বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান কবি আল মাহমুদ গবেষক, সদ্য প্রয়াত কবি মহিবুর রহিম স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার সন্ধ্যায় ধানমন্ডির স্টার কাবাব মিলনায়তনে আয়োজিত এই স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
স্মরণ সভায় বক্তারা বলেছেন, মহিবুর বেঁচে থাকবেন তার সৃষ্টিশীল কর্মের মাঝে। তিনি তার কবি সত্ত্বার উপলব্ধি ও অনুভূতি ছড়িয়ে দিয়েছেন মানুষের মাঝে। গণমানুষের মুক্তির জন্য তিনি কলম ধরেন। মানুষের না বলা কথা উঠে এসেছে তার কবিতায়। ভাটি অঞ্চলের সাহিত্যকে তিনি অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যান।
বিশিষ্ট কবি ও গবেষক লায়ন অ্যাডভোকেট আলতামাসুল ইসলাম আকন্দ ইকবালের সভাপতিত্বে ও বিশিষ্ট লেখক লুৎফর রহমান দুলালের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন—সাবেক স্বাস্থ্য সচিব বিশিষ্ট গল্পকার ও কলামিস্ট হোসেন আবদুল মান্নান।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন—বাংলা একাডেমি লেখক ফোরামের সম্পাদক অধ্যাপক আকবর সিরাজী, কবি খলিল মজিদ, বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী, প্রকাশক মাসুমা বেগম রুবি, শিল্পী মো. ইকবাল হোসেন, ইঞ্জিনিয়ার জাহাঙ্গীর কবির মোল্লা, কবি ফারিয়াল আহমেদ ইমন, কবি এমদাদ হোসাইন বুলবুল, সাঈদ শফিক, মাসুদ আহমেদ, ভুবন কুমার দে, মিডিয়া ব্যক্তিত্ব ফেরদৌসী আহমেদ চৌধুরী লিপি, সাদিয়া হক, আঞ্জুরুল হক, মাহবুবুর রহমান দিদার, মাহমুদা খানম মুন্নী, অধ্যাপক আল-মুজাহিদ, রুহুল কবির ও কবিপুত্র মাহমুদ শাহ তামিম প্রমুখ।
স্মরণ সভায় হোসেন আবদুল মান্নান বলেন, কবি মহিবুর রহিম বেঁচে থাকবেন তার অসামান্য সৃষ্টিশীল সাহিত্য কর্মযজ্ঞে। তার গবেষণা সাহিত্য বাংলা ভাষা সাহিত্যকে নিঃসন্দেহে সমৃদ্ধ করবে। তিনি মানুষের না বলা ভাষাকে কবিতায় ঠাঁই দিয়েছেন। আমি তার বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করছি।
কবি খলিল মজিদ বলেন, কবি মহিবুর রহিম একজন সাদা মনের লেখক ছিলেন। তার কবিতা হয়ে উঠেছিল গণমানুষের কন্ঠস্বর। জুলাই বিপ্লব পরবর্তী সময়ে তিনি এক নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন বুনেছিলেন তার কবিতায়।
বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী ও প্রকাশক কবি মাসুমা বেগম রুবি বলেন, মহিবুর রহিম ছিল আমাদের প্রাণ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আমরা যে কজন বাংলা বিভাগে পড়েছি তাদের মধ্যে মহিব ছিল অসাধারণ মেধা সম্পন্ন ও সৃজনশীল। তার অকাল মৃত্যুতে আমাদের বাংলা সাহিত্যে এক ধরনের শুন্যতা তৈরি হয়েছে।
কবি মহিবুর রহিম কর্মজীবনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া চিনাইর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব অনার্স কলেজের বাংলা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ছিলেন। গত ১৬ জুলাই তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
কবি ও গবেষক মহিবুর রহিমের কাব্যগ্রন্থের মধ্যে রয়েছে— হৃদয়ে আমার কোন মন্ধা নেই, শিমুল রোদে রঙ্গিন দিন, অন্ধ তাপস, অতিরিক্ত চোখ,দুঃখগুলো অনাদির বীজপত্র,সবুজ শ্যামল মন। তার গবেষণা গ্রন্থের মধ্যে রয়েছে—ভাটি বাংলার লোকভাষা ও লোকসাহিত্য, ভাটি অঞ্চলের প্রবাদ প্রবচন ও হাওড় বাংলা। তিনি ছিলেন জাতীয় কবিতা কেন্দ্রের সাবেক সভাপতি।