নিজস্ব প্রতিবেদক
শাহবাগ আন্দোলনের ন্যারেটিভকে ফিরিয়ে আনার যেকোনো প্রচেষ্টা আসলে আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক সংস্কৃতিকে সক্রিয় করার সমান বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুগ্ম সদস্য সচিব ডা. মাহমুদা মিতু।
মঙ্গলবার রাতে নিজের ফেসবুক টাইমলাইনে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে তিনি লিখেছেন,
“শাহবাগের ন্যারেটিভকে বাংলাদেশের শিশুরাও ঘৃণা করে। সেই ন্যারেটিভ ফিরিয়ে আনা মানে আওয়ামী লীগের কালচার আবার একটিভ করা। চেতনার মন্দির ধানমন্ডি ৩২ ধ্বংস হয়ে গেছে ঘৃণার সঙ্গেই। নতুন করে তৈরি হওয়া চেতনাব্যবসাও একইভাবে ধ্বংস হবে।”
তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগের তথাকথিত “রাজাকার ন্যারেটিভ” যারা ধারণ করবে, তাদের কঠোরভাবে প্রতিহত করা উচিত।
ডা. মাহমুদা মিতু তার রাজনৈতিক অবস্থান ব্যাখ্যা করতে গিয়ে বলেন,
“শাহবাগের আওয়ামী লীগীয় ন্যারেটিভ ঘৃণা করতেই রাজনীতি শিখেছি। হাসিনাকে ঘৃণা করতেও শিখেছি। শাপলা চত্বরের ঘটনাপ্রবাহ ও তথাকথিত নাস্তিকদের আচরণ দেখে আমি আরও প্রতিবাদী হয়েছি। তখনকার সময়ে জিন্স প্যান্ট পরা একজন সাধারণ মেয়ে হয়েও কেবল বিবেকের তাড়নায় শাহবাগের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছিলাম।”
তিনি মনে করিয়ে দেন, ২০১৩ সালের আন্দোলন তার কাছে এখনো ট্রমার মতো। বিশ্বজিৎ হত্যার দৃশ্য, আন্দোলন দমনে সহিংসতা, ইসলামপন্থীদের ওপর নিপীড়ন—এসব তার রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
মাহমুদা মিতু অভিযোগ করেন, গত ১৪ বছরের সোশ্যাল মিডিয়া জীবনে তাকে অসংখ্যবার “রাজাকার” আখ্যা দেওয়া হয়েছে। তিনি লিখেছেন,
“২৪ সালে মানুষ শহীদ হওয়ার পর শাহবাগীদের সেই পুরনো আওয়ামী ন্যারেটিভ নতুন করে প্রতিষ্ঠা করতে দেওয়া হবে না। একাত্তরের ইতিহাস আমরা ধারণ করি, কিন্তু একাত্তরকে পুঁজি করে দমন-পীড়নের দিন ফেরানো যাবে না।”