বিশেষ প্রতিবেদন
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটি ব্যতীত সারাদেশের সব শাখা ও কমিটির কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে। রোববার সন্ধ্যায় রাজধানীর শাহবাগে আয়োজিত এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির সভাপতি রিফাত রশিদ এই সিদ্ধান্তের কথা জানান।
রিফাত রশিদ বলেন, “সাম্প্রতিক সময়ে আমরা লক্ষ্য করছি, আমাদের সংগঠনের ব্যানার ব্যবহার করে বিভিন্ন জায়গায় অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়ানোর চেষ্টা চলছে। কেউ কেউ রাজনৈতিক আশ্রয়ে কিংবা ব্যক্তি স্বার্থে চাঁদাবাজি ও দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে, যা আমাদের আদর্শ ও নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে।”
তিনি আরও জানান, আজ থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নাম ব্যবহার করে কোনো অনৈতিক কর্মকাণ্ড ঘটলে সংগঠন থেকে কঠোর অবস্থান নেওয়া হবে এবং প্রয়োজনে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এই সিদ্ধান্ত আসে একদিন পর, যখন গুলশানে চাঁদাবাজির অভিযোগে সংগঠনটির তিন নেতা ও গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের এক নেতাসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, গত ১৭ জুলাই ও গতকাল (শনিবার) দুই দফায় সাবেক সংসদ সদস্য শাম্মী আহমেদের গুলশানের বাসায় গিয়ে ৫০ লাখ টাকা দাবি করেন তারা। প্রথমবার ১০ লাখ টাকা আদায়ের পর দ্বিতীয়বারে পুলিশ তাদের হাতেনাতে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের মধ্যে আছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঢাকা মহানগর আহ্বায়ক ইব্রাহিম হোসেন মুন্না, সদস্য মো. সাকাদাউন সিয়াম, সাদমান সাদাব এবং গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের কেন্দ্রীয় নেতা আবদুর রাজ্জাক ওরফে রিয়াদ।
এ ঘটনায় গুলশান থানায় দায়ের করা মামলায় রোববার তাদের সাত দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছে আদালত।
উল্লেখ্য, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের উদ্যোগেই বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের যাত্রা শুরু হয়েছিল। চাঁদাবাজির অভিযোগে অভিযুক্ত আবদুর রাজ্জাক পূর্বে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলেন।