজ২৪.কম, দৈনিক পূর্বদেশ, ২৫ শে মে, ১৯৭২)


বাংলাদেশের জাতীয় কবির জন্য বঙ্গবন্ধু ধানমন্ডিতে বিশাল বাড়ি বরাদ্দ করে দিয়েছিলেন। সরকারি ব্যবস্থাপনায় কবির সুচিকিৎসার বন্দোবস্ত এবং কবি পরিবারের খাওয়া-পরার বন্দোবস্ত জাতির জনক নিজেই করে দিয়েছেন। জাতীয় কবির বাংলাদেশে আগমন থেকে চরমভাবে অসুস্থ হয়ে পিজি হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার দিন পর্যন্ত প্রতিদিন রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় কবি ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলিত হয়েছে।
কবিকে ধানমন্ডির বাসভবনে নিয়ে আসার ঘণ্টাখানেক পরেই তৎকালীন রাষ্ট্রপতি বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরী তাকে দেখতে আসেন। বিকেলে বঙ্গবন্ধু স্ত্রী বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবসহ পরিবারের অন্য সদস্যদের নিয়ে কবিকে শ্রদ্ধা জানাতে আসেন।
যুগে যুগে দেশে দেশে নানা কারণে অকারণে ইতিহাস বিকৃতি ঘটেছে। এখনো ঘটছে। কিন্তু ইতিহাসের সত্যকে আটকে রাখা যায়নি। ইতিহাস তার গতিপথের সব বাধা উপেক্ষা করে আপন ঠিকানায় পৌঁছেছে। ঐতিহাসিকদের মতে এজন্য পঞ্চাশ, একশ বা আরো অধিক সময় লেগে যেতে পারে। বাংলাদেশের ইতিহাস সে ক্রান্তিকাল পার করছে। আমাদের সৌভাগ্য যে, ইতিহাস কাজী নজরুল ইসলামের জাতীয় কবি হওয়ার সঠিক দিন তারিখ নির্ধারণ করে দিয়েছে। এতে সময় লেগে গেল পঞ্চাশ বছর।


বাংলাদেশে জাতির জনককে কেন্দ্র করে সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার যে বিতর্ক, কুতর্কের অবতারণা হয়েছিল, তা সত্যিই লজ্জাষ্কর। জাতির জনক, জাতীয় কবি এঁরা জনগণের মনোরাজ্যে অধিষ্ঠিত। সংবিধানে লেখার প্রয়োজন পড়ে না। যেমন, ভারতের জাতির জনক মহাত্মা গান্ধীজির নাম সংবিধানে উল্লেখ নেই।
Mahatma Gandhi was never formally conferred the title of ÔFather of the NationÕ by the government. This was stated by the Home Ministry in reply to an RTI query. yAlthough Mahatma Gandhi is popularly known as ÔFather of the NationÕ, no such title was ever formally conferred upon him by the government,Ó Shyamala Mohan, Director and Central Public Information Officer (CPIO), said in a reply dated June 18 this year. The query was filed by social activist Abhishek Kadzan with the Home Ministry on May 21, 2012 seeking information about declaration of Mahatma Gandhi as ÔFather of the NationÕ.(Abhishek Kadzan is an advisor to Italy based animal rights NGO OIPA.)
কাজী নজরুল ইসলাম বাঙালি জাতীয়তাবাদের কবি। বাঙালির জাতীয় সাহিত্যের রচয়িতা। মানবতাবাদী কবি। অসাম্প্রদায়িক কবি। বাংলাদেশের জাতীয় কবি। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু ১৯৭৩ সালে সরকারিভাবে জাতীয় কবির জন্মদিবস পালনোপলক্ষে ঘোষণা করেন, ‘কাজী নজরুল ইসলাম বাঙালি জাতিসত্তার সর্বশ্রেষ্ঠ রূপকার’। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশবিদেশে বহু বক্তৃতায় উল্লেখ করেছেন, ‘আমরা আমাদের জাতীয় কবির অসাম্প্রদায়িক চেতনায় দেশ পরিচালনা করি’। জাতির আশা, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জাতীয় কবির সাংবিধানিক স্বীকৃতির ব্যবস্থা করবেন।
চট্টগ্রাম থেকে

