নিজস্ব প্রতিবেদক
দুপুর দেড়টার দিকে শাহবাগ থেকে শিক্ষার্থীরা যমুনার দিকে মিছিল নিয়ে এগোতে চাইলে পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে বাধা দেয়। একপর্যায়ে ধস্তাধস্তির পর পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড, কাঁদানে গ্যাস শেল নিক্ষেপ ও জলকামান ব্যবহার করে শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করে। পাল্টা শিক্ষার্থীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছোড়ে। এতে কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হন বলে জানা গেছে।
এর আগে সকাল ১১টার দিকে শিক্ষার্থীরা পূর্বঘোষিত ‘লংমার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে শাহবাগে অবস্থান নেন। এতে শাহবাগ ও আশপাশের সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। গতকালও একই দাবিতে শিক্ষার্থীরা পাঁচ ঘণ্টা শাহবাগ অবরোধ করেছিলেন।
শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হলো—
তিন দফা দাবিতে আন্দোলনরত প্রকৌশল শিক্ষার্থীরা আজ বুধবার দুপুরে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনা অভিমুখে যাওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের নামের আগে ‘প্রকৌশলী’ শব্দ ব্যবহার না করা।
ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের কাউকে পদোন্নতি দিয়ে ৯ম গ্রেডে উন্নীত না করা।
১০ম গ্রেডের চাকরিতে প্রবেশের ক্ষেত্রে কেবল স্নাতক প্রকৌশলীদের সুযোগ দেওয়া।

ঢাকা মহানগর পুলিশের রমনা বিভাগের উপকমিশনার মাসুদ আলম সাংবাদিকদের বলেন, “শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা চলছিল। সচিবালয়ে তিনজন উপদেষ্টা সমাধান নিয়ে কাজ করছিলেন। তাদের বলা হয়েছিল শাহবাগে অপেক্ষা করতে। কিন্তু আলোচনা চলাকালীন হঠাৎ তারা যমুনার দিকে রওনা হন।”
বিকেল ৪টার দিকে শিক্ষার্থীরা ইন্টারকন্টিনেন্টাল মোড়ে অবস্থান নেন। সেখানে বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাইয়াজ অভিযোগ করে বলেন, “পুলিশের হামলায় আমাদের ৩৫ জনের বেশি আহত হয়েছেন। দাবি না মানা পর্যন্ত আমরা সড়ক ছাড়ব না।”