শেয়ার Facebook

আরও যেসব নিউজ পড়তে পারেন

কাজী জহিরুল ইসলামের কবিতা-ভাবনা । ১

September 15, 2025

জগলুল হায়দারের ছড়া : ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে বজ্রকণ্ঠ

July 14, 2025

হাওর-সংস্কৃতির নানামুখ :: সুমনকুমার দাশ

July 11, 2025

বাংলা সাহিত্যে ডান-বামের অস্তিত্ব ও সংকট :: জসীম উদ্দীন মুহম্মদ

July 5, 2025

যেন তার সঙ্গে কখনো দেখাই হয়নি :: কাজী জহিরুল ইসলাম

July 5, 2025

জ্ঞান : বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়

July 3, 2025

সাম্প্রতিক খবর

  • ট্রাম্পের যুদ্ধবিরতির ঘোষণার পরও গাজায় ইসরায়েলি হামলা

    October 9, 2025
  • টিকটকের আদলে ফেসবুক রিলসে বড় পরিবর্তন আনতে যাচ্ছে মেটা

    October 9, 2025
  • ১৭ বছর পর সাক্ষাৎকার : কবে ফিরবেন, নির্বাচনে অংশ নেবেন কি না, কী বললেন তারেক রহমান

    October 6, 2025
  • যেসব অভ্যাস কমিয়ে দিচ্ছে ফোনের আয়ু

    October 6, 2025
  • ভাষাসৈনিক আহমদ রফিক মারা গেছেন

    October 2, 2025

BDOUTLOOK.COM

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক : মাহমুদা জুয়েনা

নির্বাহী সম্পাদক : কাদের বাবু

  • হোম
  • দেশ
    • জাতীয়
    • ঢাকা
    • চট্টগ্রাম
    • খুলনা
    • রাজশাহী
    • বরিশাল
    • সিলেট
    • রংপুর
    • ময়মনসিংহ
  • বিশ্ব
  • প্রবাস
    • আমেরিকা
    • ইউরোপ
    • মধ্যপ্রাচ্য
    • আফ্রিকা
    • এশিয়া
    • অস্ট্রেলিয়া
  • রাজনীতি
  • অর্থবাণিজ্য
  • খেলা
  • বিনোদন
  • মতামত
  • ফিচার
    • শিল্পসাহিত্য
      • কবিতা ও ছড়া
      • গল্প
      • প্রবন্ধ-আলোচনা
      • রম্য
      • শিশুসাহিত্য
      • স্মৃতিকথা
      • শিল্পসাহিত্যের খবর
    • তথ্যপ্রযুক্তি
    • লাইফস্টাইল
    • ট্যুরিজম
    • ধর্ম
    • স্বাস্থ্য
    • ক্যাম্পাস
    • নারী
  • অপরাধ আইন আদালত
  • সাক্ষাৎকার

bdoutlook2@gmail.com

  • Privacy Policy
BDOUTLOOK
  • হোম
  • দেশ
    • জাতীয়
    • ঢাকা
    • চট্টগ্রাম
    • খুলনা
    • রাজশাহী
    • বরিশাল
    • সিলেট
    • রংপুর
    • ময়মনসিংহ
  • বিশ্ব
  • প্রবাস
    • আমেরিকা
    • ইউরোপ
    • মধ্যপ্রাচ্য
    • আফ্রিকা
    • এশিয়া
    • অস্ট্রেলিয়া
  • রাজনীতি
  • অর্থবাণিজ্য
  • খেলা
  • বিনোদন
  • মতামত
  • ফিচার
    • শিল্পসাহিত্য
      • কবিতা ও ছড়া
      • গল্প
      • প্রবন্ধ-আলোচনা
      • রম্য
      • শিশুসাহিত্য
      • স্মৃতিকথা
      • শিল্পসাহিত্যের খবর
    • তথ্যপ্রযুক্তি
    • লাইফস্টাইল
    • ট্যুরিজম
    • ধর্ম
    • স্বাস্থ্য
    • ক্যাম্পাস
    • নারী
  • অপরাধ আইন আদালত
  • সাক্ষাৎকার